somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ্যাপল : নাম, লোগো, হেডকোয়াটার : ময়নাতদন্ত - ১

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নাম:

অ্যাপলের নামকরন নিয়ে আছে অনেক গল্প।

১.
যখন শুরু হল প্রতিষ্ঠান টির যাত্রা, তখন এর নামকরন এর জন্য জোবস সবাইকে ভাবতে বললেন এবং বললেন যদি নাম যদি পছন্দ না হয় তবে তিনি এর না A রাখবন। পরে মাথায় আসে A For 'Apple' ই রাখবেন ।


২.

সবাইকে যখন বলতে বললেন নাম, কারো নাই জোবস এর পছন্দ হয় নি এবং কথিত আছে তখন তিনি অ্যাপল খাচ্ছিলেন এবং রেখে দেন নাম কোম্পানীর 'অ্যাপল'


অ্যাপল পণ্যের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য দাঁড় করাতে পেরেছেন স্টিভ জবস। অ্যাপলের প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে একটা করে ইংরেজি ছোট হাতের ‘আই’ দিয়েই শুরু করার প্রচলন টা তারই। যেমন, আইপড, আইফোন, আইম্যাক। এ ধারায় তার বায়োগ্রাফিটিরও নাম হতে যাচ্ছিল ‘আইস্টিভ: দ্য বুক অফ জবস’।



লোগো:


এবার আসি লোগার কথায় ।

অ্যাপলের প্রথম লোগো ছিল স্যার আইজ্যাক নিউটন আপেল গাছের নিচে আপেল গাছের নিচে বসে আছেন । সেই বিখ্যাত আপেল থেকেই অ্যাপল এর লোগো । এখানে ব্যবহার করা হয়ে ছিল ওয়ার্ডসথ এর একটি উক্তি -

"Newton...A Mind Forever Voyaging Through Strange Seas of Thought...Alone."



এটাই অ্যাপলের প্রথম লোগো


কিছু দিনের ভেতরেই এর পরিবর্তন আসে । রব জেনফ এর " রেইনবো অ্যাপল" জায়গা করে নেয় অ্যাপলের লোগোর ।


রেইনবো অ্যাপল


অ্যাপলের লোগো টি তে কামড়ের চিন্হ আনা হয় কারন যাতে এটা অন্য কোন ফলের সাথে মিলে না যায় ।

অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে অ্যাপলের লোগো তে কামড়ের চিন্হ টি দেয়া হয়েছে এলান টুরিং কে শ্রদ্ধা করে ।

এখানে বলতে হয় , এলান টুরিং ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ। তাকে আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক মনে করা হয়।


এলান টুরিং কে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, পোস্ট মর্টেমে বলা হয় সায়ানাইড পয়জনিং । ডার মৃত দেহের পাশে একটি অর্ধেক খাওয়া অ্যাপল পাওয়া যায় । এটাও হতে পারতো লোগোর পেছনের কথা কিন্তু ডিসাইনার এটা অস্বীকার করে ।


১৯৯৮ সালে আই.ম্যাক আসার পর লোগোর পরিবর্তন হয় ।
জায়গা করে নেয় মনোক্রোমাটিক থিম ।



পরে ২০০১-২০০৩ থেকে একুয়া এবং পরে এখন পর্যন্ত গ্লাস থিম ব্যাবহার হচ্ছে ।






স্টিভেন জোবস বিটলস এর ভক্ত ছিলেন । কিন্তু সমস্যার শুরু হয় অন্য জায়গায়। বিটলস এর ও অ্যাপল করপোরেশন নামে একটি মিউজিক প্রতিষ্ঠান ছিল যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে । ফলে শুরু হয় দ্বন্দ, একাধিক মামলা, যা ২০০৭ সালে গিয়ে শেষ হয় ।



স্লোগান :


অ্যাপলের স্লোগান নিয়ে আলাদা পোষ্ট লেখা ছাড়া উপায় নেই । লিখে ফেলবো । আপাতত কয়েক টি দিচ্ছি ।

অ্যাপলের ১ম স্লোগান টা ছিল চমৎকার,

'Byte into an Apple'


বাইট কোনটা বুঝেছেন, কিলোবাইট, মেগাবাইট, কিন্তু কি চমৎকার করে বুঝিয়ে দিল যে অ্যাপল এর কামড় টির কথা। ব্রিইলিয়ান্ট।


১৯৯৭-২০০২ পর্যন্ত ব্যবহার হয়

"Think Different"


হেডকোয়াটার:


এবার আসি হেডকোয়াটার এর ব্যাপারে ।


স্টিভ জবস অ্যাপল হেডকোয়ার্টারকে নতুন করে দেখতে চেয়েছিলেন। সেজন্যই সম্প্রতি স্পেসশিপ আকারের হেডকোয়ার্টার তৈরির কাজে হাত দিয়েছিল অ্যাপল। কুপারটিনোর এ হেডকোয়ার্টার দেখে মনে হবে আকাশ থেকে কোনো মাদারশিপ যেনো নেমে এসেছে! আর এটা দেখে অ্যাপলের ‘ভবিষৎদ্রষ্টা’ স্টিভকেই যেনো মনে রাখে বিশ্ববাসী




এর হেডকোয়াটার হল ক্যালিফোর্নিয়া তে, " ইনফিনিটি লুপ (স্ট্রিট)"
যেখানে ৬ টা ভবন নিয়ে গঠিত হেডকোয়াটার ।
প্রতিটি ভবনে এর একটি সংখ্যা , অপড় ৫ টি ভবনের সাথে মিলে যায় ।
তাই এটার মেইলিং এডরেস ; "1 Infinite Loop"


"ইনফিনিটি লুপ" নামটি নেয়া হয়েছে কমপিউটার প্রোগরামিং এ ইনফিনিটি লুপ অথবা এনডলেস লুপ থেকে





এই তো.. জোবস এর প্রতি শ্রদ্ধা আর তার প্রতিভাকে সালাম জানিয়ে এই পোষ্ট টি লেখা ।


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৮
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার বড্ড ক্ষুধা পায়ঃমানুষের জন্য

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৯




শুধু খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত নই আমি,
কখনো কখনো ক্ষুধা পায়
স্মৃতির কুয়াশায় হারানোদের জন্য।
একটি হৃদ স্পন্দন থামিয়ে দেয়া
যাদুকরি কন্ঠের জন্য,
একজোড়া চঞ্চল চোখের চঞ্চলতার জন্য,
একটা উষ্ণ হাতের উষ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেকারত্বের দিনগুলি - প্রথম অংশ

লিখেছেন দর্পণের প্রতিবিম্ব, ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০১




সাকসেস বা সফল বা সফলতা, ইহার সংজ্ঞা আমার জানা নেই। সাধারণ একজন ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞেস করেন আপনি সফল কিনা বা সফলতা বলতে কি বুঝেন? খেয়াল করবেন তিনি বা তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিটিংয়ের জন্য কেন এত তোড়জোড়?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:১২



অর্থাৎ চীনের সহায়তায় লালমনিরহাটের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এয়ার বেইস চালুর চেষ্টা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীনকে নিয়ে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও চীনে গিয়ে ডক্টর ইউনূসের সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কিত বক্তব্য ভারতের ভালো লাগেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অকুতোভয় বাসচালক মো. সোহেলকে পুরষ্কৃত করা হোক

ছবিসহ মিনি পোস্টারটি এআই দিয়ে তৈরিকৃত।

থেঁতলানো চোয়াল, ভেঙ্গে গেছে দাঁত, রক্তাক্ত অবয়ব—তবু ৪০ কিমি বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন! এই সাহসী চালকই বাংলাদেশের নায়ক... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর পর যা হবে!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪২



বেহেশত বেশ বোরিং হওয়ার কথা।
হাজার হাজার বছর পার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। দিনের পর দিন একই রুটিন। এরচেয়ে দোজক অন্য রকম। চ্যালেঞ্জ আছে। টেনশন আছে। ভয় আছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×