somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে লিখিত কিছু বইয়ের তথ্যঃ এইসব লেখকরা কেন রাজাকার খেতাব পেলেন না এটাই বিস্ময়..!!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথম একটা সুচনা দিইঃ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস আসলে যাদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্বরন করি এরকম নিহত আছেন প্রায় ৩৬ জন। এদের মধ্যে আঠার জন ১৪ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকীরা এর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আর এর পরে বাহাত্তরের ত্রিশে জানুয়ারী হারিয়ে যান জহির রায়হান! যাদের চেতনায় ঘাটতি নেই তারা এই লাইনটি ইগনোর করুন। আপনার চেতনা এখন এই তথ্য নিতে প্রস্তুত না...

এবার আসুন সেই বইয়ের তথ্য ও লেখকের নাম জেনে নিই। তাদের দেওয়া তথ্য দেখার পর থেকেই মাথা ঘুরতেছে!

= যারা সেদিন নিহত হলেন তারা সবাই পাকিস্তান সমর্থক ছিলেন। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী নেতৃত্বে ৫৫ জন একটি বিবৃতিতে পাকিস্তানের ঐক্যের পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।

তথ্যসূত্রঃ
১. একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়?- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র, ফিফথ এডিশান
২. চরমপত্র- এম আর আখতার মুকুল।

= তারা নিয়মিত তাদের কর্মস্থলে গিয়েছেন। প্রবাসী সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনামার ১ম দফাই তারা অমান্য করেছেন। এটা শুধু যারা নিহত হয়েছেন তারা নয়, ঢাকা ভার্সিটির সব টিচারই এই নির্দেশ অমান্য করেছেন কারণ তারা সবাই পাকিস্তানপন্থী ছিলেন।

তথ্যসুত্রঃ
১. দুঃসময়ের কথাচিত্র সরাসরি, ড. মাহবুবুল্লাহ ও আফতাব আহমেদ
২. চরমপত্র- এম আর আখতার মুকুল।
৩. প্রধানমন্ত্রী হত্যার ষড়যন্ত্র- কাদের সিদ্দিকী, আমার দেশ ২৭/৯/১১ এবং ১১/১০/১১

= সেদিন যারা নিহত হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় হল তারা সবাই পিকিংপন্থী বাম। এর মধ্যে শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরী নেতাগোচের ছিলেন। পিকিং বা চীনপন্থী বামরা ছিল পাকিস্তানপন্থী।

তথ্যসুত্রঃ
১. একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়?- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র, ফিফথ এডিশান
২. চরমপত্র এবং
৩. বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ- এম আই হোসেন।

= সিপিবি ৩১.০৮.৭১ তারিখে তাদের রাজনৈতিক যে শত্রুর তালিকা করেছে সেখানে বলেছে “মনে রাখতে হইবে চীনের নেতারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করিতেছে ও আমাদের শত্রুদের সাহায্য করিতেছে। দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এসব চীনপন্থীদের সম্পর্কে হুশিয়ার থাকিতে হইবে”।

তথ্যসূত্রঃ
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ- এম আই হোসেন।

= যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলে পিকিংপন্থী কমরেড আব্দুল হক, কমরেড সত্যেন মিত্র, কমরেড বিমল বিশ্বাস ও কমরেড জীবন মুখার্জীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করেন।

তথ্যসূত্রঃ
আমি বিজয় দেখেছি, এম আর আখতার মুকুল।

= কমিউনিস্টদের মটিভেশন ক্লাসে এরকমও বলা হতো, একজন রাজাকারকে যদি তোমরা ধর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, তাকে নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে। বারবার করবে এরকম। এতেও যদি কাজ না হয়, প্রয়োজনে শারীরিক নির্যাতনও করবে। যত পারো তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে কারাগারে নিক্ষেপ করবে। আর যদি কোন চীনপন্থীকে ধর তাহলে সাথে সাথে প্রাণসংহার করবে।

তথ্যসূত্রঃ
দুঃসময়ের কথাচিত্র সরাসরি, ড. মাহবুবুল্লাহ ও আফতাব আহমেদ।

= কাজী জাফর ও রাশেদ খান মেননের দল সহ পিকিংপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও কর্মীদের নিধন করা হবে বলে মুজিব বাহিনীর কর্মীরা হুমকি দিয়েছে। এই কারণে তারা পালিয়ে থাকতেন।

তথ্যসূত্রঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ- ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।

পাকিস্তানের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ঐসব বুদ্ধিজীবী বামপন্থী নেতাদের হত্যা করতে সহযোগীতা করেছে রুশপন্থী বামেরা। এখানেই শেষ নয়। একে একে সকল পাকিস্তানপন্থীদের তারা হত্যা করে।তারা গণহত্যা চালায় বিহারী ক্যম্পে ও মসজিদে মসজিদে। পরে এই মুজিব বাহিনীর সাথে ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দেয় কাদের সিদ্দীকী।

তথ্যসূত্রঃ
১. দ্যা ডেড রেকনিং, শর্মিলা বসু।
২. অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা, মেজর এম এ জলিল।
৩. বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ, এম আই হোসেন।

কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা এসব হিসাব করার টাইম আমাদের নেই। রাজাকার আল বদর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে এর বাহিরে যারা কথা বলবে তাদের জাষ্ট ঝুলিয়ে দেওয়া হোক। ১০ই ডিসেম্বরের আগেই ঢাকা ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে, রাজাকার আল বদর তার আগেই ঢাকা ছেড়ে পালিয়েছিল বলে কেউ তথ্য দিলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুম্মাবার

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

জুম্মাবার
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

প্রতি শুক্রবার ইমাম এর নেতৃত্ব
মেনে নিয়ে আমরা মুসলিমরা
হই একত্রিত, হই সম্মিলিত
ভুলে যাই সবাই হৃদয় ক্ষত!
খুতবা শুনি আমরা একাগ্রচিত্তে
চলে আসি সকলে একই বৃত্তে।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রতিটি মসজিদ
ঐক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষেরা একজোট হতে চাই

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১



ভারত - পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে কি করতে পারি আমরা? একজন নীতিবান, যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে একক এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চলুন নিচে দেখা যাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিদুঁর বনাম অপারেশন নারায়ে তাকবীরের নেপথ্যে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৮


বলতে না বলতেই যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেল। না, যুদ্ধ না বলাই ভালো—রাষ্ট্রীয় অভিনয় বলা ভালো। ভারত ও পাকিস্তান আবার সীমান্তে একে অপরকে চেঁচিয়ে বলছে, "তুই গো-মূত্রখোর ", "তোর দেশ জঙ্গি"।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই পুরোনো সিনেমা

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০৮



ঘটনা হইতেছে, পাকিস্তান জ*গী পাঠাইয়া আক্রমণ করাইছে।

ভারত বলছে 'কাম কি করলি? তোর সাথে যুদ্ধ'। পাকিস্তান বলছে 'মাইরেন না মাইরেন না আমরা মারিনাই, ওই কুলাংগার জ*গীরা মারছে'

'আমরা আপনাগরে ওদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×