দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলো একসময় মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত থাকলেও অপরিনত এবং ডিমওয়ালা মাছ শিকার, পানিতে লবাণক্ততা বৃদ্ধি, মাছের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস , কীটনাশকের ব্যবহার, জলাশয়-পুকুর ভরাট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে অনেক প্রজাতির মাছ ই বিলুপ্তির পথে। এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে 'চাষকৃত মাছের' দাম কিছুটা কম থাকলেও লোকাল মাছগুলো সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আর নেই। যাই হোক, চলেন মাছের ছবি দেখি,

ট্যাংড়া মাছ। এই মাছের বিশেষত হল মাছগুলো আকারে সাধারন ট্যাংড়া মাছের চেয়ে বেশ বড় হয়। অনেকে এগুলোকে সমুদ্রের ট্যাংড়াও বলে থাকেন।

ফলি মাছ। প্রচুর কাটা থাকার কারনে এই মাছ খেতে বেশ বিরক্ত লাগে তবে সব থেকে ভাল উপায় হল ফ্রাই করে খেয়ে ফেলা।

রামচোষ মাছ

পোয়া মাছ


বাইল্যা মাছ। আমাদের দিনাজপুরে এই মাছ আমরা কখনো খেতাম না, যদিও এত বড় হত না সেই মাছ। কিন্তু খুলনা এসে দেখি, কাটা না থাকার কারনে বেশ দামী এই মাছ।

বড় বাইম মাছ। সাপের মত দেখতে বিধায় অনেকে এই মাছ খেতে চান না। আমার তো বেশ ভালই লাগে।

ইলিশ। এইডার লোভেই তো দাদারা পেয়াজ দিতে নারাজ।


ভেটকী। আমি এমনই অভাগা, যত জায়গাতেই এই মাছটা খেলাম কেউ ভাল রানতে পারলনা কখনো। আমার স্ত্রী ও না!!




এইডা ভাঙ্গন মাছ। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় এই মাছ খেয়ে আমার হৃদয়ে ভাঙ্গন ধরেছিল।

বেশ বড় একটা কাতল মাছ। মাছ বিক্রেতারা বলে বিলের কাতল কিন্তু আমি তো এদিকে কোন বিল দেখিনা। খালি ঘের আর ঘের।

ছোট বাইন মাছ।


দাতনা মাছ। পিরানহা মাছের মত এই মাছের ও দুই পাটি দাত আছে। তাই নাম হয়তোবা দাতনা।


সাদা সোনা। বাজারে দেখলাম চিংড়ি একেবারে নেই বললেই চলে।

আইর মাছ।

এইডা রিঠা মাছ মনে লয়।

লট'স অফ'স রুপচান্দা'স।

ছুরমা মাছ। এমনই তো নামডা কইল!!!

এইডা কাইর মাগুর। আমার প্রিয় একটা মাছ, সাধারনত সুন্দরবনের নদীতে পাওয়া যায়।

লইট্টা। জ্বি, আমরা যেইডার শুটকি মজা কইর্যা খাই।

এই মাছের নাম ভুইল্যা গেছি।

চিত্রা মাছ

টুনা মাছ। এটা সমুদ্রে পাওয়া যায়।

তুলা ডাটি।

পাইস্যা মাছ।

গুড়া মাছ।
ম্যালাগুলা মাছ দেখাইলাম। এইবার অফ যাই নাইলে রাইতে বেলা মেছো ভূতে আইস্যা ঠ্যাং না আবার টাইন্যা ধরে। চিত্রের মাছ গুলোর লোকাল নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং মাছ গুলোর চিত্র ধারন করা হয়েছে খুলনার বিভিন্ন মাছ বাজার ঘুরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১