শামা বাসায় ফেরার পর ভাবীকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়।বসার ঘরে তার ভাবী সানি বসেছিল।ছোটটা তখন খেলতে ব্যস্ত। তাই ফুপী বলে এক চিৎকার দিয়েই খেলায় ব্যস্ত হয়ে পরে।
শামা দু’দিন ধরে কলেজে যায়না তা সানি জানতে পারে বাড়ির ঠিকা ঝি এর কাছে।ওইদিন রাতে সানি শামার ঘরে যায়।শামা বাথরুমে গিয়েছে।সানি শোবার জন্য বালিশ টেনে নেয়।বালিশের নীচে প্রেসক্রিপশান দেখতে পেয়ে টেনে নিয়ে পড়ে।জিফল আর ক্যালবো সাথে টোরাক্স আর এসিফিক্স লেখা।সানির চোখ আটকে যায় এবর্শন শব্দটিতে।সে প্রেসক্রিপশানটি আবার বালিশ চাপা দিয়ে রেখে দিয়ে শামার জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে।
আসুন আমরা নাহয় একটু আলোচনা করি।যারা গল্পটি পড়ছি তারা।প্রথম পর্বেই গল্পটি শেষ হয়ে যেতে পারতো।আর সেরকম হলে শামা আর নাদেরের এই গল্পটিকে ঠগী কেন বলা হলো তা ঠিক জানা হতোনা।আপনারা জানেন সেই প্রাচীন কালে যারা পরিভ্রমণে বের হতো তাদের সাথে কিছু লোক বন্ধু সেজে মিশে যেতো আর সুযোগমত পরিব্রাজককে হত্যা করে তার সবকিছু হাতিয়ে নিত।সেই তস্করকে ঠগী বলা হতো।আর এই আধুনিক যুগে দেখুন আমরা যারা শিক্ষিত তারা প্রত্যেকেই যেন এক একজন ঠগী।কেন?ঠিক আছে উত্তর দেবো তার আগে গল্পে ফিরে যাই।সানিকে তো বসিয়ে রাখা যায়না।কি বলেন?
শামা বাথরুম থেকে বেরিয়ে ভাবীকে দেখে অবাক হয়।
-ভাবী কতক্ষণ?
-বাথরুমে সময় বেশী লাগলো?
সানির কথায় শামা উত্তর করেনা
-দেখো শামা তুমি আমাদের সবার খুবই আদরের।তোমার কথার উপর কেউ কোন কথা বলেনা।কিন্তু আমি একজন মেয়ে।আর আমার মন বলছে তুমি সমস্যায় আছো।
শামা এ কথারও কোন উত্তর দেয়না।সানি জানে সব ভাইয়ের আদর পেয়ে শামা অনেকটা বেয়ারা প্রকৃতির।তবে পড়াশুনায় আবার ভালো।
-ছেলেটি কে?কয়মাস হয়েছিল?
-থাক না ভাবী।এসব শুনে আর কি করবে।সব সমস্যা মিটে গিয়েছে।
-দেখো শামা তোমার জীবন তোমার।তুমি কিভাবে সাজাবে,কতটুকু উপভোগ করবে এ নিয়ে আমি মাথা ঘামাবোনা।তবে এতটুকু বলে রাখছি,কোন বদনামের ভাগিদার আমাদের করোনা।
সানি পরের মাস হতে মনির গৃহশিক্ষক বদলিয়ে ফেলে।এমনটি যে ঘটতে পারে নাদের আগেই বুঝতে পেরেছিল।সেও আর একটি টিউশনি জোগাড় করে নেয়।
শামা এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার পর ওর বড় ভাই ময়মনসিংহ হতে ওকে ঢাকায় নিয়ে আসে।ওর বড় ভাই সোহেল পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।ভাবীও সরকারী কর্মজীবি।ঢাকায় এসে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তি হয় শামা।আর দ্রুত বদলে যায়।দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠে।এইচ এসসি দেবার পর বান্ধবীদের সাথে অবসর সময় কাটাতে গিয়েই সে প্রথম নীল ছবি দেখে।আর শিখে ফেলে মাষ্টারবেশন।শামা বুঝতে শিখে ওর শরীরের মধ্যে লুকিয়ে আছে অনন্ত রহস্য আর রুপকথার আনন্দ।দিন দিন সে মাষ্টারবেশনে আসক্ত হয়ে পড়ে।কখনও কখনও ওর ভেতর অপরাধবোধ কাজ করতো।কিন্তু শরীরের চাহিদার কাছে শেষে হার মানতো।ওর বান্ধবীদের অনেকেই শারীরিক মিলনের অভিজ্ঞতার কথা যখন বলতো,ও সেইদিন রাতে নিজেকে তার বান্ধবীদের জায়গায় বসিয়ে নিতো।
নাদের মনিকে পড়াতে পড়াতে খেয়াল করে অসম্ভব সুন্দরী একটা মেয়ে বসার ঘরে পেপার পড়ছে।
-মনি,বসার ঘরে উনি কে?
-ফুপী,স্যার তোমাকে ডাকছে।
নাদেরের শুধু মনে হলো,ধরণী তুমি দ্বিধা হও।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫