আজকের পর্বঃ টয়োটা করোলা ১৯৯০ মডেল
javascript:void(1);
আমাদের দেশের রাস্তায় চলার জন্য এটি এখনো খুবই ভালো একটি গাড়ি। সাধারনত এটিকে ইই৯০ বলা হয়। এটির ১৩০০ সিসি ও ১৫০০সিসি, ম্যানুয়াল ও অটো গিয়ার দুরকমের মডেলই আছে। আমি ১৩০০সিসি অল ম্যানুয়াল মডেলটি কয়েকদিন ব্যবহার করেছি। ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে আমি এ মডেলের গাড়ি ১৪৫ কিঃমিঃ স্পীডে চালিয়েছি। ঢাকার রাস্তায় এটি খুবই ভালো চলে, মাটি থেকে হাইট অন্যান্য সিডানের চেয়ে একটু বেশী হওয়ার উচানিচা বা ভাংগা রাস্তায় চলাচলের জন্য অপেক্ষাকৃত কম অসুবিধা হয়। তাছাড়া সকেট জাম্পার ও স্প্রীংয়ের উপর আলাদা গ্যাটিস লাগিয়ে গাড়িটি উচাকরা যায়। তবে ইন্জিন কন্ডিশন খুব ভালো না থাকলে ১৩০০সিসি মডেলটিতে এসি ব্যবহার করা কঠিন। এই গাড়িটির সবচেয়ে ভালো দিকটি হচ্ছে এটির স্পেয়ার পর্টসের দাম খুব কম এবং আমাদের এখানকার মেকানিকসরা এটির কাজ করতে এক্সপার্ট ফলে সহজেই যেকোন সমস্যা সমাধান করা যায়। গাড়িটির নিম্ন লিখিত মডল বাজারে পাওয়া যায়
-> অল ম্যানুয়াল
-> পাওয়ার স্টায়ারিং ও অন্যান্য ম্যানুয়াল
-> পাওয়ার স্টায়ারিং, পাওয়ার উইন্ডো ও ম্যানুয়াল গিয়ার
-> অল অটো
এই মডেলের গাড়িতে কার্বুরেটর ও ইএফআই দুরকম ফুয়েল সিস্টেমের ইন্জিন হয়ে থাকে। যেগুলো একটু আগের মডেল ৮৯ এর বা ৯০এর প্রথম দিকের সেগুলোতে কার্বুরেটর ইন্জিন আর যেগুলো ৯০ এর শেষ দিকের বা তার পরের সেগুলোতে ইএফআই ইন্জিন হয়ে থাকে।
ইদানিং এ মডেলের গাড়ির জন্য ক্রিস্টাল হেড লাইট ও ইন্ডিকেটর লাইট পাওয়া যায়।
১৩০০ সিসি ম্যানুয়াল গাড়ির দাম প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা
১৫০০ সিসি অল পাওয়ার গাড়ির দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকা
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৮