সিগারেটের মতো জ্বলছি আমি –
একেকবার নিমজ্জিত হই ধূসর অন্ধকারের ঘরে।
আবার একেক টানে জ্বলে উঠি তীব্র জ্বালায়,
উন্মত্ত ক্রোধে, অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, ভালোবাসায়।
আর আমার একাকীত্বতা বিষাদেরই মাঝে
স্মৃতির খেলনা নিয়ে খেলা করে যায় সহসা;
খেলার খেয়াল বশে কাগজ পোড়াই অথবা
কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিই জলে।
মনে পড়ে কারো চোখের জলে আকণ্ঠ ডুবেছি –
যার নয়নের জলেই কিনা ভালোবেসেছি
আমার প্রিয় আঁধার ছেড়ে চোখ ঝলসানো আলো।
কেন চোখে চোখ রাখলে, কেন এমন লোভ দেখালে –
চোখ সেই কথা হয়তো জানে,
আজ আমি আর কিছুই জানি না।
ভুলতে চাওয়া স্মৃতিরা ফিরে আসে তবুও
একটা মুখ দূরে থাক, অবয়বটুকুও চোখে ভাসে না;
শুধু চোখ থেকে চোখ ঝরে যায়।
কে যেন আমায় কথা দিয়েছিলো –
কে এবং কথা কি ছিলো মনে পড়ে না আজ।
একলা ছিলেম কতো রাত্রিবেলা,
যদিও রাত কখনো কোনোদিন একা ছিলো না;
হাতে হাত, স্বপ্নময় দু’চোখে অন্তহীন স্বপ্ন নিয়ে
কতোটা ভালোবাসার নির্ভরতায় রাত ভোর হতো –
আমার মনে আর পড়ে না এখন।
মনে পড়ে এক জীবনের ভালোবাসা সব
হারিয়ে ফেলেছি খুব অবেলায়, বড্ড আকালে।
মনে পড়ে ভালোবাসা তার পথ হারিয়ে সংজ্ঞা পাল্টেছে –
তাই সভ্যতা হয়ে গিয়েছে আজ অসভ্য, বর্বর।
এই অসভ্য সভ্যতা ফেলে রেখে অতীতে আর একবার
ফিরে যেতে সাধ হয় বড়, যেতে পাড়ি না।
বারবার ফিরে আসি অনিচ্ছায় নিদারুণ বাস্তবতায়,
নিষ্ঠুর বর্তমানে, নির্দয় এক ভবিষ্যতের অপেক্ষায়।
ইচ্ছে হয় পৃথিবীটাকে দু’হাতে ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলি,
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলি –
“আমার কিছু ভাল্লাগে না।”
হায়রে মানবজন্ম – এ যেন মানুষের অভিনয় করে
একটা জীবন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা।
© অদ্রি অপূর্ব