somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার নতুন শর্ট ফিল্ম - মওকা

২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

০১.
অবশেষে আগামী শুক্রবার আমার নতুন শর্ট ফিল্মের শুটিং করতে যাচ্ছি। শর্ট ফিল্মের নাম- মওকা ।
এটা একটা নতুন ধরনের প্রজেক্টের ফল। গত ছয় মাস ধরে অভিনয় শেখানোর পর সম্পূর্ণ নতুন অভিনেতাদের নিয়ে এই শর্ট ফিল্ম। অভিনয় না জানা নতুনদের প্রথমে ৩ মাসের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। সপ্তাহে ৩ দিন করে তারা ক্লাশে আসত। প্রথম ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে পরবর্তী ২ মাস ক্যামেরার সামনে রিহার্সেল করেছে। অবশ্য উপস্থিতি কম থাকার কারণে ওদের ২ মাসের জায়গায় ৩ মাস রিহার্সেল করতে হয়েছে। তারপর এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করছে ওরা।
এটা আমার স্ক্রিপ্টে নির্মিত ৫ম শর্ট ফিল্ম। আর আমার পরিচালিত ৩য় শর্ট ফিল্ম।

০২.
শর্ট ফিল্মটির স্ক্রিপ্ট শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আপনারাই বলুন কেমন হবে ?
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
মওকা
কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা : শাহজাহান শামীম
গল্প সংক্ষেপ :
নব বিবাহিতা স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ভীষণ মন খারাপ হয় ভদ্রলোকের। ভীষণ রেগে সে সিদ্ধান্ত নেয়, তার স্ত্রীকে একটা বড় শিক্ষা দেবে সে। কিন্তু কিভাবে শিক্ষা দেবে, সেটা ভেবে পায় না। একবার ভাবে, আত্মহত্যা করে বুঝিয়ে দেবে স্ত্রীর জীবনে তার নিজের গুরুত্ব। অথচ আত্মহত্যার করার দুঃসাহস সে পায় না।
অবশেষে স্ত্রীকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য সে রাতের বেলা মিথ্যা অসুস্থতার ভাণ করে। তার পেটে ভীষণ ব্যথা এবং মারা যাচ্ছে বলে জানায় সে। তার স্ত্রী ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ ভদ্রলোককে নিয়ে যায় একটি বড় কিনিকে/হাসপাতালে।
কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাড়ির লোকজন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও বন্ধু-বান্ধব মিলে বিশাল একটা জনসমাগম ঘটে যায়। এদের মধ্যে তার এক শালা বিশিষ্ট ক্যাডার। তার হুমকি ধামকিতে কিনিক /হাসপাতাল কাঁপতে থাকে। ডাক্তারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
কিন্তু কোনভাবেই তার পেট ব্যথা কমে না বলে জানায় ভদ্রলোকটি। ফলে ডাক্তার কয়েকটি টেস্ট করতে দেয়। তাকে স্যালাইন দিয়ে ভর্তি করে রাখে।
পর দিন তার স্ত্রী ও শালা মিলে তাকে প্যাথলজি টেস্ট করে। তার কোন রোগ ধরে পড়ে না। কিন্তু তার পেট ব্যথাও কমে না। রোগীর আত্মীয় স্বজনের হুমকিতে ডাক্তার আরও কিছু টেস্ট দেয়। এবারও কিছুই ধরে পড়ে না। কিন্তু বুদ্ধি করে ডাক্তার জানায়, তার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করাতে হবে।
এবার ভদ্রলোক তার ভাণের কথা বলতে চেষ্টা করে। বলেও। কিন্তু কেউ তার কথা শুনে না। তাকে জোর করে অপারেশন করানো হয়।
বাসায় ফিরে আসার পর তার স্ত্রী জানায় যে, তার চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের ঋণ করতে হয়েছে। সেই ঋণের টাকা তাকে কয়েক মাস ধরে শোধ করে যেতে হবে।

চরিত্রসূচি :
ক্রমিক/চরিত্রের নাম/বয়স /পরিচয়/চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য/প্রস্তাবিত শিল্পী
০১)আনোয়ার(৩০)চাকুরিজীবী/নিরীহ ও বুদ্ধিমান
০২) আয়েশা(২৫)গৃহবধূ/রগচটা
০৩) মান্নু(২২) আনোয়ারের শালা/রাজনৈতিক ক্যাডার
০৪) হোসেন আলী(৫৫)আনোয়ারের শ্বশুর/বাচাল
০৫) জুনিয়র ডাক্তার(৩০)কিনিকের ডাক্তার/ভীতু
০৬) সিনিয়র ডাক্তার(৪৫)কিনিকের ডাক্তার/ধূর্ত
০৭) রিসেপসনিস্ট (৩০)কিনিকের রিসেপসনিস্ট/বোকা
০৮) খান(৪৫) আনোয়ারের বস/রাগী
০৯) নার্স (২৫) কিনিকের নার্স/বিরক্ত
১০) লালু(২২)মান্নুর সাগরেদ /বাধ্যগত
১১) শফিক(৩০)আনোয়ারের বন্ধু /সহজ সরল

দৃশ্য - ০১
স্থান : আনোয়ারের ফ্লাট
সময় : গভীর রাত
চরিত্র : আনোয়ার, তার স্ত্রী আয়েশা এবং তার বস খান।
ঘটনা : একটা ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখে আনোয়ার। দেখে তার বস তাকে বকছে। আবার দেখে তার স্ত্রী তাকে বকছে। বস তাকে অফিসে বেশি সময় দিতে বলে। তার স্ত্রী তাকে বাসায় বেশি সময় দিতে বলে। এক সময় সে দেখে তার বসের জায়গায় বসে আছে একটা কুকুর এবং তার স্ত্রীর জায়গায় একটা কাক।
দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে জেগে ওঠে সে।
সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবে।
ফ্লাশব্যাক - ক)
স্থান : একটি অফিস
সময় : রাত
চরিত্র : আনোয়ার ও বস
ঘটনা : বসের কাছে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ধোলাই খায় আনোয়ার।
(একটা ফাইল নিয়ে বসের রুমে ঢোকে আনোয়ার। বস একটা হিন্দি গানের কলি আওড়াচ্ছে। আনোয়ারকে দেখে বসের গান থামে। )
(আনোয়ার ফাইলটা দেয়। বস ফাইলটা দেখে। আনোয়ার উসখুস করতে থাকে। )
আনোয়ার : স্যার, আজকে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়া লাগত।
বস : কেন ?
আনোয়ার : স্যার, আমার ওয়াইফের শরীরটা একটু ...
বস : ওয়াইফের শরীরের কথা আমাকে বলে কী লাভ ? ডাক্তার দেখান, আপনি গিয়ে কী করবেন ? আপনি কি ডাক্তার ?
আনোয়ার : না, মানে আমার কাজ তো শেষ।
বস : আরেকটা ফাইল নিয়ে যান।
আনোয়ার : এখন রাত ১০টা। আমাকে এখন যেতেই হবে।
বস : যান, একবারেই যান। কাল থেকে আর কষ্ট করে অফিসে আসার দরকার নাই। শোনেন, বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে ৩টা করে আদম সন্তান পয়দা হয়। আপনার মতো কত লোক লাইনে দাঁড়ানো।
আনোয়ার : না, মানে এত রাত পর্যন্ত কাজ করাটা আমার জন্য একটু টাফ।
বস : না পোষালে চাকুরি করবেন না। কে আপনাকে বেঁধে রেখেছে ?
(ভয় পেয়ে যায় আনোয়ার।)
ফ্লাশ।
(আনোয়ার তেমনি ভাবছে। সে তার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকায়।)
ফ্লাশ।

ফাশব্যাক - খ)
স্থান : আনোয়ারের ফ্লাট
সময় : রাত
চরিত্র : আনোয়ার ও আয়েশা
ঘটনা : দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে আনোয়ার ও আয়েশার মধ্যে ঝগড়া হয়।
(আনোয়ারের স্ত্রী আয়েশা টেলিভিশন দেখছে এবং বার বার মোবাইল হাতে নিয়ে ঘড়ি দেখছে। কতক্ষণ পর পর তার স্বামীকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু অপরপ্রান্ত ফোন ধরছে না। সে রাগে মোবাইলটা খাটের উপর ছুঁড়ে ফেলে।)
(কিছুক্ষণ পর দরজায় নক করে কেউ। সে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। কাচুমাচু ভঙ্গিতে আনোয়ার দাঁড়িয়ে আছে। দরজা থেকে সরে যায় আয়েশা। আনোয়ার দরজা লাগিয়ে ভেতরে আসে। )
(আয়েশা টেবিলে খাবার সাজায়। আনোয়ার বাথরুমে গিয়ে হাতমুখে ধুয়ে আসে। টেবিলে বসে অপেক্ষা করে আয়েশা । আনোয়ার আসে। টেবিলে বসে খাবার প্লেট টেনে বসে। )
আয়েশা : কত বার বললাম, এই চাকুরিটা ছাড়। মানুষ কত ভালো ভালো চাকুরি করে। সে গেছে একটা ফালতু চাকুরি করতে।
আনোয়ার : প্রতিদিন এক কথা ভালো লাগে না।
আয়েশা : আসলেই এত রাত পর্যন্ত অফিসে কাজ কর, নাকি অন্য কোথাও যাও ?
আনোয়ার : বাজে কথা বলবে না ।
আয়েশা : এত রাত পর্যন্ত কিসের চাকুরি ? এই চাকুরি দরকার নাই।
আনোয়ার : বাড়িতে বসে থাকলে এই রকমই লাগে। দুনিয়াটা যে কত কঠিন, সেটা তো টের পাও না।
আয়েশা : আমার সাথে বাহাদুরি করে লাভ নাই। পারলে তোমার বসের সঙ্গে বাহাদুরি দেখাও। সেটা তো পারবে না, খালি আমার সাথে বাহাদুরি।
ফ্লাশ।
(আনোয়ার তেমনি ভাবছে। সে তার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকায়। তার মুখে নিষ্ঠুর হাসি। )
ফ্লাশ।

ফাশ ফরোয়ার্ড - গ)
স্থান : আনোয়ারের ফ্লাট
সময় : রাত
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা ও ক্যাডার মান্নু
ঘটনা : আনোয়ার কল্পিত আত্মহত্যা করে। তার আত্মহত্যাকে পাত্তা দেয় না তার স্ত্রী এবং তার শালা ক্যাডার মান্নু। তারা তার আত্মহত্যাকে নিয়ে নানা রকম রসিকতা করে।
(আনোয়ার কল্পিত আত্মহত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তার স্ত্রী আয়েশা আসে। )
আয়েশা : (হাসে) তুমি আমাকে ভয় দেখাও ? তুমি মরতে পারবা ? ( হা হা করে হাসে) তুমি একটা কাপুরুষ !
আনোয়ার : (গোঙায়) আমি সত্যি আত্মহত্যা করেছি।
(আয়েশা হা হা করে হাসে। তার ভাইকে ফোন করে। )
আয়েশা : শোন, তোকে একটা মজার খবর দেই। তোর দুলাভাই আত্মহত্যা করেছে।
মান্নু : কও কি, হের এত্ত সাহস। আমার মনে হয় না। ভান করতাছে। ভালো কইরা দেখ।
আয়েশা : ও তো বলে ও নাকি আত্মহত্যা করেছে।
মান্নু : তাই নাকি ? আমি এক্ষুণি আসতাছি।
(আয়েশা ফোন কেটে দেয়। )
আয়েশা : (আনোয়ারকে) তুমি এত মজা করতে পার। আরে, আত্মহত্যা করতে কলিজা লাগে। সেটা তোমার নাই ।
(আসে মান্নু। ভালো করে আনোয়ারকে দেখে। তারপর হো হো করে হাসে। )
মান্নু : লইটকা থাকলেই আত্মহত্যা হয় নাকি ? এইডারে কয় আত্মহত্যা ? ( হা হা করে হাসে) জীবনে পরথম এই রহম আত্মহত্যা দেখলাম। দুলাভাই ভাব ধরছে।
আনোয়ার : (গোঙায়) আমি সত্যি আত্মহত্যা করেছি।
মান্নু : ভালো করছেন। আপা, তুমি টেনশন কইর না। তোমারে আরেকটা হ্যান্ডসাম পোলার লগে বিয়া দিমু। এই তে পুলাপান বাদ। আত্মহত্যা কইরা তোমারে বাঁচায়া দিছে আপা।
আয়েশা : ঠিকই বলেছিস। থাকুক, ও তার আত্মহত্যা নিয়া । আমি চললাম।
ফ্লাশ।
তেমনি বিছানায় শুয়ে আছে আনোয়ার। সে চরমভাবে হতাশ ও বিরক্ত।
ডিজলভ।

দৃশ্য - ০২
স্থান : আনোয়ারের ফ্লাট
সময় : রাত
চরিত্র : আনোয়ার ও আয়েশা
ঘটনা : রাতে বাড়ি ফিরে যথারীতি আয়েশার কাছে ধোলাই খায় আনোয়ার। আয়েশাকে জব্দ করার বুদ্ধি আঁটে। এক সময় পেট ব্যথার ভান করে পড়ে যায়। তাকে নিয়ে কিনিকের দিকে রওয়ানা হয় আয়েশা।
(আনোয়ার জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। কোন কিছু ভাবছে। মাঝে মাঝে তার স্ত্রী আয়েশার দিকে তাকায়। তার মুখে একটা ফাজিল চাপা হাসি। সে পায়চারি করতে থাকে। হঠাৎ পেট ধরে পড়ে যায় সে। তার স্ত্রী আয়েশা এসে তাকে ধরে। সে কোকাতে থাকে। )
আয়েশা : কী হয়েছে ?
(আনোয়ার কথা বলে না, কোকাতে থাকে। )
আয়েশা : কী হয়েছে, কথা বল না কেন ?
আনোয়ার : পেটে ব্যথা ।
আয়েশা : হঠাৎ কী হল ?
আনোয়ার : জানি না ।
(আয়েশা খাবার পানি নিয়ে আসে। আনোয়ার পানি খায়। )
আয়েশা : কমেছে ?
আনোয়ার : না। ডাক্তার ডাক।
আয়েশা : এত রাতে ডাক্তার পাব কোথায় ?
(আনোয়ার কিছু বলে না। তার স্ত্রী আয়েশা ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ফোন ধরে না অপর প্রান্ত। সে খুবই বিরক্ত হয়। তার বিরক্তি দেখে মুচকি হাসে আনোয়ার। )
আয়েশা : চল, কিনিকে যাব।
(আনোয়ারকে ধরে আয়েশা বের হয় )
কাট।

দৃশ্য - ০৩
স্থান : রাস্তা
সময় : গভীর রাত
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা ও মান্নু
ঘটনা : আনোয়ারকে রিক্সায় করে কিনিকে নিয়ে যায় আয়েশা । রিক্সায় যেতে যেতে তার ভাই ক্যাডার মান্নুর সাথে ফোনে কথা বলে।
একটি রিক্সায় করে কিনিকের দিকে যাচ্ছে আনোয়ার ও আয়েশা। আয়েশা মোবাইল ফোনে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলছে। আনোয়ার তাকে বিরক্ত করে যাচ্ছে।
আয়েশা : তুই এখন কোথায় ?
মান্নু : আছি, কাছাকাছিই আছি। ব্যস্ত আছি। ক্যান জিগাও ?
আয়েশা : তোর দুলাভাইয়ের শরীর খারাপ, পেটে ব্যথা। কিনিকে নিয়ে যাচ্ছি। তুই আয়।
মান্নু : তুমি যাও, আমি আসতাছি।
আয়েশা : তুই দেরি করবি না।
মান্নু : শোন আপা, আমি ব্যস্ত মানুষ। রাজনীতি করি। নানা লোকের কাজে যাইতে হয়, জনসেবা। তুমি যাও, গিয়া আমারে ফোন লাগায়া দেও।
(রিক্সা সামনের দিকে এগিয়ে যায়।)
কাট।

দৃশ্য - ০৪
স্থান : কিনিক
সময় : গভীর রাত
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা, রিসেপসনিস্ট, নার্স, মান্নু ও লালু ।
ঘটনা : আনোয়ারকে কিনিকে নিয়ে যায় আয়েশা। কিন্তু ডাক্তার পাওয়া যায় না। নার্স আনোয়ারকে সামলাতে চেষ্টা করে, পারে না। আনোয়ার নার্সকে একটা পরীর মতো দেখতে পায়। আসে আয়েশার ভাই ক্যাডার মান্নু ও তার এক চ্যালা লালু। ক্যাডার মান্নুকে শুয়োরের মতো ঘোৎ ঘোৎ করতে দেখে আনোয়ার।
কিনিকের বারান্দায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকে আনোয়ার ও আয়েশা। রিসেপসনিস্ট ঘুমাচ্ছে। আয়েশা গিয়ে তাকে ডাকে।
আয়েশা : ভাই, ওনাকে একটু দেখেন।
রিসেপসনিস্ট : আমি ?
আয়েশা : ভাই, একটু দেখেন।
(রিসেপসনিস্ট উঠে আনোয়ারের কাছে যায়। )
রিসেপসনিস্ট : কী হইছে আপনের ?
আনোয়ার : (ধমক দেয়) তুমি কে ? তুমি কী ডাক্তার ?
রিসেপসনিস্ট : না।
আনোয়ার : তাহলে তুই মাতব্বরি করছিস কেন ? ডাক্তার ডাক।
(রিসেপসনিস্ট তার জায়গায় ফিরে যায়। )
আনোয়ার : (আয়েশাকে) কোত্থেকে উল্টাপাল্টা লোক ধরে এনেছ ? ডাক্তারও চেন না ?
(আয়েশা রিসেপসনিস্টের কাছে যায়। আনোয়ার চিৎকার করতে থাকে। )
আয়েশা : (রিসেপসনিস্টকে) ভাই, এখন কী হবে ?
রিসেপসনিস্ট : এইখানে চিল্লাচিল্লি কইরা লাভ নাই। এত রাইতে ডাক্তার নাই। অন্য কোথাও যান।
(আনোয়ার চিৎকার করতে থাকে। আসে নার্স। )
নার্স : কী ব্যাপার ? আপনারা হৈ চৈ করছেন কেন ?
আয়েশা : উনার পেটে ব্যথা ।
নার্স : কোথায় ব্যথা ?
আনোয়ার : (নার্সের দিকে তাকিয়ে উল্টো দিকে দেখায়। পরে দেখায় বুকে। ) এখানে।
আয়েশা : তুমি না বললা তোমার পেটে ব্যথা !
আনোয়ার : হ্যা, এখন তো ব্যথাটা উপরে উঠে গেল।
(নার্স আনোয়ারের পেটে হাত দিয়ে দেখতে থাকে। নার্সের দিকে তাকিয়ে থাকে আনোয়ার। দেখে একটা পরী তার সামনে উড়ছে। হঠাৎ মান্নু ও লালুর চিৎকারে ঘোর কেটে যায়। আসে মান্নু ও লালু। )
মান্নু : কী ব্যাপার, দুলাভাইরে এইখানে ফালায়া রাখছে ক্যান ?
আয়েশা : কোন ডাক্তার নাই।
মান্নু : ডাক্তার নাই মানে ? ডাক্তার পয়দা কইরা নিয়া আসতে হইব। এই লালু, দেখ ত, কোন ব্যাটার এত্ত সাহস মান্নুর দুলাভাইরে এইভাবে ফালায়া রাখছে।
(লালু রিসেপসনিস্টের কাছে যায়। )
লালু : ওই ডাক্তার কই ?
রিসেপসনিস্ট : স্যার, এত রাতে তো ডাক্তার নেই, স্যার।
লালু : ডাক্তার পয়দা কইরা নিয়া আস।
রিসেপসনিস্ট : এত রাতে কোন ডাক্তারকে কল দেয়া যাবে না। উনাকে অন্য কোথাও নিয়ে যান।
(রিসেপসনিস্টকে এক চড় লাগায় লালু। হতভম্ব হয়ে যায় রিসেপসনিস্ট। ভয়ে পালিয়ে যায় নার্স। )
লালু : উনারে চিনস ? ক্যাডার মান্নু। উনার দুলাভাইয়ের পেটে ব্যথা। মানে, এই শহরের সবার পেটে ব্যথা।
রিসেপসনিস্ট : স্যার, আমি এুণি ডাক্তারের ব্যবস্থা করছি।
(রিসেপসনিস্ট ফোন করতে থাকে। )
কাট।

দৃশ্য - ০৫
স্থান : কিনিক
সময় : গভীর রাত
চরিত্র : জুনিয়র ডাক্তার, ক্যাডার মান্নু, লালু
ঘটনা : বাড়ি থেকে জুনিয়র ডাক্তার আসে। তার সাথে দুর্ব্যবহার করে ক্যাডার মান্নু ও লালু।
(জুনিয়র ডাক্তার তার চেম্বারে অপো করছে। তার ফোন বেজে ওঠে। বিরক্ত হয়ে ফোন ধরে। )
জুনিয়র ডাক্তার : (বিরক্ত) এত ফোন করিস ক্যান ? আমি চেম্বারে।
রিসেপসনিস্ট : স্যার, উনারা আপনারে খুজতাছে। মাইর দিব মনে হয়।
জুনিয়র ডাক্তার : মানে ? মার দেবে কেন ?
রিসেপসনিস্ট : স্যার, পারলে ভাইগ্যা যান। অগো লগে পিস্তল আছে। গুলিও করতে পারে।
জুনিয়র ডাক্তার : বল কী ! আমি তো চেম্বারের ভিতরে। পালাব কিভাবে ?
(হঠাৎ চেম্বারের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে ক্যাডার মান্নু ও লালু। ভয় পেয়ে লাইন কেটে দেয় জুনিয়র ডাক্তার। )
জুনিয়র ডাক্তার : কে আপনারা ?
লালু : আপনে কি ডিউটি ডাক্তার ?
জুনিয়র ডাক্তার : জ্বি।
লালু : বাড়ি গিয়া ঘুমান ক্যান ?
জুনিয়র ডাক্তার : ঘুমাব কেন ? সেবাই আমাদের কাজ। বলেন, আপনাদের জন্য কী করতে পারি ?
মান্নু : যা করতে পারতেন, সেইটা তো করেন নাই। ব্যাপার না, এই দেশে সবাই এমন করে। লালু, হেরে পিকআপ কর।
(লালু ডাক্তারকে পিস্তল ধরে। ভয় পেয়ে যায় ডাক্তার। )
কাট।

দৃশ্য - ০৬
স্থান : কিনিক
সময় : গভীর রাত
চরিত্র : আনোয়ার, তার শ্বশুর, আয়েশা, ক্যাডার মান্নু, লালু ও ডাক্তার
ঘটনা : আনোয়ারকে কিনিকে দেখতে আসে তার শ্বশুর। শ্বশুরের বাচালতাকে ছাগলের প্রলাপ বলে দেখে আনোয়ার। ডাক্তার এসে তার চিকিৎসা শুরু করে। অনেকগুলো টেস্ট দেয়।
(আনোয়ার পেটের নিচে বালিশ দিয়ে বিছানার উপর উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। হঠাৎ সে নানাভাবে মোচড়াতে থাকে এবং চিৎকার করতে থাকে। তাকে ধমক দেয় তার স্ত্রী আয়েশা। )
আয়েশা : তুমি এই রকম চিৎকার করছ কেন ? এটা কিনিক। চুপ করে শুয়ে থাকো।
আনোয়ার : ব্যথা তো আমার, তুমি কি বুঝবে ? আমার পেটটা একটু মালিশ করে দাও।
(আয়েশা কিছু বলে না, বিরক্ত হয়। চুপ করে বসে থাকে। আনোয়ার তার গায়ে গিয়ে পড়ে। )
আয়েশা : এই রকম করবে না। চুপ করে থাক।
আনোয়ার : ডাক্তার কোথায় ?
আয়েশা : মান্নু ডাক্তার আনতে গেছে।
আনোয়ার : তাহলেই হয়েছে। ওই শুয়োরটার আশায় থাকলে আমার মরণ ছাড়া পথ নাই।
আয়েশা : বাজে কথা বলবে না।
আনোয়ার : (স্বগত ) ভালো শিা দিয়েছি। আমার সাথে লাগালাগি করার ফল তুমি টের পাবে। ঘুঘু দেখিয়ে ছাড়ব তোমাকে। আমি যে কেমন ধুরন্ধর সেটা বুঝিয়ে দেব।
(এমন সময় গলাখাকারি দিয়ে আসে আয়েশার বাবা। শ্বশুরকে দেখেই আনোয়ার পাশ ফিরে শোয়। )
আনোয়ার : (স্বগত) ওই যে, আরেক সবজান্তা এলেন।
আয়েশা : বাবা, তুমি আবার এত রাতে কষ্ট করে এলে কেন ?
শ্বশুর : শুনলাম জামাইয়ের শরীর খারাপ। কী হয়েছে ?
(শ্বশুর এসে একটা চেয়ারে বসে। )
আয়েশা : সামান্য পেট ব্যথা।
আনোয়ার : সামান্য ! আমি পেটের ব্যথায় মরছি।
শ্বশুর : মরবেই তো। কতবার বললাম, অনিয়ম করবে না। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া কর। সময় মতো বিশ্রাম নাও। আমার কথা তো শুনবে না। কেবল চাকুরি আর বন্ধু বান্ধব। সংসারের প্রতি কোন মনোযোগ নাই। .....(আনোয়ার কেবল ছাগলের ডাক
শুনতে পায়। ) .......... (হঠাৎ হৈ চৈ শুনে আনোয়ারের ধ্যান ভেঙ্গে যায়। ডাক্তার নিয়ে এসেছে মান্নু ও লালু। )
মান্নু : ভালো কইরা দেখেন, ডাক্তার। কোন উল্টাপাল্টা করবেন না।
(ডাক্তার নীরবে আনোয়ারকে দেখে। পেটে চাপ দেয়। আনোয়ার চিৎকার করে ওঠে। )
লালু : হেই মিয়া, আপনে ডাক্তার না কসাই ? দুলাভাইরে তো মাইরা ফালাইছেন।
মান্নু : সাবধান, উল্টা পাল্টা কইরেন না। (আনোয়ারকে) দুলাভাই, নো টেনশন। আমরা তো আছি।
(ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম লিখে লালুকে দেয়।
জুনিয়র ডাক্তার : এই ঔষধগুলো আপাতত খাওয়ান। আর কতগুলো টেস্ট লিখে দিয়েছি, কাল সকালে করাবেন।
লালু মান্নুর সামনে এসে দাঁড়ায়।)
লালু : বস।
মান্নু : ঔষধের দোকানে গিয়া আমার নাম কবি।
(লালু চলে যায়। )
জুনিয়র ডাক্তার : আমি এখন যাই।
লালু : যান, কিন্তু বাড়ি চইল্যা যাইয়েন না। আমার দুলাভাই ভালো না হওয়া পর্যন্ত আপনের বাড়ি যাওয়া বন্ধ।
জুনিয়র ডাক্তার : ঠিক আছে, আমি চেম্বারে আছি।
(ডাক্তার চলে যায়।)
কাট।

দৃশ্য - ০৭
স্থান : কিনিক
সময় : সকাল
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা ও তার বন্ধু শফিক
ঘটনা : আনোয়ারকে কিনিকে দেখতে আসে তার বন্ধু শফিক। সে উল্টোপাল্টা কথা বলে আনোয়ার ও আয়েশাকে ক্ষেপিয়ে দেয়। বন্ধুকে গাধার মতো দেখতে পায় আনোয়ার।
(আনোয়ার কিনিকের খাটে শুয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। তার সামনে বসে ঝিমাচ্ছে আয়েশা। এমন সময় আনোয়ারের বন্ধু শফিক আসে। )
শফিক : আনোয়ার, কী হয়েছে তোর ?
আনোয়ার : পেটে ব্যথা।
শফিক : হবেই তো। কত করে বললাম, অতো খাস না। আমার কথা তো শুনলি না। এখন বোঝ ঠ্যালা। একেবারে কিনিকে ভর্তি। ডাক্তারকে বলেছিস ?
আনোয়ার : কী বলব ডাক্তারকে ?
শফিক : আমি আগেই জানতাম, তুই বিষয়টা গোপন করবি। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গোপন করলে রোগের চিকিৎসা হবে কিভাবে ? ভাবী, আপনি আবার মাইন্ড করবেন না। আমি একটু খোলামেলা কথা বলাটা পছন্দ করি। আর তাছাড়া ডাক্তারের কাছে লুকানো মানে তো নিজেরই সর্বনাশ করা।
আনোয়ার : কী বলছিস তুই উল্টাপাল্টা ? তোকে খবর দিল কে ?
শফিক : বন্ধুই তো বন্ধুর খবর রাখে। তোর ফোন তো কাল থেকে বন্ধ। তোর পাশের ফ্লাটের ছেলেটাকে ফোন করলাম। বলল, তোকে নাকি কিনিকে নিয়ে গেছে। আমি তখনই বুঝলাম, তোর রিএকশন হয়ে গেছে।
আনোয়ার : কিসের রিএকশন ?
শফিক : সেই দিন যে লালপানি খেলি, সেটার রিএকশন। তোর তো এ সব খেলেই রিএকশন হয়।
(আনোয়ার বিব্রত হয়ে আয়েশার দিকে তাকায়। আয়েশা রাগে কটমট করছে। ভয় পেয়ে যায় আনোয়ার। )
আনোয়ার : (শফিককে) তুই এখন যা।
শফিক : যাব তো। কিন্তু তার আগে কয়েকটা কথা বলে যাই। মনে কর, তোর সমস্যার কথা ডাক্তারকে বললি না। ডাক্তার কী করবে ? ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করবে । ডাক্তারের তো আর ..... (আনোয়ার দেখতে পায় তার সামনে একটা গাধা বসে চিৎকার করছে। ) ..... ভাবী, যাচ্ছেন কোথায় ?
(আনোয়ার সম্বিৎ ফিরে পেয়ে দেখে আয়েশা উঠে চলে যাচ্ছে। তাকে বোঝাচ্ছে শফিক। )
শফিক : না, না, ভাবী, আপনি তো রাগ করলে হবে না। সত্যি কথা তো ডাক্তারকে জানাতে হবে। নইলে তো ওর বিরাট তি হয়ে যাবে। ভুল চিকিৎসা হবে ....
আনোয়ার : ভাই, তোর পায়ে ধরি, তুই এখন যা।
শফিক : যাব কেন ? আমার তো কোন কাজ নাই।
আনোয়ার : তাইলে ডাক্তারের কাছে যা। আমার কাছে বসে বকবক করে কী লাভ ?
শফিক : ঠিক তো, ডাক্তারের সাথে সরাসরি কথা বললেই তো ভালো হবে। আচ্ছা, আমি বরং ডাক্তারের সাথে কথা বলি।
(শফিক উঠে চলে যায়। আনোয়ার আয়েশার দিকে তাকায়। আয়েশা থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছে। )
আনোয়ার : একটা ফাজিল লোক।
আয়েশা : হ্যা, তুমি খুব ভালো লোক।
(উঠে চলে যায় আয়েশা। বোকার মতো তাকিয়ে থাকে আনোয়ার। )
কাট।

দৃশ্য - ০৮
স্থান : কিনিক
সময় : দুপুর
চরিত্র : সিনিয়ন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, ক্যাডার মান্নু ও লালু
ঘটনা : সিনিয়র ডাক্তার টেস্টগুলো দেখে। কোন রোগ ধরা পড়ে না। ক্ষেপে যায় ক্যাডার মান্নু । আবার টেস্ট দেয়ার বুদ্ধি বের করে সিনিয়র ডাক্তার।
সিনিয়র ডাক্তার টেস্ট দেখছে। তার সামনে বসে আছে জুনিয়র ডাক্তার, ক্যাডার মান্নু ও লালু। এক সময় সে জুনিয়র ডাক্তারের দিকে তাকায়।
সিনিয়র ডাক্তার : প্রোবলেম হয়ে গেল দেখছি।
মান্নু : ডাক্তার সাহেব, দুলাভাইয়ের সমস্যাটা কী ?
সিনিয়র ডাক্তার : সেটাই তো ধরা পড়েনি।
লালু : ধরা পড়ে নাই ? তাইলে এতগুলি টেস্ট করাইলাম কি জন্য ? (জুনিয়র ডাক্তারকে) এইগুলি কী টেস্ট দিছেন ? রোগ ধরা পড়ল না ক্যান ?
সিনিয়র ডাক্তার : থামুন, একটু ভাবতে দিন। ওকে দোষ দিয়ে কী হবে ?
মান্নু : ওই তো টেস্টগুলি দিছে।
সিনিয়র ডাক্তার : শোনেন, আপনারা এক মিনিটের জন্য বাইরে গিয়ে বসুন। একটু ভাবতে দিন।
লালু : বাইরে গিয়া বইব মানে ? বস ।
সিনিয়র ডাক্তার : (জুনিয়র ডাক্তারকে) ওদেরকে একটু বোঝাও। বাইরে যেতে বল।
(জুনিয়র ডাক্তার ওদের দু’জনকে ইশারা করে। )
মান্নু : আচ্ছা, আমরা বাইরে গিয়া বসলাম। সময় এক মিনিট। এর মধ্যে একটা সমাধান চাই।
(মান্নু ও লালু বাইরে চলে যায় । দরজা আটকে আসে জুনিয়র ডাক্তার। )
সিনিয়র ডাক্তার : এটা কি করেছ ? কী সব আলতু ফালতু জায়গায় টেস্ট করতে পাঠাও ? ওটা কোন টেস্টের জায়গা হল ? এত কমিশন চিন্তা করলে চলে ?
জুনিয়র ডাক্তার : কী যে বলেন, স্যার। ওটা তো সবাই খায়।
সিনিয়র ডাক্তার : খাও, মারও খাও।
জুনিয়র ডাক্তার : স্যার, একটা বুদ্ধি বের করেন। নইলে মার খেতেও হতে পারে।
সিনিয়র ডাক্তার : আর বুদ্ধি কী ? আবার টেস্ট করাতে হবে।
জুনিয়র ডাক্তার : স্যার, আবার টেস্টের কথা বললে আসলেই মার খেতে হবে।
সিনিয়র ডাক্তার : শোন, আমি টেস্ট লিখে দিচ্ছি। তুমি ওদের হাতে দিয়েই চলে আসবে।
(সিনিয়র ডাক্তার প্রেসক্রিপশনের টেস্টগুলো লেখে। জুনিয়র ডাক্তার তাকিয়ে থাকে। )
কাট।

দৃশ্য - ০৯
স্থান : কিনিক (আনোয়ারের কেবিন)
সময় : সন্ধ্যা
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা, বন্ধু শফিক, জুনিয়র ডাক্তার, ক্যাডার মান্নু ও লালু।
ঘটনা : আনোয়ারের রোগ না ধরা পড়া নিয়ে সবাই চিন্তিত। এমন সময় জুনিয়র ডাক্তার এসে জানায়, আরও টেস্ট করতে হবে। ক্যাডার মান্নু ডাক্তারের সঙ্গে রাগ করতে যায়। তাকে থামায় বন্ধু শফিক।
(আনোয়ার আগের মতোই কোঁকাচ্ছে। পাশে বসে আছে আয়েশা। ক্যাডার মান্নু ও বন্ধু শফিক কথা বলছে )
ক্যাডার মান্নু : বুজতাছি না। রোগ ধরা পড়ল না ক্যান ?
শফিক : রোগ আর কী ? রি-একশন ?
আনোয়ার : আমার কোন রি-একশন হয় নাই।
আয়েশা : (আনোয়ারকে) তুমি কথা বলবা না।
লালু : বস, মনে হয় ভুল টেস্ট দিছে। শালাগো ধইরা মাইর দিলেই টেস্ট ঠিক হয়া যাইব।
(জুনিয়র ডাক্তার আসে। )
ক্যাডার মান্নু : (জুনিয়র ডাক্তারকে) কী হইছে ?
জুনিয়র ডাক্তার : (শফিককে) ভাই, একটু শুনবেন ?
ক্যাডার মান্নু : ওনারে কী ? আমারে কও।
শফিক : (মান্নুকে) দাঁড়াও, দেখি কী বলে ।
(শফিক জুনিয়র ডাক্তারের সাথে একটু দূরে যায়। তারা কথা বলে)
শফিক : বলেন।
জুনিয়র ডাক্তার : দয়া করে ওনাকে বলবেন না। ওনার যা মাথা গরম।
শফিক : বলব না, বলেন কী ঘটনা ।
জুনিয়র ডাক্তার : আমার বস বললেন, আবারো টেস্ট করতে হবে।
(জুনিয়র ডাক্তার টেস্ট লেখা প্রেসক্রিপশনটা শফিকের হাতে দেয়। )
শফিক : আবার কেন ?
জুনিয়র ডাক্তার : রোগ তো ধরা পড়ছে না । রোগ না ধরা পড়লে আবার টেস্ট না করে উপায় কী ?
(এগিয়ে আসে ক্যাডার মান্নু ও লালু)
ক্যাডার মান্নু : কিয়ের এত ফাসুর ফুসুর ?
জুনিয়র ডাক্তার : আমি যাই।
(জুনিয়র ডাক্তার চলে যায়। )
ক্যাডার মান্নু : কী দিয়া গেল ?
শফিক : শোন ভাই, সব কিছু তোমার রাজনীতি না। সব কিছু গায়ের জোরে হয় না।
(শফিক আনোয়ারের বেডের কাছে যায়। ক্যাডার মান্নু ও লালু বোকার মতো পরস্পরের দিকে তাকায়।
কাট।

দৃশ্য - ১০
স্থান : কিনিক (ডাক্তারদের কেবিন)
সময় : সকাল
চরিত্র : সিনিয়র ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, ক্যাডার মান্নু ও লালু
ঘটনা : দ্বিতীয় দফা রোগ ধরা পড়ে না। আনোয়ারের রোগ না ধরা পড়া নিয়ে এবার চিন্তিত দুই ডাক্তার। তারা শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি করে এপেনডিসাইটিস অপারেশনের। ক্যাডার মান্নুকে তারা এই সুখবর জানায় । মান্নু ও লালু আনন্দ করে।
(সিনিয়র ডাক্তার বসে বসে পত্রিকা পড়ছে। আসে জুনিয়র ডাক্তার)
জুনিয়র ডাক্তার : স্যার, এই নেন আপনার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট। এবারও কোন রোগ ধরা পড়েনি।
সিনিয়র ডাক্তার : বল কী ! এটা কিভাবে সম্ভব ?
জুনিয়র ডাক্তার : এবার বলেন, আমি খালি কমিশন খাই।
সিনিয়র ডাক্তার : শোন, ওই দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খুব পার্থক্য নেই।
জুনিয়র ডাক্তার : এখন কী হবে ? ক্যাডার মান্নু তো পিস্তল নিয়ে ঘুরছে।
স্যার, আমার খুব ভয় করছে। কোন সময় গুলি করে দেয়।
সিনিয়র ডাক্তার : দাঁড়াও, আমাকে একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে দাও। পেটে ব্যথা, তাই না ? কোন রোগ ধরা পড়ছে না। কারণটা কী ?
(সিনিয়র ডাক্তার ও জুনিয়র ডাক্তার দু’জনে চিন্তা করে। জুনিয়র ডাক্তারকে খুবই চিন্তিত দেখায়। ধীরে ধীরে সিনিয়র ডাক্তারের মুখ আনন্দে ভরে ওঠে। বোঝা যায়, সে বিষয়টা সমাধান করে ফেলেছে। )
সিনিয়র ডাক্তার : ডাক ওদের।
জুনিয়র ডাক্তার : ডাকব ? রোগ ধরা পড়ে নি বললে ওরা ডাইরেক্ট গুলি করে দেবে।
সিনিয়র ডাক্তার : গুলি খেলে আমি খাব, তোমার এত টেনশন করার কিছু নাই। ডাক।
(জুনিয়র ডাক্তার উঠে বাইরে চলে যায়। কিছুণ পর আসে মান্নু ও লালু। দরজায় দাঁড়িয়ে উকি দিয়ে থাকে জুনিয়র ডাক্তার। )
ক্যাডার মান্নু : আবারও টেস্ট দেয়ার মতলব করতাছেন নাকি ?
সিনিয়র ডাক্তার : ছিঃ ছিঃ তা কেন ? আপনার দুলাভাইয়ের রোগ ধরা পড়েছে।
লালু : ধরা পড়ছে ? কী রোগ ?
সিনিয়র ডাক্তার : এপেন্ডিসাইটিস।
লালু : এইটা আবার কী রোগ ? বস।
মান্নু : বুজলাম না, কী উল্টাপাল্টা নাম কইতাছেন।
সিনিয়র ডাক্তার : খুব ছোট একটা পেটের রোগ। একটা অপারেশন করলেই ঠিক হয়ে যাবে।
লালু : বস, এইটা তো খুবই আনন্দের কথা। শেষ পর্যন্ত রোগ ধরা পড়ছে।
সিনিয়র ডাক্তার : খুবই আনন্দের ব্যাপার।
লালু : বস, এক হাড়ি মিষ্টি আনামু ?
মান্নু : এইটা হাসপাতাল, আনন্দ ফুর্তির জায়গা না।
লালু : চলেন, বস, সবাইরে খরবটা দিয়া আসি।
মান্নু : (উঠে দাঁড়ায়) শোনেন, দুলাভাই ঠিক হইব তো ?
সিনিয়র ডাক্তার : অবশ্যই হবে।
মান্নু : বুইজেন, না হইলে কিন্তু। লালু, ঘুইরা দাঁড়া তো।
(লালু ঘুরে দাঁড়ায়। ডাক্তার বোকার মতো লালুর ঘাড়ের দিকে তাকায়।)
সিনিয়র ডাক্তার : দেখলাম, কী সমস্যা ?
মান্নু : উপরে না, নিচের দিকে দেহেন।
(ডাক্তার নিচের দিকে দেখে। দেখে, লালুর কোমরে একটা পিস্তল গোজা। ভয় পেয়ে যায় ডাক্তার। মান্নু ডাক্তারের ভয় পাওয়া দেখে মজা করে হাসে। মান্নু ও লালু চলে যায়। যাওয়ার আগে লালু জুনিয়র ডাক্তারের সাথে একটু নেচে যায়। ওরা চলে গেলে জুনিয়র ডাক্তার ভেতরে আসে। )
জুনিয়র ডাক্তার : স্যার, আপনার অনেক বুদ্ধি।
(সিনিয়র ডাক্তার সম্বিৎ ফিরে পায়। বোকার মতো হাসে। )
কাট।

দৃশ্য - ১১
স্থান : কিনিক (অপারেশন থিয়েটার )
সময় : বিকাল
চরিত্র : আনোয়ার, সিনিয়র ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্স ।
ঘটনা : আনোয়ারকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় ডাক্তার। অপারেশন টেবিলে শুয়ে আনোয়ার দেখতে পায় ডাক্তারের জায়গায় একটা কসাই চাপাতি নিয়ে কোপাতে হাজির। ডাক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে নার্সরূপী ডাইনি। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারায় সে।
(আনোয়ারকে স্ট্রেচারে করে অপারেশন থিয়েটারের দিকে নেয়া হচ্ছে। তার পাশে পাশে যাচ্ছে আয়েশা, তার বন্ধু শফিক ও শালা ক্যাডার মান্নু।
আনোয়ার ডাক্তারের দিকে তাকায়। দেখে একটা কসাই চাপাতি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নার্সের দিকে তাকায়, দেখে, নার্স পরী থেকে ডাইনি হয়ে গেল। তারা তাকে নিয়ে আসে অপারেশন থিয়েটারের সামনে। এক সময় ওকে নিয়ে ঢুকে পড়ে অপারেশন থিয়েটারে। ডাক্তার তার প্রেসার চেক করতে থাকে। হঠাৎ করে আনোয়ার ডাক্তারের পায়ে ধরে। )
আনোয়ার : আমার কিছু হয় নি, ডাক্তার। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ।
সিনিয়র ডাক্তার : আপনার কিছু হোক বা না না হোক, আপনার অপারেশন করতে হবে। আমরা গুলি খেতে চাই না। নার্স, ইনজেকশন।
(নার্স তাকে একটা ইনজেকশন এগিয়ে দেয়।)
সিনিয়র ডাক্তার : কী হল, সবাই দাঁড়িয়ে আছ কেন ? প্যাসেন্টকে পজিশনে নাও।
(সবাই মিলে আনোয়ারকে ধরে উপুড় করে শোয়ায়। আনোয়ার চিৎকার করতে থাকে। )
আনোয়ার : ডাক্তার, আমি পুরো সুস্থ। আমার কিছু হয় নি। আমি আমার গিন্নির সাথে মজা করছিলাম।
সিনিয়র ডাক্তার : (সবাই অবাক ) তাই নাকি ? বাঃ বেশ। আমরাও এখন আপনার সাথে মজা করব। প্যাসেন্টকে ধরেন।
(সবাই মিলে আনোয়ারকে চেপে ধরে। ডাক্তার ইনজেকশন দেয়। )
আনোয়ার : আমি আসলেই মজা করছিলাম। আপনি বিশ্বাস করেন। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। আমি একেবারে সুস্থ।
(কথা বলতে বলতে কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায় আনোয়ার। অজ্ঞান হওয়ার আগে দেখতে পায় তার পাশে চাপাতি হাতে দাড়িয়ে আছে একটা কসাই। আর নার্সকে দেখতে পায় একটা ডাইনিরূপে।)
ডিজলভ।

দৃশ্য - ১২
স্থান : আনোয়ারের ফ্লাট
সময় : রাত
চরিত্র : আনোয়ার, আয়েশা ও হোসেন আলী।
ঘটনা : আনোয়ার বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। তার পেটে ব্যান্ডেজ। তার স্ত্রী ডাক্তারের কাগজপত্র নিয়ে এসে তার সঙ্গে রাগারাগি করে। তার শ্বশুর এলে আনোয়ার তাকে এই কাগজগুলো ধরিয়ে দেয়।
(আনোয়ার তার বাড়িতে খাটে শুয়ে আছে। আসে আয়েশা। তার হাতে ডাক্তারের সকল কাগজপত্র। )
আয়েশা : এই নাও। এখন কিভাবে এত লোন শোধ করবে তাই ভাব ।
(আনোয়ার কাগজপত্রগুলো নেড়ে চেড়ে দেখে। তারপর বালিশের কাছে রেখে দেয়। )
আয়েশা : কোন কথা বলছ না যে ।
আনোয়ার : লোনটা দিল কে ?
আয়েশা : শফিক ভাই ।
আনোয়ার : তুমি যেভাবে বড় গলায় বলছ, আমি তো ভেবেছি শুয়োরটা নাকি টাকা দিল।
আয়েশা : আমার ভাইকে শুয়োর বলবে না।
আনোয়ার : এই অপারেশনে তো এত টাকা খরচ হওয়ার কথা না। এখানে কোন রাজনীতি আছে কি না, একটু ভাব।
আয়েশা : আমার ভাই সম্পর্কে আর একটাও বাজে কথা বলবে না।
(আসে আয়েশার বাবা হোসেন আলী)
আয়েশা : বাবা, তুমি আবার এত কষ্ট করে কেন এলে ?
হোসেন আলী : খোঁজ খবর নিতে এলাম। তোদের কী অবস্থা ?
(আনোয়ার বালিশের কাছ থেকে কাগজপত্রগুলো নিয়ে হোসেন আলীর হাতে দেয়। হোসেন আলী দেখে)
হোসেন আলী : এত টাকা খরচ হল কেন ?
আনোয়ার : আপনার গুণধর পুত্রের কাণ্ড।
আয়েশা : উপকার করে দেখি এখন বদনাম হয়ে গেল। তোমার ধারে কাছেও আসা উচিত না।
হোসেন আলী : না, ঠিক আছে। টাকা বোধহয় একটু বেশি খরচ হয়ে গেছে। মান্নু একটু বেশি হাতখোলা। সমস্যা নাই, তোমার শ্বশুর তো আর মরে যায় নি।
( আনোয়ার হাসে। আয়েশা রাগ করে চলে যায়। )
হোসেন আলী : ও এভাবে চলে গেল কেন ?
আনোয়ার : আপনার মেয়ে এই রকমই।
হোসেন আলী : তা, অবশ্য ঠিক। সবাই তো সমান হয় না। তুমিও তো কারও কথা শোন না। কতবার বললাম, অনিয়ম করবে না। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া কর। সময় মতো বিশ্রাম নাও। আমার কথা তো শুনবে না। কেবল চাকুরি আর বন্ধু-বান্ধব। সংসারের প্রতি কোন মনোযোগ নাই। .....(আনোয়ার কেবল ছাগলের ডাক
শুনতে পায়। ) ..........
সমাপ্ত।

এই প্রজেক্ট সম্পর্কে আগের পোস্ট :
নিজের ঢোল ফাটানো পুস্ট : একটি সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×