শামসুন্নাহার হলের হামলার প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনের মুখে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করেছিলো। তখন আমি ডাইনিং হলে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম,বিবিসি বাংলার সংবাদ শুনে যখন জানলাম ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল ত্যগ করতে হবে। তখন সলিমুল্লাহ হল থেকে প্রথম মিছিল বের করেছিলাম।
এক চিৎকারে সেই রাতে ৫ শত ছাত্রের মিছিল নিয়ে গিয়েছিলাম টিএসসিতে।
হলের রাজনীতি বিদেরা বলেছিলো, তানভীর ভাই গান্ধি সাইজেন না , রুমে গিয়া বইয়্যা থাকেন।
আমরা বসে থাকিনি। মিছিল ভিসির বাসা ঘেরাও করেছিলো।
টিয়ার সেলের ধোয়ায় মিছিল ছত্র ভঙ্গ হয়েছিলো বটে, সেই স্রোত জগন্নাথ হলের গেটের তালা ভেঙ্গে ছাত্রদের বের করে নিয়ে এসেছিলো।
মোবাইলে সংবাদ পৌছে গেল হলে হলে। সব হল থেকে মিছিল এসে জড়ো হয়েছিলো।
ছেলেরা হল ছাড়লেও রোকেয়া হলের মেয়েরা সেদিন হল ত্যাগ করেনি।
রোকেয়া হলের সামনে তৈরী হলো মুক্ত মঞ্চ।
তার পর তিন দিন না ঘুম, না খাওয়া দাওয়া শহীদ মিনারে আমরন অনশন।
ভিসি আনোয়ারুল্লাহকে বিশ্ব বিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছিলো।
কয়েকটি শ্লোগান আমার এখনও মনে আছে..
"ছি ছি ছি আনোয়ার .
তুই একটা জানোয়ার"
তখনও এতো রক্ত দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসাবে আমি এই রক্ত সহ্য করতে পারছিনা।
রক্ত ঝরতে হলে জলপাই রং রঞ্জিত হোক।
আমাদের যোগ্য উত্তর সূরীরা আজ কোথায় ?
"এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
বিঃদ্রঃ ছবি টি প্রথম আলো থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৭:৫৬