চিঠি দিয়েছিলাম, পেয়েছো কি?
জানি পাওনি
পাবে কি করে! লিখেছি তো মনের খাতায়,
অদৃশ্য রঙ তুলির আঁচড়ে
তোমার সাথে তো আমার টেলিপ্যাথি সংযোগ নেই
থাকলে ঠিক পেয়ে যেতে!
একেক সময় মনে হয় নির্জন কোন গাঁয়ে চলে যাই
যেখানে বাবুই পাখির ডানায় ভোর হয়, সন্ধ্যা নামে
সারি সারি ঝাউগাছ ঢেকে রেখেছে যে পথ
যার বুকে আঁকাবাঁকা নাম না জানা নদী বয়ে যায়
সেখানে শিশির ভেজা দূর্বায় নগ্ন পায়ে হাঁটি
বিশাল বটবৃক্ষের সুশীতল ছায়ায় দু’ দন্ড জিরোই।
যেখানে কেউ আমায় চেনেনা
হয়তো মাস্টারি করব গ্রাম্য কোন জরাজীর্ণ স্কুলে
ডুরেশাড়ি পরে বাচ্চাদের ইংরেজি, অংক শেখাব
একদম আটপৌরে জীবন কাটাব
সিনেমা উপন্যাসের মত জীবন
ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর হবে আশ্রয়
জীবিকা হিসেবে থাকবে সামান্য কিছু
আত্মা জুড়ে থাকবে প্রশান্তি,
ঝুটঝামেলাহীন জীবন।
ব্যস্ত দিনশেষে ক্লান্ত আমি নীড়ে ফিরব,
সাথে স্মৃতি তোমায় নিয়ে
টুকিটাকি কাজ সেরে ছোট্ট টেবিলটায়
খাতা কলম নিয়ে বসব, প্রদীপের আলোয়
নাহ, গল্প কিংবা কবিতা লিখতে নয়
তোমাকে চিঠি লিখব, প্রতিদিন একটি করে
কিছু স্মৃতি রোমান্থন হবে, সারাদিন আগডুম বাগডুম
কি করি না করি তা থাকবে, হবে গল্প স্বল্প
না, কোন স্বপ্ন কিংবা ভবিষ্যতের কথা থাকবেনা
থাকবে শুধু ছন্নছাড়া কিছু কথামালা।
তারপর একদিন, একবছর বা তারও কিছুদিন পর
কোন এক সন্ধ্যায়, অথবা মাঝরাত্রির চাঁদের আলোয়
সবগুলো চিঠি জড়ো করব উঠোনে
দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বেলে ছুঁড়ে দেব
কাগজের স্তুপের 'পরে
সব পুড়ে খাক, ছাই হয়ে যাবে।
কিন্তু ততদিনে যদি তোমার আমার
হয়ে যায় টেলিপ্যাথি সংযোগ
তবে মুহূর্তকালে তোমার কাছে পৌঁছে যাবে সবগুলো চিঠি
লেখার মুহূর্তেই,
আগুন ভস্মীভূত করতে পারবেনা চিঠির উপাদান
তোমার মনের চিলেকোঠায় রয়ে যাবে স্মৃতি অমলিন।।
৩১.১২.২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ছবি: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩৪