Hon'ble Prime Minister Sheikh Hasina inaugurated "Digital Bangladesh: Plan of Connecting People"
আমাদের দেশের মানুষের চেতনার লেভেল দেখে অত্যাশ্চর্য না হয়ে পারছি না। এরা সব আদিম অন্ধকার যুগেই বসবাস করছে। আজ যদি দেখা যেত বাংলাদেশের বর্তমান উত্তলিত হতে থাকা গ্যাসের আশি ভাগ রফতানী করার টেন্ডার ঘোষনা করল। তখন নানা কমিটি দেশে একটিভেট হয়ে পুরো দেশ অচল করে দিত। অথচ বাংলাদেশ ইন্টরনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানী করতেছে। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০শে জুন, ২০১০।
এইটা এদের চেতনার এন্টেনার আশেপাশেও আসলো না। কোথাও কারো টু শব্দটাও শুনলাম। ইলেক্ট্রনিক বা প্রীন্ট মিডিয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না ব্লগেও দেখলাম না। ডিজিটাল বাংলাদেশ সরকারে ৩০০ এমপি ৩০০ ইন্ডিয়ান উচা মত বড় শিংওয়ালা বলদ, সুধী সমাজ তো খামাখা জামা টামা পরে কিছু বুঝে না বুঝে বান্দরের মত কত কথা কয়, হাতি মারে, ঘুড়া মারে একে অন্যের পেছন থেকেও।
অবশ্য এদের এ জন্য সরাসরি দোষটা দেই না, কারন ২০০৭ সাল থেকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়ে, ৮০ ভাগ ব্যান্ডউইথ জোর করে অব্যবহৃত রাখার পরও সাবমেরিনের প্রেসারে ৩ বছরে এই সকল বৃদ্ধ আবালেরা আইটি বিষয়ে যে পরিমাণ সচেতন হয়েছে সেখানে ১৯৯৪ সালে এই ক্যাবলে সংযুক্ত হলে গত ১৬ বছরের সাবমেরিন ক্যাবলের প্রেসারে অবশ্য আবালতম বৃদ্ধটাও ব্যান্ডউইথ গতি ইন্টারনেট ব্যাবহার বিষয়গুলো পানির মত বুঝতো।
>যেখানে ব্যান্ডউইথই হচ্ছে ডিজিটাল দেশের মেরুদন্ড।
>যেখানে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিশ্বের সর্বনিম্ন গতিতে নেটে কাজ করে।
>যেখানে বিশ্বের সর্ব উচ্চ ব্যান্ডউইথ মূল্যের জন্য বাংলাদেশের আইএসপিগুলোকে প্রতি ইউজার ৫ কিলোবাইট হারে ব্যান্ডউইথ ডিস্ট্রিবিউশন প্লান করতে হয়।
>যেখানে সরকার বিশ্বের সর্বচ্চ দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে ব্যবহারকারীর সর্বনিম্ন গতি নিশ্চিত করে।
>যেখানে ২০০৭ সাল থেকে দেশের সর্বপ্রথম সাবমেরিন ক্যাবল তার মাত্র (?) ৪৫মেগাবিট ব্যান্ডউইথের ৮০ ভাগ অব্যবহৃত রাখার উদ্দেশে প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইথের মূল্য তখন এক লাখ (প্রায়) টাকার উপরে রাখে।
>যেখানে আনুমানিক ২০ বছর স্থায়ী সাবমেরিন ক্যাবলটিতে শতশত কোটি টাকায় নেয়া সংযোগে ৮০ ভাগ ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত রাখে।
>যেখানে ১৯৯৪ সালে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত না হলেও ২০০২ সালে প্রস্তাব পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৫ বছর দেরী করে ২০০৭ এ এসে যুক্ত হয় বর্তমান ক্যাবলে।
>যেখানে ১৯৯৪ সালে আমাদের বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবলের পরিবারের তৃতীয় ক্যাবলে দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে ধূয়া তুলে সংযুক্ত হয় না।
>যেখানে ১৯৮৫ সালে এই পরিবারের ২য় ক্যাবলে গোপনীয়তা থাকবে না এই অজুহাতে যুক্ত হয় না।
>যেখানে ১৯৭৯ সালে এই পরিবারের প্রথম ক্যাবলে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা বলে যুক্ত হয় না।
সেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় ঐতিহাসিক ভাবেই চোর চামার আর রাষ্ট্ররিরোধীদের আখড়া তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরা আপনাকে কতটা মক্কেল ভাবে যে আপনাকে আবার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় ?
নিম্নে এই গোবাজদের টেন্ডার নোটিশ সহ সূদূরপ্রসারি দেশ বেচার পরিকল্পনার অতীত নিদর্শন ইভিডেন্স হিসাবে দেয়া হলো। দেখবেন কষ্ট করে আর গালিটা দিবেন আরাম করে।
ঠিকানাঃ http://www.bsccl.com.bd/
প্রেস রিলিজ তারিখ ২০ শে জুলাই ২০০৯
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী লিঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে
সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইডথের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ইন্টারনেট সেবা স¤প্রসারন অপরিহার্য এবং এ প্রেক্ষিতে সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইডথ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। দেশের এ চাহিদাকে সামনে রেখে বিএসসিসিএল ব্যান্ডউইডথের যথাযথ ব্যবহার এবং আগামী ৫ বছরের চাহিদাকে পুরনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইডথ সংরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা করেছে। এই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যেই সরকার ব্যান্ডউইডথ এর মূল্য হ্রাস করছে যাতে সাধারণ মানুষ এই সুবিধা ভোগ করতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ৪৪.৬ Gbps, তার মধ্যে মাত্র ৮ Gbps ব্যান্ডউইডথ সারাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরনের পরও ৩৬.৬ Gbps ব্যান্ডউইডথ অব্যবহৃত রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত সারাদেশের চাহিদা নিরূপন করা হয়েছে ৩৭.০৭৫ Gbps। তারপরও উদ্বৃত্ত থাকবে ৭.৫২৫ Gbps। তাছাড়া সাবমেরিন কেবল আবার আপগ্রেড করা হচ্ছে যা কিনা তৃতীয় আপগ্রেড নামে পরিচিত। এই তৃতীয় পগ্রেডেশনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে সস্তামূল্যে আরও প্রায় ৭ মিলিয়ন MIU * KM অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে আশা করা যায় এবং আগামী ২ বছরের মধ্যেই ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তখন এত বিশাল ব্যান্ডউইডথ অবশ্যই বাংলাদেশকে বিদেশে বিক্রি/লিজ দিতে হবে এবং এ ব্যান্ডউইডথ ফেলে রাখার কোন অবকাশ নেই।
বিটিসিএল এবং বিএসসিসিএল সম্পূর্ণ আলাদা ২টি কোম্পানী। বিএসসিসিএল সাবমেরিন কেবল এর Basic Service Provider। বিএসসিসিএল তাদের গ্রাহক (IIG, IGW) কে Demand Note এর মূল্য পরিশোধের ৭ দিনের মধ্যে ব্যান্ডউইডথ প্রদানের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উল্লেখ্য যে, অপারেশনে
আসার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিএসসিসিএল তার গ্রাহকদের (ম্যাংগো, বিটিসিএল, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক, নভো টেল) সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হয়েছে। বিএসসিসিএল এর দক্ষ জনবল গবেষণা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের কথা ভেবে দেশের চাহিদা মেটানোর পর অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ স্বল্প সময়ের জন্য বিদেশে
লিজ/রপ্তানীর কথা চিন্তা ভাবনা করছে এবং Upgradation #3 এর পর তা ব্যাপক ভাবে হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
যা হোক, বিএসসিসিএল এর পক্ষ থেকে আমরা সংশি−ষ্ট সবাইকে জানাতে চাই যে, যদি আমরা বিদেশে ব্যান্ডউইডথ বিক্রি/লিজ দিতে কার্যক্র হাতে নেই, তবে আমাদের দেশের আগামী ৫ বছরের চাহিদা কে সামনে রেখে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ লিজ দেবো। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের দেশের চাহিদার কথা অবশ্যই আমরা
গুরুত্বের সাথে পূর্ণ করার ব্যবস্থা রেখেই তবে বিদেশে রপ্তানীর কথা ভাববো।
(মোঃ মনোয়ার হোসেন)
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
বিএসসিসিএল
তারিখঃ ২০ জুলাই ২০০৯
উল্লেখ্যঃ তৃতীয় আপগ্রেডেশন কম মূল্য মোট ব্যান্ডউইথ হতো 85 Gbps অথচ এই আপগ্রেডেশন বাতিল করা হয়েছে ডিসেম্বর 2009 এ।
কেন এই রপ্তানীঃ ভারতকে এবার টেলিকরিডোর দেয়া হচ্ছে। ভারতী এয়ারটেল ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স যৌথভাবে বিটিআরসির কাছে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের টেলিকরিডোর স্থাপন করার অনুমতি চাওয়ায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।
এয়ারটেল গত বছরের শেষ দিকে টেলিকরিডোর দেয়ার আবেদন করে। জানা গেছে, এ করিডোর দিয়ে তারা ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সহজ ও সস্তা করতে চায়। তারা আসামে টেলিকরিডোরের জন্য দুটি রুটের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-জাফলং এবং অন্যটি কলকাতা-মেহেরপুর-ঢাকা-কুমিল্লা-আগরতলা রুট। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ভিস্যাটের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত, যা খুবই ব্যয়বহুল। এবং বর্তমানের এই সাজানো টেন্ডারে এই কোরিডোরে ব্যাবন্ডউইথ দেয়া হবে অর্থাৎ ভারতে ইন্টারনেট রফতানী করা হবে। এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সস্তা হবে ও বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছু চার্জ বা ভাড়া পাবে। উল্লেখ্য টেন্ডারের ব্যান্ডউইথের স্টন্ডার্ড প্রাইস ধরা হয়েছে বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথের মূল্যের তিন ভাগের এক ভাগ।
এই চক্রের কর্তাদের তালিকাঃ
১. জনাব রাজিউদ্দিন আহাম্মে রাজু, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
২. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।
৩. মেজর জেনারেল অব জিয়া আহাম্মেদ পিএসপি চেয়ারম্যান বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন)
৪. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ।
৫. জনাব সুনিল কান্তি বোস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সাবমেরিন কম্পানী লিঃ
৬. জনাব সুনিল কান্তি বোস, সভাপতি ন্যাশনাল ফ্রিকোয়েন্সি এলোকেশন কমিটি।
৭. জনাব সুনিল কান্তি বোস, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ক্যাবল শিল্প
৮. হাসানুল হক ইনু এমপি, চেয়ারম্যান সংসদীয় কমিটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।