দেশে এখন অপহরণ আতঙ্ক চলছে। অভিযোগটি অপ্রিয় হলেও সত্য। একের পর এক অপহরণের ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শত সাফল্যের মধ্যেও অপহরণের ঘটনাটি সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে।
কেন এসব অপহরণের ঘটনা ঘটছে তার রহস্য উৎঘাটনের দায়িত্ব সরকারের। পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে উপলব্ধি করে অপহরণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে।
কেউ কেউ বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কোন মহল এই অপকর্ম ঘটাচ্ছে। সেটা হলেও যারা ঘটাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্বও সরকারের।
গত ১৬ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকা থেকে অপহৃত হন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক। এই ঘটনার পর আইনশৃক্সক্ষলাবাহিনীর তৎপরতার কারণে ৩৫ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মুক্তি পান।
আশা করা হচ্ছিল, আর অপহরণের মতো ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১১ দিন পর আবার নারায়ণগঞ্জে একই ধরনের ঘটনা ঘটল। দিনদুপুরেই একসঙ্গে অপহৃত হলেন ৫ ব্যক্তি। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার। এর আগেও কিছু রাজনৈতিক নেতার অপহরণের ঘটনা ঘটে যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্বেগ করে।
অনেক সময় পুলিশ বা র্যাবের পরিচয় দিয়ে কাউকে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে থানায় পাওয়া যায় না। পুলিশ কিংবা র্যাবের তরফ থেকে বলা হয়, তারা গ্রেফতার করেনি। তাহলে কারা এর সঙ্গে জড়িত? যারা পুলিশ বা র্যাবের নাম নিয়ে এই ধরনের অপরাধ কর্ম করছে তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব কি সরকারের ওপর বর্তায় না? অপরাধী যত বড়ই হোক না তাকে খুঁজে বের আইনের আওতায় নিতে হবে।
গত বছর সম্ভাবনাময় কিশোর ত্বকী অপহরণের পর হত্যার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। পরে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরুদ্ধে ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন গডফাদাররা সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলেও অনেকে অভিযোগ করে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর কোথাও যেন অপহরণ ও গুমের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে