কদিন আগে একটি টিভি টক শো'তে একজন আলোচক বললেন আমরা সেক্যুলার বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম! যদিও তাঁর প্রতিপক্ষ আলোচক সেটা মেনে নেন নি। উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। কথা সেটা নয়, মুল কথা হল এদেশের সুশীলেরা এখনো প্রকাশ্যেই এ কথাটি বলে বেড়ান।
লেখক এবং ব্লগার অভিজিৎ রয় এর মত ঠিক একই স্থানে একই তারিখে আক্রমন করা হয়েছিল হুমায়ুন আজাদ স্যারকে। সে হত্যার কি বিচার হয়েছিল? হয়নি।
এ দেশে যারা প্রথম কোমল মতি শিশুদের হাতে ব্লগারদের ফাঁসি চাই সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তুলে দিয়েছিল তাদের আমরা সবাই জানি তাদের কি কোন বিচার হয়েছিল? হয়নি।
গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে রাজিব হায়দার নামের যে ব্লগার নাস্তিক বলে পরিগণিত হয়ে ঠিক একইভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হল তার সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কতদূর?
ফারাবী কোথায়?
এ দেশে ফারাবীকে (তার ভাষায়) নাস্তিকদের হত্যার দায়িত্বই বা কে দিল?
এ প্রশ্নগুলির উত্তর যতদিন পর্যন্ত না মিলবে, ততদিন পর্যন্ত এমন হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে
যে দেশের একজন সাধারণ মানুষ নিজেকে ইসলামের হেফাজত কারী দাবি করে নেতা বনে যায়। সে বা তাঁর অনুসারীরা তো নেতৃত্ব ফলাতে অনেক কিছুই করবে এটাই স্বাভাবিক। আসুন হয় আমরা নির্বোধ নির্বাক হয়ে যাই নয়ত এমন মৃত্যুর জন্য প্রস্থুতি নিয়ে রাখি।