চুমুর মধ্যে ভেজা চুমুই ভাল। ঠোঁটের প্রান্তভাগ স্পর্শ করার সাথে সাথে নীচের ঠোঁটটা টুপ করে গিলে ফেলে জিভের সঙ্গে জিভ লাগিয়ে -----------

খাটি গদ্য আমার কাছে অনেকটা ভেজা চুমুর মত মনে হয়। গদ্যের মধ্যে ভেজা ভেজা হৃদয়ে ছূরি চালানো গদ্য আমার ভাল লাগে

আমি নিশ্চিতভাবে জানি, ব্লগের সাহিত্যিকরা অন্য কথা বলবেন। হয়তবা আমার ছেলেমানুষীতে হেসেও নেবেন দু'একবার। কিন্তু, আমার পছন্দ এরকম। এজন্যই কন্ঠস্বর গোষ্ঠীর লেখকদের হিসেব করা, কঠিন কঠিন শব্দের মাপা গদ্যের চেয়ে সুনীলের গদ্যই আমার বেশি পছন্দ।
ভাবছেন, এর সাথে আমাদের কনফু'র সম্পর্ক কী?
সম্পর্ক আছে।
`যে জীবন দোয়েলের ফড়িঙের', মানুষ হয়েও এমন জীবন চায় যে কনফু - তার ব্যাপারে এটুকু ভূমিকার দরকার আছে।
কনফু'র গদ্য আমার এতটাই জাদুকরী মনে হয়, ও কী লিখেছে কখনো পড়বার প্রয়োজন বোধ করি না। হয়তবা, ও লিখেছে নেহায়ত সাধারণ কোনো ঘটনা, সাউথ আফ্রিকায় যাপিত জীবনের কথা। অথবা হুমায়ুন আজাদের বইয়ের রিভিউ, বা পুরনো দিনের নাটকের গানের কথা।
আমি গদ্যের বুণন, সাবলীল প্রকাশ, রসে (আদিরস নয়) ভেজা শব্দে হারিয়ে যাই।
মুগ্ধ হয়ে পড়ি, কনফু যখন ভার্সিটি লাইফ নিয়ে স্মৃতিকাতরতায় ভোগে।
সাহানা'র গানের চেয়ে কনফুর লেখা রিভিউটাই কেন যেন বেশি ভাল লাগে।
'আজ তোমার মেঘে মেঘে রঙধনু' পড়তে যেয়ে বুকের মধ্যে দুর্বোধ্য এক অনুভূতি হয় - যে ধরণের অনুভূতির সাথে আগে পরিচয় নেই। সাদামাটা, সহজ গদ্যের কি বিপুল ঐশ্বর্য! বুকের ভেতরে অদ্ভুত এক ভাললাগা, সাথে দলাপাকানো একটা কষ্ট একসাথে খিচুড়ী পাকায়। কম্পিউটার স্ক্রীণের কালো কালো অক্ষরগুলো চোখের সদর থেকে মস্তিষ্কে যায় না, সরাসরি জায়গা করে নেয় মনের অন্দরে। হৃদয়ে ছুরি চালায়।
একবার কনফু'র করা কোন একটা পোস্টে আমি বিনীত অনুরোধ করেছিলাম - ও যেন প্রতিদিন অন্তত একপাতা হলেও লেখে। আবারও একই অনুরোধ করছি। আমি প্রতিদিন ও'র লেখা পড়তে চাই।
[পোস্টটাতে তুমি করে বলে গেলাম কনফু'কে। কেন যেন আপনি বলতে ইচ্ছা করল না। বোধহয়, ওর গদ্যের আপন করা জাদুই আমাকে এই সাহসটি দিয়েছে।]
[বানান ভুল থাকলে নিজ দায়িত্বে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি ইউনিকোডে অভ্যস্ত নই।]
[wjsK=http://www.somewhereinblog.net/blog/konfusiasblog/28698242]