somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেলিম জাহাঙ্গীর VS আবদুল্লাহ আরিফ (পর্ব দুই)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমার ও সেলিম ভাইয়ের এই বাহাসের মধ্যে স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন।
==============================================
আমি বলেছিলাম- সূরা বাকারার-১৫৯ নং আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ কোরআনের বাহিরেও বিস্তারিত তথ্য ও হেদায়েতের বাণী নাজিল করেছেন। আপনার মন্তব্য জানতে চাই। আল্লাহ কি কোরআনের বাইরে কিছু নাজিল করেছেন নাকি শুধু কোরআনই নাজিল করেছেন, এই আয়াতের আলোকে বলেন?

সেলিম জাহাঙ্গীরঃ সূরা আল আ’লা ৮৭:৭--১৯ আয়াতঃ
অর্থঃ আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অর্থঃআর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে, সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে। অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না। নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে। বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।

কোরআনের বাইরে আল্লাহ্ অনেক কিছু নাজিল করেছেন।

=> এতক্ষণ পরে গিয়া আসল কথা কইলেন, তাও বহুত কষ্টে। যাক, শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলেন যে কোরআন ছাড়াও আরো কিছু নাজিল হইছে। এটা গোপন করলে তো সূরা বাকারার -১৫৯ নং আয়াত অনুযায়ী অভিশপ্ত হয়ে যেতেন।

============================================

তবে সেটার জ্ঞান অর্জন করুন আপনি নিজেই জানতে পারবেন। আল্লাহ্ মুহাম্মাদ সাঃ এর জন্য কোন নতুন বিধান দেন নাই। এই বিধান অবশ্যই পুরনো। ইতপূর্বে যেসব নবী রাসুল এসেছে তাদের কাছেও এমন কিতাব নাজিল করেছেন পাশাপাশি জ্ঞান দিয়েছেন। ঈসা (আঃ) এর উপর কিতাব ও হিকমা নাজিল হয়েছে, মুসা (আঃ) এর উপর তৌরাত কিতাব ও হিকমা নাজিল হয়েছে, দাউদ (আঃ) এর উপর জব্বুর কিতাব ও হিকমা নাজিল হয়েছে। এই হিকমা ইব্রাহীম (আঃ) কেও আল্লাহ্ দিয়েছিলেন, তা তৌরাত পড়লে বোঝা যায়।

=> এইখানেই তো আবার প্যাচ লাগাইয়া দিলেন। আমরা কোরআন অনুযায়ী জানি মূসা আঃ এর উপর তৌরাত নাজিল হয়েছে। আপনি কোন দলিলের ভিত্তিতে বললেন যে হিকমাও নাজিল হইছে? নাকি অনুমান। শুধূ মাত্র আমাদের নবীর বেলায়ই বলা হইছে যে তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমাহ নাজিল করছি। অন্য যতনবী রাসূল ছিলেন তাদের সবার উপর শুধূ কিতাবই নাজিল হইছে। কোরআনের কোথাও নাই যে আল্লাহ বলেছেনে, আমি মুসা আঃ এর উপর কিতাব এবং হিকমা নাজিল করেছি। অতএব, আপনার এই ধারণার কোন মূল্য নাই। এটা শুধূ মাত্র আপনার অনুমান। অন্যান্য নবীরা মারা যাওয়ার সাথে সাথেই নতুন নবীর আগমণ ঘটতো। একই সময় বিভিন্ন জায়গায় একাধিক নবী প্রেরণ করা হইছে কারণ সেই সমস্ত নবীরা ছিলেন কোন বিশেষ গোত্রের জন্য। আপনি যা বলছেন সেটা অনেকটা আল্লাহর উপর মির্থ্যারোপ এর মতো। কারণ যেটা আল্লাহ করেন নাই সেটা বলা মিথ্যারই নামান্তর।
=============================================

ইব্রাহীম, ঈসা, মুসা ও দাউদ (আঃ) এর উপর যে কিতাব নাজিল হয়েছে সেই কিতাব গুলি এখনো দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু হিকমা কিতাব তাদের দেখতে পাওয়া যায় না। তাহলে তাদের হিকমার বইগুলি কোথায়?

=> আপনি কোরআনের কোন আয়াত দেখাতে পারবেন যেখানে আল্লাহ বলেছেন হে ঈসা আঃ আমি তোমার প্রতি ইঞ্জিল ও হিকমাহ নাজিল করেছি। পূর্বের নবীদের উপর হিকমা নাজিল হয়েছে কি হয় নাই সেটা আমরা জানি না। তবে গ্রন্থ নাজিল হইছে, সহিফা নাজিল হইছে সেটা আমরা কোরআন থেকে জানতে পারি।

=============================================

তবে হ্যাঁ আপনি যে হিকমা নাজিলের কথা বলছেন সেটা হয় আপিন বুঝতে পারছেন না; নয়তো আপনি আমাকে বোঝাতে পারছেন না। যখনই আমি আপনাকে নতুন কোন প্রশ্ন করছি তখন তার জবাব না দিয়ে আপনি কেবল পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন।
=> আমি নিজে বুঝেছি এবং আপনাকেও বুঝাইতেছি। আমি আপনাকে কোরআন এর দিকে ডাকছি। আমি কোরআন বুঝতেছি কোরআন দিয়ে। যেহেতু আমি আহলে কোরআন। আর আপনি আহলে কোরআন হয়েও শরিয়তের আলেমদের তাফসীর দিয়ে কোরআন বুঝতেছেন। আমি আপনি আমাকে যেই প্রশ্ন করছেন, শিয়াল, খাচা, গম্ভির গান সম্পর্কিত সেগুলোর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি নাই। পরবর্তীতে আপনার এই মন্তব্যের জন্য উত্তর দিলাম। আশা করছি পূর্বের পোষ্টে দেখছেন এবং পড়ছেন।

=============================================

কেবলী বার বার বলছেন আল্লাহ্ কোরআনের বাইরে আর কি নাজিল করেছেন। আরে-বাপু আল্লাহ কোরআনের বাইরে অনেক কিছু নাজিল করেছেন। যাকে বলে কোরআন। আপনি যে কোরআন দেখছেন তাকে বলে কিতাব কোরআন।

=> প্রথমত বললেন কোরআনের বাইরে অনেক কিছু নাজিল হইছে সূরা বাকারার-১৫৯ নং আয়াত অনুযায়ী হেদায়েতের কথা। আবার বললেন যাকে বলে কোরআন। এটা কোন ধরনের কথা বললেন। আপনার কথা মতো, আল্লাহ কোরআনের বাইরে যে নাজিল করছেন সেটা হলো কোরআন। তাহলে কিতাবে যেটা আছে সেটা কি? বরঞ্চ এটাও আপনার মনগড়া কথা।

বার বার বলার কারণ আপনি একটা বারও আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বার বার ভিন্ন খাতে এগুনোর চেষ্টা করছেন। বার বার ভিন্ন জিনিসের অবতারণা করছেন। ভাই আল্লাহ কে ভয় করেন। তিনি তো আমার এবং আপনার মাঝে স্বাক্ষী।

=============================================

আর যে কোরআন এর কথা আল্লাহ সূরা আহযাব ৩৩:৭২ আয়াতে বলেছেন তাহলো বুঝতে হবে।
অর্থঃ আমি আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত (কোরআন) পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহণ করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ।

=> এখানে কোন কোরআন পেশ করার কথা বলা হইছে সেটা আল্লাহ বলেন নাই। সেটা এই কোরআন নাকি অন্য কোরআন সেটাও বলেন নাই। সূরা হাশরের ২১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন তিনি যদি """""""""এই কোরআন"""""""""" পাহাড়ের উপর নাজিল করলে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে বিদির্ণ হয়ে যেত।
এখানে ভয় এর কথা বলা হইতেছে। নাজিল করলেই যেই পাহাড় ভয়ে বিদির্ণ হয়ে যেত সেখানে এই কোরআন এর আমানত নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। কিন্তু মানুষের সেই ভয় নাই সে কোরআন গ্রহণ করলো। আপনি সূরা আহযাব এর ৭২ নং আযাত দিয়ে ভিন্ন কোরআন বুঝানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু সূরা হাশরের ২১ নং আযাতে সেই কোরআনের উল্লেখ করে আল্লাহ ভয় এর ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন যে, পাহাড় ভয় এর জন্যই আমানত গ্রহণ করতে চায় নি। সেটা ভিন্ন কোন কোরআন নয় বরং এই মানুষের হাতে থাকা পবিত্র কোরআন।

=============================================

কোরআনের মোহকামাত বিষয়টি ইনছানুল কামেলগণই অবগত আছেন এবং তারাই একমাত্র কোরআনকে বুঝেন এবং চিনেন।


=> এটাও ভূল কথা। কারণ আল্লাহ সূরা কামারের ১৭,২২,৩২,৪০ নং আয়াতে বলছেন,

আমি কোরআন কে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি, বুঝার কেউ আছে কি? উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?

উপদেশ কারা নেয়? যারা জানে না তারাই। কে বুঝার চেষ্টা করে? যে বুঝে না বা বুঝতে চায় সেই তো। তাহলে কেন কোরআনকে শুধূ ইনছানুল কামেল এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করছেণ। কেন মানুষকে কোরআন থেকে ফিরিয়ে ইনছানুল কামেলদের দিকে ডাকছেন? কোরআন যে কারো জন্য। যারা বুঝতে চায় তাদের জন্য। হুদাল্লিল মুত্তাকিন। আল্লাহভীরুদের জন্য পথনির্দেশনা। যা ভয় করে আল্লাহকে এবং মেনে চলতে চায়। এখন পথনির্দেশনা যদি নাই পড়েন কিভাবে বুঝবেন?

আপনারা কোরআন করবেন মানুষের জন্য সহজ। সেটা না করে পীরপন্থী বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত।

=============================================

আপনি বললেন, আরবী ভাষা জনলেই কোরআন বুঝা যাবে না।
=> এটাও মিথ্যা কথা। কারণ আল্লাহ বলেছেন

সূরা ইউসুফ-২> নিশ্চয়ই আমি কোরআন আরবী ভাষায় নাজিল করছি যাতে তোমরা বুঝতে পার, আক্কেল গ্রহন করতে পার।

আল্লাহ বললেন তিনি আরবী ভাষায় নাজিল করেছেন যাতে সহজে মানুষ বুঝতে পারে। আর আপনি বলছেন আরবী জানলেও বুঝা যাবে না। তাহলে কি শিখতে হবে হিন্দী। নাকি বুজুর্গদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিতে হবে।

=============================================
আপনি বললেন
এ কোরআন আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করলো অথচ সে নিলো না। এ কোন কোরআন? এই কিতাব কোরআন? আপনি এই কিতাব কোরআন পর্বতমালার উপর রাখেন তাতে পর্বতের কি আসে যায়।

=> এ কোন কোরআন। এটা সেই কোরআন যা আমাদের নিকট আছে। যেই পর্বত মালার কথা বললেন সেই পর্বত মালার কথাই আছে সূরা হাশরের ২১ নং আয়াতে। সেই পর্বত সংক্রান্ত আয়াতে বর্তমানের কোরআনের কথাই বলা হইছে। আপনে মনে করতেছেন পাহাড় আমানত নেয় নাই। আর সেই আমানত বা কোরআন টুইন টাওয়ার এর মতো। আসলে পাহাড় আমানত নেয় নাই ওজনের কারণে না। বরং ভয়ের কারণে। আপনি বুঝতে ভূল করছেন।

=============================================

আর এই লিখিত কিতাব কোরআন পর্বতমালাইবা কি করবে সেকি পড়ে মানুষকে শোনাবে? আপনাকে বুঝতে হবে। যদিও আমার প্রসঙ্গটা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা।

=> পর্বত মালা কিতাব কোরআন দিয়ে কি করবে সেটা আল্লাহ যেহেতু আমাদের ওহীর মাধ্যমে জানান নাই তাই আমরা জানি না। এখন আপনি যদি অনুমান করে একটা কিছু বের করে ফেলেন সেটা আপনার ব্যাপার। আর আল্লাহ যদি পর্বতমালাকে কোরআন মানুষকে পড়ে শুনাতে বলতেন তবে আমরা মুসলিমরা এটা বিশ্বাস করি যে পর্বতমালা সেটা করত। কারণ তারা সবাই আল্লাহর আদেশ মানে। সবাই মুসলিম। আমি এজন্যই এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চাই নাই। কারণ এটা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

=============================================

যাহোক হিকমা আর কিছু নয় কেবল বা নতুন কিছু নয় এটা সকল নবী-রাসুল ও মানুষের জ্ঞান, শক্তি ও কৌশল। আপনি নিম্নের আয়াত গুলি দেখুন অন্য নবী রাসুলের জন্য কিবলে।

সূরা আহযাব ৩৩:৬২ আয়াতঃ
سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا
অর্থঃ যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি। আপনি আল্লাহর রীতিতে কখনও পরিবর্তন পাবেন না।

সূরা আহযাব ৩৩:৩৮ আয়াতঃ
مَّا كَانَ عَلَى النَّبِيِّ مِنْ حَرَجٍ فِيمَا فَرَضَ اللَّهُ لَهُ سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَّقْدُورًا
অর্থঃ আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন, তাতে তাঁর কোন বাধা নেই পূর্ববর্তী নবীগণের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।

=> হিকমা এর অর্থ জ্ঞান শক্তি ও কৌশল। ঠিক আছে কিন্তু এর কোনটাই খাটে না সূরা আহযাবের ৩৩:৩৪ নং আয়াতের সাথে। বিপরীত হয়ে যায়। আর কোরআন অনুযায়ী-
সূরা নিসা-৮২> আল্লাহর কোরআনে কোন বৈপরীত্ব নাই। থাকলে এই কোরআন আল্লাহ থেকে আসে নাই।

আল্লাহর চিরাচরিত বিধান সালাত। কোন নবীর সময় ২ ওয়াক্ত, কখনো ৫ ওয়াক্ত। কারো উপর বিধান কঠোর ছিল। কারো জন্য সহজ হইছে। আর আমরা মধ্যমপন্থী উম্মা। রীতিতে পরিবর্তন নাই বলতে ১৪০০ বছর আগে যেই দ্বীন পরিপূর্ণ হইছে সেই দ্বীনের কোন পরিবর্তন নাইয়ের কথা বলা হইছে।

কোরআনের আগে দ্বীন পূর্ণাঙ্গ ছিল না। অতীতে কারো শরিয়া বেশী কঠোর ছিল, কারো সহজ ছিল। কিন্তু আপনি যেই দলিল দিলেন বিধান পরিবর্তণ না হওযার সেটা দ্বীন পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। তাছাড়া ইসলামের অনেক কিছুই অতিতেও ছিল। যেমন কাবা তাওয়াফ।

বিদায় হজ্জ্বে পর দ্বীন পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর, কোরআন এবং হিকমাহ নাজিল শেষ হওয়ার পর আর কোন পরিবর্তন নাই।

=============================================

হিকমা রাখেন, কোরআন মানা মানেই রাসুলকে মানা; রাসুল মানা আর কোরআন মানায় কোনোই পার্থক্য নেই; যারা পার্থক্য করে, তাদেরকে কোরআন কাফের সাব্যস্ত করে; যারা পার্থক্য করে না তারাই পুরস্কৃত হবে।
=> হিকমা আল্লাহ যা নাজিল করছেন সেটা রাখতে বলছেন? বাতিল করতে বলছেন? আপনি কি সূরা বাকারার-১৫৯ নং আয়াত পড়েন নাই। যারা আল্লাহ কোরআন নাজিলের পরেও নাজিল করেছেন হেদায়েতের বাণী রূপে সেগুলো গোপন করে/বাতিল করে। তারা অভিশপ্ত।
এই আয়াত পড়ার পর কিভাবে হিকমাকে বাদ দিতে বলেন।

=> আর রাসূল মানা ও কোরআন মানার যেই কথা বললেন সেটা কোরআনের বিকৃতি। কারণ আল্লাহ বলেন

সূরা নিসা-৪:১৫০-১৫১> যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি কুফুরী করে এবং বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তারতম্য করতে চায় তারা ফাসিক।

আল্লাহ বললেন আল্লাহ ও তার রাসুল এর মধ্যে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে পার্থক্য কারী ফাসিক আর আপনি বললেন রাসুল মানা ও কোরআন মানায় পার্থক্যকারী কাফের।

=============================================

রাসুল স্বয়ং কোরআন মেনে চলেছেন, কোরআন মানার নির্দেশ দিয়েছেন।
=> অবশ্যই রাসূল সাঃ কোরআন মেনে চলেছেন। তবে শুধু কোরআনই মানেন নাই বরং সূরা নিসার-১১৩ নং আয়াত অনুযায়ী নাজিলকৃত কোরআন এবং হিকমাহও মেনে চলেছেন। কিন্তু আপনারা একটা গ্রহণ করছেন এবং একটা বর্জন করছেন।

=============================================

কোরআনের বাইরে তিনি তিল পরিমাণ কথাকাজ করেননি; করলে স্বয়ং আল্লাহ তাঁর জীবনধমনী কেটে ফেলতেন। [দ্র: ৬৯: হাক্বা-৪৪-৪৭]

=> এখানেও ভূল ব্যাখ্যা। চলুন পুরো আয়াতটা দেখি।

সূরা হাক্কাহ-৬৯: ৪৪-৪৬> সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম এবং তাঁর জীবনধমনী কেটে ফেলতেন।

এখানে যদি আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনার কথা বলা হইছে। তিনি কখনো কোন মিথ্যা রচনা করেন নাই। করলে আমরা উনার জীবনধমনী কাটা দেখতাম। কিন্তু তিনি যা বলেছেন সেগুলো ওহী প্রাপ্ত হয়ে। ওহী কি কি ছিল। কোরআন এবং হিকমাহ।

অতএব বুঝা গেল তিনি তার গোটা জীবন ওহী দ্বারা পরিচালিত করেছেন। তিনি কোন মনগড়া কথা বলেন নাই। কোরআন ছাড়া তিনি আর যা যা নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলো হক হিকমা দ্বারা প্রাপ্ত ওহী হতে।

নবীর উপর নাজিলকৃত দুটো জিনিস কেন মেনে নিতে পারেন না? কেন কোরআন গ্রহণ ও হিকমাহ বর্জণ করতে চান? কোরআন এর সাথে হিকমা মানতে সমস্যা কোথায়?

হিকমা হলো সেই ওহী যা কোরআন উল্লেখ নাই কিন্তু নবী আল্লাহর নির্দেশে পেয়েছেন এবং গোটা জিবন পরিচালিত করেছেন, সাহাবাদের করতে বলেছেন, নিজে করেছেন বা হিকমাহর কোন কাজ সাহাবারা করলে নবী সেটার মৌন সম্মতি দিয়েছেন।

আশা করি বুঝতে পারছেন। আমি চাই নাই এই ব্যাপারগুলো তুলে ধরতে। শুধু মাত্র আপনার পীড়াপীড়ির জন্যই এত কথা বলা লাগলো।
=============================================
আমি যেই প্রশ্ন করছি সেটার উত্তর পেয়েছি যে আপনি বলেছেন, আল্লাহ কোরআন ছাড়াও মানুষের হেদায়েতের জন্য আরো ওহী নাজিল করেছেন।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৫
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এলেম কি? এ বিষয়ে বান্দার দায়িত্ব কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:১০




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়ি বুনো ফল-রক্তগোটা ভক্ষন

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পাহাড়ি বুনো ফল রক্তগোটা এর রয়েছে বিভিন্ন নাম-রক্তগোটা, রক্ত ফল, রক্তআঙ্গুরী, রক্তফোটা, রক্তজবা পাহাড়িরা আবার বিভিন্ন নামে ডাকে। এর ইংরেজী নাম ব্লাড ফ্রুট।











প্রতি বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার:

লিখেছেন ঊণকৌটী, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে যুক্ত, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার: ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল-সহ পাঁচ জঙ্গি আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ করেছিল। মাসুদ আজ়হার আলভি-সহ তিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×