বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে রিজার্ভের ঠেলায় টাকা উপচে পড়ছে।নেয়ার মানুষ নাই।তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও টাকা রপ্তানী হচ্ছে। এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ,তারই একটা প্রমান। অথচ এই ধরনের পজেটিভ খবর আজকে অন্ততঃ দুটি পত্রিকা খুবই নেগেটিভ ভাবে প্রকাশ করছে। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।সরকারের ভাবমুর্তি এভাবে বিনষ্ট করার প্রচেষ্টাকে কঠোর ভাবে নিন্দা জানাই।
প্রথমেই আসি প্রথম আলো পত্রিকার খবর।
বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে আরও ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ৭৬ হাজার ৩৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পাচার হওয়া এই অর্থ আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এতে বেশি অর্থ পাচার হওয়া দেশের তালিকায় খারাপ অবস্থানে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছিল ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৫১তম। আর এবার বাংলাদেশ ১৪৯টি দেশের মধ্যে হয়েছে ২৬তম।
আরও ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার
এবার আসি যুগান্তর পত্রিকার খবর।
প্রতি বছর গড়ে ৫৫৮ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ডলার পাচার হয়েছিল। তিন বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৬ কোটি ডলার। দশ বছরের মোট হিসাবে যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার।
সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার
এই প্রতিবেদন দুটোতে আরেকটি ব্যাপার নেগেটিভ ভাবে দেখানো হয়েছে।
জিএফআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ২০০৪ সালে ৩৩৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়। ক্রমেই তার হার বেড়েছে। ২০০৫ সালে ৪২৬ কোটি, ২০০৬ সালে ৩৩৭ কোটি, পরের বছর ৪০৯ কোটি ডলার পাচার হয়। ২০০৮ সালে পাচারের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৬৪৪ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালের পাচার হয় ৬১২ কোটি ডলার। এর পরের ২ বছর অর্থ পাচার কিছুটা কমে আসে। ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ও ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয় দেশ থেকে। কিন্তু হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ২০১২ সালে পাচার হয় ৭২২ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৩ সালে পাচার অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৬৬ কোটি ডলার।
এতে বোঝা যায়, আগে টাকা ছিলো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বা মাঝারী শিল্প।আর এখন টাকাকে বৃহৎ ও ভারী শিল্প হিসাবে ঘোষনা দেয়া সময়ের দাবী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নজর দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।