সেই রায় নিয়ে অনেক ধরণের কথা আছে। আসুন দেখি রায় নিয়ে গোলাম আযম নিজেই কি বলেন। তার একটি তিন খন্ডের আÍজীবনী আছে, নাম জীবনে যা দেখলাম। ভাবলাম পড়ে দেখি কি লিখলো সে।
গোলাম আযম লিখলো, 'এই তৃতীয় বিচারপতি আনওয়ারুল হক চৌধুরী দেওয়ান আবদুল বাসেত সাহেবের জামাতা। আমার মামলায় এ বিচারপতি তৃতীয় জজ হিসাবে নিয়োগের খবর পত্রিকায় পড়ে কয়েকজন জেল কর্মকর্তা আমাকে মুবারকবাদ জানিয়ে বললেন এ বিচারপতির নিকট সুবিচার পাবেন। এ বিচারপতি সম্পর্কে পূর্বে আমার কিছুই জানা ছিল না।'
আসুন দেখি কে এই দেওয়ান আবদুল বাসেত। ১৯৬২ সালে গোলাম আযম ছিল অন্তরীণ অবস্থায়। তার চলাফেরার উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করে সরকার। সেসময় প্রাদেশিক আইন সভায় লিডার অব দি হাউজ ছিলেন দেওয়ান আবদুল বাসেত। ১৯৬৩ সালে গোলাম আযমের এই অন্তরীণ বিষয়টি প্রাদেশিক পরিষদে তোলেন বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার মাওলানা আবদুস সুবহান। দেওয়ার আবদুল বাসেত এ সময় উদ্যোগী হয়ে গোলাম আযমের অন্তরীণ আদেশ প্রত্যাহরের ব্যবস্থা বরে দেন।
গোলাম আযমের ভাসায় শুনুন, 'দেওয়ান সাহেবের বাড়ি মৌলভীবাজার। আমি সাংগঠনিক সফরে সেখানে গেলাম। দেওয়ান সাহেব আমার সঙ্গে দেখা করে তার বাড়ি যাবার দাওয়াত দিলেন।' কথা-বার্তায় এমন শরিফ মানুষ কমই দেখা যায়, সুপুরুষ ছিলেন, ফর্সা ছিলেন.....মৌলভীবাজার গেলে তা বাড়িতে যেতেই হতো-ইত্যাদি ইত্যাদি-এরকম আরো কিছু কথা বার্তা আছে।
গোলাম আযম লিখলো, '১৯৭৪ সালে আমার অবস্থান লন্ডনভিত্তিক ছিলো। প্রতি বছর হজ্জের সময়ে লন্ডন থেকে সৌদি আরব যেতাম। জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ও ইসলামি ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হজ্জ উপলে যেতেন। ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কে মতবিনিময় ও পরামর্শের জন্য আমাদের সমবেত হওয়ার এটাই একমাত্র সহজ সুযোগ ছিল। মক্কায় দেখা হয়ে গেলে দেওয়ান আবদুল বাসেত এক রকম জোর করেই তার বাসায় নিয়ে গেলেন। তার অকৃত্তিম মুহাব্বদ ভুলবার নয়। জানতে চাইলাম দেশে যাবেন কিনা। বললেন, সেখানে মনে মোটেই শান্তি পাই না। ......
এই লোকের জামাতা গোলাম আযমের পক্ষে রায় দিবে সে আর নতুন কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৩