১. কাটা বেগুন (লাল)
সেই ছোট্ট বেলার কথা...
গ্রামের পথে,খেলার মাঠে, জমির আইলে কিংবা পরিত্যক্ত ভিটায় আপনা আপনিই জন্ম নিত এই সকল উদ্ভিদ। কখনো খেলা করতাম এইসব গাছের রঙিন ফুল অথবা ফল দিয়ে।
জনসংখ্যা যতই বাড়ছে ততই উজার হচ্ছে বন এবং ব্ন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ। শুধু বনেই নয় মানুষের বসতি র্নিমানের স্হান সংকুলান হওয়ান বিলিন হচ্ছে আবাদী জমির পরিমান। শিল্পায়নের জন্যও কমে যাচ্ছে আমাদের আবাদী জমি। সাথে সাথে ঝোপ-ঝাড় কেটে ফেলা হচ্ছে যাতে করে এইসকল উদ্ভিদ হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পরিবেশ থেকে।
হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন পুরনো স্মৃতি মন্হস্ত করতে বলে এইসব ছবি দেখে বলতে হবে
”একটা সময় ছিল যখন এইসমস্ত আগাছাও আমাদের পরিবেশের একটি অংশ হয়ে ছিল!!..”
২. ধুতরা গাছের ছবি।
ধুতরা ফল কাটা যুক্ত শুনেছি এই ফলের রস পান করলে নাকি মাথায় গন্ডগোল হয়। তবে কাউকে প্রমান স্বরুপ দেখিনি। ধুতরা দুই প্রকার। ১. সাদা ধুতরা ২. কাল ধুতরা। ছবিতে সাদা ধুতরা গাছ এটি।
৩. কাটা বেগুন (হলুদ) লাল কাটা বেগুনের চাইতে হলুদ কাটা বেগুন সাইজে অনেক বড়। আস্ত একটা লেবুর সমান। এর সমস্ত গায়ে কাটা এমন কি গাছের পাতা,ফল এবং কান্ডেও কাটা বিদ্যমান।
৪. বেত গাছ (বেত্তুল গাছ) বেত দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের পাত্র এবং আসবাব পত্র তৈরী করা যায়। বেত গাছের ফলকে বলা হয় বেত্তুল ফল। খেতে বেশ ভালোই লাগে। ছোট্ট বেলায় একবার টাইফয়েট হয়েছিল খাবারের রুচি একদমই ছিলনা। ডাক্তার বলেছিলেন বেত গাছের কচি ডগা ভর্তা করে খেলে মুখে স্বাদ আসবে। অবশেষে কচি বেতের ডগা ভর্তা খেয়ে খাবারের স্বাদ ফিরে পেয়েছি।।
৫. ভূতরাজ (আলিমদ্দন) এই গাছের রস চিনি দিয়ে খেলে পেটের পীড়া ভালো হয়। তাছাড়া পুরাতন আমাষয়ে চমৎকার ঔষধ।।
৬. সোনালী লতা/আলোকলতা/স্বর্ণলতা ছাড়াও বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এটি একটি পরগাছা উদ্ভিদ। অন্যসব গাছে জন্মায়। এর একটি লতাকে যে কোন গাছে ছুড়ে দিলেই ব্যস!!
৭. সরা গাছ।।
এই গাছের ডাল, পাতা..মাছেদের প্রিয় খাদ্য। বন্যার সময় পুকুরে সরা গাছের ডাল কেটে ফেলে দিলে ওই পুকুরু দেশী প্রজাতীর মাছের আর অভাব হবেনা।।
৮. পাঁচতারা ফুল গাছ।
একসময় জমির আইলে অসংখ্য পাঁচতারা ফুল গাছ দেখা যেত। সাদা আর গোলাগী রঙের ফুলে সুশোভিত থাকতো।
৯. ছাতিম গাছ।।
হুমায়ুন আহমেদের অনেক বইয়ে এই গাছ অর্থাৎ ছাতিম গাছের নাম অনেকবার বর্ননা করা হয়েছে। ছাতিম গাছ দেখতে অনেকটা ছাতিার মত।ছায়াদার বৃক্ষ। শীতল বায়ু সন্ঞ্চালকও বটে।
কিন্তু; নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের সাটারিং এর কাঠের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে কম দামের কাঠ আর এই কম দামের কাঠ হিসেবে ছাতিম এবং শিমুল গাছ গনহারে কাটা পড়ছে..
১০. জগডুমুর। এই ফলগুলি খুবই পুষ্টিকর খাদ্য...
তাছাড়া পাখিদেরও খুব পছন্দের খাবার এটি।
১১.
১২. সোনালু গাছ (বাদর লাঠি)
এই গাছে এক ধরনের লাঠির মত লম্বা ফল হয় সেই ফল বাঁদর প্রজাতীর ভিষণ পছন্দ এজন্য হয়তো এই গাছকে বাদর লাঠি নামে ডাকা হয়।
১৩. বাঁশ বাগান।
ক্রমান্বয়ে উজার হয়ে যাচ্ছে বাশবাগান। একসময় বিঘার পর বিঘা বাঁশবাগান ছিল কিন্তু বর্তমানে কমে যাচ্ছে বাঁশবাগানের সংখ্যা।
উৎসর্গ ব্লগার-আরজুপনি আপু।।
ছবি-আমার মোবাইলে তোলা..
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:০২