somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম প্রিয় মুসলমানরা ক্ষুব্ধ : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কঠিন শাস্তি কাম্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রে ধর্মকে কটাক্ষ করে কেউ আজ পর্যন্ত রেহাই পায়নি।মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী যে কথা বললেন তা অনেক মুসলমান সহ্য করতে পারছেনা। সারা দেশে তীব্র নিন্দা সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর ঘোষণা করেছে। সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চেয়ে আছেন এবং তিনি দেশে এসে অবশ্যই তার শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। হজ্জ মুসলিমদের ধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর সাথে জড়িত স্বয়ং আল্লাহ সোবহানাতাআলা ও তার প্রেরিত অসংখ্য নবী ও রাসূল। অতীতে যারা এ কাবাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছে তারা অনেক কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হয়েছে। অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ কুলাঙ্গারকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বহিষ্কার করে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার জন্য দেশবাসী আশা করে। তিনি যা যা বলছেন, টকশোয় যারা অংশ নেন তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী, এর চেয়ে বেশি হজ ও তাবলিগ বিরোধী।’ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী রবিবার টাঙ্গাইলের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- টকশোর আলোচকদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা টকশোয় যায়, তারা টকম্যান, টকমারানি। এদের সঙ্গে চুতমারানিদের কোনো পার্থক্য নেই। নিজেদের কোনো কাজ না থাকায় তারা সারা দিন ক্যামেরার সামনে গিয়ে বিড়বিড় করে।’হজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাত- দুটোরই ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাজ নেই। এদের কোনো প্রোডাকশন নেই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। অ্যাভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজে যায় আর প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে খরচ করে আসে তাহলে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’ হজ কীভাবে এসেছে তারও একটি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আবদুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এই জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে, তার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’ঢাকার তুরাগ পাড়ে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা প্রসঙ্গ তুলে নিয়ে আসেন মন্ত্রী। বলেন, ‘তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনো কাজ নেই। আবার সারা দেশের গাড়িঘোড়াও তারা বন্ধ করে দেয়।’লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বলেন, ‘কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন? জয় ভাই কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ারও কেউ নন।’জয়কে নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় : প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক সফররত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। মন্ত্রী প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দেবেন।’ প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকাগুলোকে লতিফ সিদ্দিকী ‘টয়লেট পেপার’ বলে আখ্যায়িত করেন। টিভির টকশোয় যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের ‘টকমারানি’ বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, “এদের সঙ্গে ‘চুতমারানিদের’ কোনো পার্থক্য নেই।” মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে ১ লাখ পেয়েছি তাদের কোনো তদবির এখন রক্ষা করি না।’একই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ধর্ম নিয়েও অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর এসব অস্বাভাবিক কথাবার্তায় সভাস্থলের ভিতরে ও বাইরে প্রচণ্ড ক্ষোভের সঞ্চার হলে এক পর্যায়ে তাকে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে হয়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে নিয়ে খোদ ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রীর এমন কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এটি এখন নিউইয়র্কসহ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে।২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারের দাবি হেফাজতের : লতিফ সিদ্দিকীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। তা না হলে তাকে দেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা। একই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

“বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি “এই কথা রিজভী কোন মুখে বলে ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১



অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনছিলাম উনি কি নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য এই কথা বললেন নাকি উনি বলদ প্রকৃতির মানুষ সেটাই ভাবতেছি। উনি নিশ্চই জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাকে খুন করে, মায়ের জন্য লোক দেখানো ডিজিটাল ভালোবাসা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৮


বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রেমিকার চাহিদা পূরণ করতে হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করে তার ছোট ছেলে সাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×