বর্তমানে মদ বাংলাদেশে একটি অত্যাবশকীয় পানীয়।অনেকের মদ ছাড়া চলেই না। রাশিয়ার মানুষ নাকি পানির থেকে মদ বেশী পান করে।আমরাও এখন নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশ। তাই আমরাও পানির বদলে মদ খাওয়া শুরু করবো। কিন্ত বাধা হয়ে দাড়িয়েছে মদের ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন ফি। যার ফলে মদের দাম উত্তোরত্তর বেড়েই চলেছে।
সুতরাং সংশ্লিষ্টরা এই সমস্যা উপলদ্ধি করে মদের ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন ফি কমিয়েছে।২০০৩ সালে মদের ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন ফি ছিল সাত হাজার ৫০০ টাকা। এবার সেটা বেভারেজের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।সামনে আরো কমবে।
কমেছে মদ ও বেভারেজের আওতায় থাকা পানীয়র ফি।
এ ধুরনের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কারনে মোড়ে মোড়ে অনেক মদের দোকান গড়ে উঠবে এবং যেহেতু মদ এখন সাধারন বেভারেজ জাতীয় পানীয়,তাই এই ধরনের ব্যবসার আর বাধা থাকবে না। আবার যেহেতু অন্যান্য লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের এবার দ্বিগুণ-তিনগুণ নয় ৩৩ গুন পর্যন্ত বাড়তি কোনো কোনো ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফির পরিমাণ দিতে হবে।এমনকি রাস্তার ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২/৩/৪/৫/৬ গুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
যেমন ঃ পান-সুপারির দোকানের ফি করা হয়েছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা। মুরগি বিক্রির ফি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। তরকারি দোকানের ক্ষেত্রে করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মুদি দোকানের ফি করা হয়েছে ৩৫০ থেকে এক হাজার টাকা। চায়ের দোকানের ফি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। লন্ড্রির দোকানের ফি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
তাই তারা অন্যান্য ব্যবসা বন্ধ করে মদের ব্যবসার দিকে ঝুকে পরবে।এই জন্য বাংলাদেশ সামু লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দাবী জানাই , মদের ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন ফি আরো কমানোর পাশাপাশি এই খাতে প্রচুর লোন দেয়া হোক,যাতে প্রতিটি চায়ের দোকান,মুদি দোকান ,পানের দোকান হয়ে যায় একেকটি মদের দোকান।

যারা আমার সামু লীগ সম্পর্কে জানেন না,তারা এইখানে গুতা মারেন
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫