somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশী ধাতব মুদ্রার সচিত্র ইতিহাস

১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পূর্বে প্রকাশিত বাংলাদেশী মুদ্রার সচিত্র ইতিহাস ব্লগটি পড়ে অনেকের ভাল লেগেছে জেনে খুবই ভাল লাগছে। তবে পূর্বের ব্লগটিতে বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রা সম্পর্কে বিস্তারিত না থাকায় এই ব্লগটি প্রকাশ করলামঃ

১ পয়সাঃ

বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে সবচেয়ে কম মূল্য মানের এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকৃতির ধাতব মুদ্রা। ১ পয়সা সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। এর একপাশে " floral ornamental design" এবং অপর পাশে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।



৫ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত চারকোণা বিশিষ্ট ধাতব মুদ্রা। ১৯ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ১.৪ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "লাঙ্গল ও কারখানার চাকা" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ৫ পয়সার পূর্বের মুদ্রার আকৃতি ও ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়।


১০ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ১০ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "আ্যলুমিনিয়াম" ধাতু দ্বারা নির্মিত "8-Scallops" আকৃতি বিশিষ্ট ধাতব মুদ্রা। ২৩ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ১.৯৮ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "পান পাতা" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপিঠে " সবুজ বিপ্লব স্লোগান এবং সংশ্লিষ্ট লোগো" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ১৯৭৭ সালে পুনরায় ১০ পয়সার ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপাশে "৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার"-এর ছবি এবং পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ১৯৮১ সালে ব্যাস কমিয়ে ২২ মি.মি. এবং ওজন কমিয়ে ১.৩৯ গ্রাম করা হয়।


২৫ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ২৫ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ১৯ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ২.৭ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "রুইমাছ" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


পরবর্তিতে ১৯৭৪ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরিবর্তিত হয় যার একপিঠে " মাছ,ডিম,কলা ও লাউ-এর ছবি" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ১৯৭৭ সালে "রয়েল বেঙ্গল টাইগার-এর ছবি" বিশিষ্ট ২৫ পয়সা ইস্যু হয়।



৫০ পয়সাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৫০ পয়সা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২২ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ৪.১ গ্রাম। এই মুদ্রার একপাশে "কবুতর" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।
[ছবিটি পাওয়া যায়নি, পেলে সংযুক্ত করা হবে]


পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ভিতরকার ডিজাইন পরবর্তীত হয় যার একপিঠে " ইলিশ মাছ,মুরগী, কলা ও আনারস-এর ছবি" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর ২০০১ সালে পুনরায় ভিতরকার ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে আকৃতি বৃত্তাকার থেকে গোলাকৃতির অষ্টভূজ করা হয়।



১ টাকাঃ

সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে "নিকেল-কপার" দ্বারা তৈরী ১ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়েছিল। যার একপিঠে "পরিকল্পিত পরিবার.সবার জন্য খাদ্য -এই স্লোগান এবং ৪ সদস্যের পরিবার" এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।


এরপর পুনরায় ১ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২৫ মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ছিল ৬ গ্রাম।



পরবর্তীতে এর ব্যাস কমিয়ে ২৪. ৫ মি.মি. এবং ওজন কমিয়ে ৪. ৩
গ্রাম করে যথাক্রমে সোনালী ও রূপালী রঙের দুটি মুদ্রা ইস্যু হয়।




২ টাকাঃ

২০০৪ সালে "স্টীল"-এর তৈরী ২ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। যার একপিঠে "সবার জন্য শিক্ষা -এই স্লোগান " এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক" ছিল।



৫ টাকাঃ

১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা ইস্যু হয়। এটি "স্টীল" দ্বারা নির্মিত ১২ কোণাবিশিষ্ট বৃত্তাকার ধাতব মুদ্রা। ২৮মি.মি.ব্যাস বিশিষ্ট এই মুদ্রার ওজন ৭. ৮৭ গ্রাম। এর একপিঠে "যমুনা বহুমুখী সেতু " এবং অপর পিঠে "বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক"।




সূত্রঃ
(১) http://www.bangladesh-bank.org
(২) http://en.wikipedia.org
(৩) http://www.wcoins.com
(৪) http://worldcoingallery.com
(৫) http://www.coinscan.com
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
১৭টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মহান আল্লাহতালা কতজন নবী- রাসুলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন এবং কোন ভাষায় কথা বলেছেন?

লিখেছেন রাজীব নুর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮



হ্যা আল্লাহপাক নবী রাসূলের সাথে কথা বলেছেন।
কারো সাথে কথা হয়েছে সরাসরি। কারো সাথে ফেরেশতাদের মাধ্যমে, কারো সাথে ওহির মাধ্যমে। আমরা যেভাবে কথা বলি একজন আরেকজনের সাথে আল্লাহ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জিব্রাইল (আ: ) বললেন, "আপনি পড়ুন"

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২



এখন ব্লগে এমন কেহ আছেন নাকি, যিনি স্কুলে গিয়ে ১মবার বর্ণমালা পড়েছেন শিক্ষকের কাছে? আজকাল, শহরে জন্মনেয়া বাচ্চাদের ( যেসব পরিবারে ২/১ জন শিক্ষিত আছে ) ৮০ ভাগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবেশী দেশ ভারত নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-জনগণের মতভেদ কেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০


ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর দায় বাংলাদেশের মানুষের তুলনায় ভারতের মিডিয়া এবং মুষ্টিমেয় কতিপয় ভারতীয় বেকুবদের বেশি। শেখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের একটা পাহাড় ছিলো

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১




আমার একটা পাহাড় আছে,
ঠিক আমার না, ওটা আমাদের।
তবু আমি ওর কাছে যাই,
তোমাকে রেখে, একা।

ওর পায়ের কাছে নদী,
সে জানে আমার সব কথা।
পাহাড় জানে আমার ভয়,
আমার ভাঙা স্বপ্নগুলোর ব্যাথা।

আমি উঠি ওর... ...বাকিটুকু পড়ুন

রোগিণীর মা হওয়ার বাসনা পূরণ করতে ডাক্তার কর্তৃক নিজ বীর্য দান

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১


পৃথিবীর যে কোন সমাজেই অনেক দম্পতির জন্য সন্তানহীন থাকা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের দেশের মত ধর্মীয় গোঁড়ামির দেশে অনেক সময় সহজ সরল নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভের আশায় ভণ্ড পীরের কাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×