somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ভয়াবহ ইসলাম অবমাননা"

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখাটি মোবাইল থেকে অনেক কষ্টে লিখেছি ,মনযোগ দিয়ে পড়বেন :

আজকে সকালে নামাজ পড়তে যাওযার সময় হকারের দোকানে দেখলাম নয়া দিগন্তে প্রথম পেজে বড় করে লেখা "দেবদেবীর নামে জবাই পশু হালাল!"

আমার দেশ পত্রিকায়
লেখা আছে "ভয়াবহ ইসলাম অবমাননা"

আরো লেখা আছে 'দেবদেবীকে আল্লাহর
সমান্তরাল বলা' নিয়ে রয়েছে চরম
একটি আর্টিকেল।

লেখাগুলো দেখে থমকে গেলাম ।রক্ত গরম হয়ে গেলো X(X(X(।সরকার এসব কি শুরু করেছে ?
শাহবাগ থেকে আজকাল দেবদেবীর প্রতি উত্সর্গিত পশুর গোশত খাওয়া হালাল ঘোষনা দিয়েছে নাকি?
না না এইরকম তো মেনে নেওয়া যায়না ।আজকেই সরকার পতনের ডাক দিতে হবে ।

সাথে সাথে দুই পত্রিকার দুই আর্টিকেল একনিমিষেই পড়ে ফেললাম । মাথা থেকে খুত দৌড়াতে পারছিলাম না ।
কারন তারা প্রতিটা লাইনেই তাদের
পক্ষের কথা বলছিলো ,আর মুসুল্লীদের
রক্ত গরম হয়ে যাওযার মত লাইন
লিখেছিলো।

একটু আগে বাসায় এসে ছোট ভাইয়ের নবম
শ্রেনীর ইসলাম বইয়ের ৮২ নং পৃষ্টায়
গিয়ে ঐ আলোচিত
লাইনটি পড়ে আমি তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছি ।:D:DB-)B-):)

ঐ লাইনটি হচ্ছে :
"দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের
নামে উত্সর্গকৃত পশুর গোশত
খাওয়া (হারাম)"

আমি ভাই আপনাদের
রাজনীতি না বুঝলেও বাংলা ব্যাকরণ
ভালো বুঝি ।প্রকৃতি প্রত্যয়
কিংবা তত্পুরুষ
সমাসে রয়েছে অল্পবিস্তর ধারনা ।

ব্যাকরণ ছাড়াই একটু বুঝিয়ে বলি :

লাইনটা আবার পড়ুন -"দেবদেবীর
বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের
নামে উত্সর্গকৃত পশুর গোশত
খাওয়া (হারাম)"

ডাইরেক্ট পড়ে গেলে মাথায়
ঢুকবে দেবদেবী কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য
কারো নামে উত্সর্গকৃত পশুর গোশত
খাওয়া হারাম ।তার মানে দেবদেবী ও
আল্লাহর নামে উত্সর্গ করা পশু হালাল (নাউযুবিল্লাহ)

আসলেই কি তাই ?
আসুন দেখে নেই একনজরে ।

আমি এখন আপনাকে দুটো শব্দের
দিকে নজর দিতে বলবো ।"দেবদেবীর"
শেষে যে "র" রয়েছে এবং "অন্যের"
শেষে যে "র" রয়েছে ।অর্থ্যাত্‍
"দেবদেবীর"
শব্দটি সাথে তুলনা করা হয়েছে "আল্লাহ ব্যতিত অন্যের" শব্দটিকে ।যেহেতু "আল্লাহর" শব্দটি উল্লেখ করেনি করেছে "আল্লাহ" ।সেহেতু আপনাকে "র" পর্যন্ত যেতে হবে।মোটেও
আল্লাহকে তুলনা করা হয়নি ।

এখন এই 'দেবদেবীর' এবং 'আল্লাহ ব্যতিত অন্যের' শব্দের
মাঝখানে রয়েছে একটি "বা" ।খেয়াল করেছেন ?

বা এর ব্যবহার জানেন তো ?বা এর ব্যবহার আপনি জানলে কি হবে ভাই ?
কট্টরপন্ত্রী সাংবাদিকগুলো তো জানেনা ।তাদেরকেই বলছি ,বা এর মানে হলো "অথবা" ।"বা" যুক্ত লাইনকে আপনি সর্বদাই দুটো বাক্যে রুপান্তরিত করতে পারবেন ,যাদের অর্থ একই
থাকবে।যেমন -
রহিম বা শফিক কেউই মেধাবী নয় ।
এইটাকে দুইটি বাক্য করলে হয় -
1) রহিম মেধাবী নয়
2)শফিক মেধাবী নয়
বুঝা গেছে ?

এইবার আসুন আমাদের
পাঠ্যবইয়ে ,যা লেখা আছে -
""-"দেবদেবীর" বা "আল্লাহ ব্যতিত
অন্যের" নামে উত্সর্গকৃত পশুর গোশত
খাওয়া (হারাম) ।

এইটাকে দুটো বাক্য করলে হয় -
১.দেবদেবীর নামে উত্সর্গকৃত পশুর
গোশত খাওয়া (হারাম)।
২.আল্লাহ ব্যতিত অন্যের
নামে উত্সর্গকৃত পশুর গোশত
খাওয়া (হারাম) ।

এতোকিছুর পরো যদি না বোঝেন তাহলে আপনাকে মুখ দিয়ে পানি না খাইয়ে তলদিয়ে খাওয়াতে হবে ।অর্থাত্‍ উল্টোদিক থেকে বোঝাতে হবে :

"আল্লাহ ব্যতিত অন্যের" বা 'দেবদেবীর' নামে উত্‍সর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম "

এইবার ঠিকই বুঝেছেন দেবদেবীর নামে উত্‍সর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম ।

এক কথা :আল্লাহর
সাথে দেবদেবীকে তুলনা করা হয়নি ।
আল্লাহ ব্যতিত অন্যের সাথে দেবদেবীক
তুলনা করা হয়েছে ।
যেমন - হিন্দুদের/খ্রিস্টানদের/বৌদ্ধদের বা মুসলমান ব্যাতিত অন্যের মসজিদ এ যাওয়া নিষেধ !
সরকারকে নাস্তিক
বানানোর আরো অনেক উপায়
আছে ,কিন্তু কিছু কট্টরপন্ত্রী লোক
মুসুল্লীদেরকে উস্কিয়ে দিতে ,দেশে গৃহযুদ্ধ
লাগাতে ধর্মের নামে অপব্যাখা করে সরকারকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফাঁদে পা দিচ্ছে ।

তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায
আনা হোক ।

(লেখাটি আপনার ধর্মান্ধ ব্যক্তির
ওয়ারে শেয়ার করুন ,যুক্তি দেখাতে আমি আছি
লেখক - Akjon Hridoy Ismail
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১
১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×