সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে করা বিরূপ মন্তব্য আওয়ামীলীগ হজম করবে না বৈধতা দিবে সেটা আওয়ামীলীগের ব্যাপার। এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু মহানবী(সঃ) কে অসম্মান করে কথা বলা। বিশেষ করে ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি পবিত্র হজ্ব নিয়ে করা লতিফ সিদ্দিকির ঔদ্ধত্য পূর্ণ মন্তব্যকে মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা এর প্রতিকার চাই।
কিছুদিন পূর্বে কিছু ব্লগারকে ধর্মকে অবমাননার দায়ে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। সেটা তাদের প্রাপ্য ছিল। এবার মন্ত্রী বলে কি লতিফ সিদ্দিকী পার পেয়ে যাবেন? এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। কেননা আওয়ামীলীগের সারাদিন কথা বলা মহান নেতৃবৃন্দের কারো মুখ থেকে এ পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখলাম মা।
একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী একটি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যকে কি ভাবে নেব? নিশ্চয়ই এটা সরকারের বক্তব্য নয়। অথচ এ বিষয়ে সরকার এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি এই ভদ্রলোক এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন।
হেফাজত কর্তৃক যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নাস্তিক বলে অপবাদ দেয়া হয়েছিল তখন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কারণ তিনি ধর্মভীরু বলেই আমরা জানি আর তিনি স্বয়ং এবং তার দল কর্তৃকও সেটাই প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আজ তারই নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হয়ে লতীফ সিদ্দিকি কি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশের মন্ত্রী হয়ে এমন কথা বলেন?
ব্যক্তি লতিফ সিদ্দিকি তার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন। কিন্তু মন্ত্রী পদ মর্যাদায় থেকে এ ধরনের উস্কানিমূলক কথা বলাটা নিশ্চয়ই দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। এবার অন্তত সরকার সঠিক দায়িত্বটি পালন করুক।