somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা, তোমার জন্য আবার দিবস লাগে নাকি!

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বছরজুড়ে সারা বিশ্বে নানা রকমের দিবস পালন করা হয়। ছোট বেলায় এতো এতো দিবস পালনের হিড়িক পড়তো কিনা মনে পড়ে না। যতো বড় হচ্ছি ততোই যেনো বাড়ছে দিবসের বিস্তৃতি। একদিন বন্ধু দিবস তো পরের দিন ভালোবাসা দিবস! বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস তো শুক্রবারে চলে আসে বাবা দিবস!

এই যে এতো এতো দিবস এগুলোর উদ্দেশ্য কী আসলে? আদৌ কোনো উদ্দেশ্য আছে তো! নাকি অযথাই এক ধরনের ঘোরের মধ্যে ডুবে থাকা? আমার নিজের কাছে এইসব দিবস-টিবস খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। ভালোবাসার জন্য আবার দিবস লাগে নাকি! ভালোবাসা তো প্রতিদিনের। তা সে ভালোবাসা প্রিয়সীর জন্য হোক বা ছোট ভাইটার জন্য হোক। আমার কাছে ভালোবাসার বিস্তৃতি পুরো জীবনজুড়ে। জীবনের প্রতিটি মূহূর্তে।

আজকাল যে ভালোবাসা দিবস পালন করা (!) হয়, তাকে আমার কাছে শুধুমাত্র আদিখ্যেতা লাগে। আমার কাছে ভালোবাসা দিবস পালনের নামে যা কিছু করা হয়, সেগুলোকে লাগে সস্তা ন্যাকামি। কখনো কখনো ‘ডিজুস জেনারশেনের’ ভালোবাসা আমার কাছে শুধুমাত্র বেহায়াপনা মনে হয়। আফসোস লাগে তাদের ভালোবাসা প্রকাশের ভাবনা ও উপায় দেখে।

একইভাবে স্কুলে একসাথে দশটা বছর পড়ে আসার পর নতুন করে বন্ধুকে বন্ধু ভাবার জন্য আমার দিবস লাগে না। মন খারাপ হলে এমনিই আমি বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে একটা বিষন্ন বিকেল কাটিয়ে দিতে পারি। তা বিকেলটা বন্ধু দিবসে আসুক বা না আসুক। স্কুল বন্ধুকে তথাকথিত বন্ধু দিবসে কোনো গিফট দিতে ইচ্ছে করে না আমার। আমি কর্পোরেট জোয়ারে ভেসে যেতে চাই না প্রিয় বন্ধুর সাথে। প্রিয় শিক্ষকের সাথে আমার সম্পর্কটা দৃঢ় থাকে একটা ফোন কলে। বা একবার দেখা হয়ে গেলে আমি যে লম্বা করে সালাম দেই, তাতেই জানি শিক্ষকের চোখটা ছলছল করে উঠে। আমাকে কাছে ডেকে যে তিনি বলে দেন, কী রে খবর কি তোর? এটিই আমার কাছে প্রিয় শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক। এর জন্য শিক্ষক দিবসে গিফট কিনতে যেতে হয় না আমার। শিক্ষকের দেওয়া শিক্ষাটা মেনে চলাই শিক্ষকের জন্য আমার সেরা গিফট।

দিবস পালনের কর্পোরেট ভাবনা থেকে বাবাকেও দূরে রাখতে চাই। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসেই তো বাবা মিশে থাকেন। সেই বাবাকে আবার কিভাবে পালন করবো! বাবা তো রক্তের প্রতিটি কণিকায় মিশে থাকা শ্রদ্ধার নাম। বিশেষ দিনে সেই শ্রদ্ধাকে আমি আলাদাভাবে কিভাবে কী করবো! আমার হাসি পায়!

মা দিবস বলেও একটা দিবসের আমদানি হয়েছে। কবে কিভাবে এই আমদানি; আমার তা জানতে ইচ্ছে করে না। কেনোই বা ইচ্ছে করবে! মা’র জন্য আমার কোনো দিবস লাগে না। দিবস পালনের এই ভিনদেশি রীতিতে আমার কোনো বিকার নেই। থাকাও উচিত না।

মূল লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

'লেখা আছে অশ্রুজলে’......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

আমার গুম নির্যাতনের উপর লেখা 'গুম এবং অতঃপর' বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখেছেন এসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর মো: আদনান আরিফ সালিম( Md. Adnan Arif Salim) । লিংক পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক Mesbah Shemul লিংক-... ...বাকিটুকু পড়ুন

টরন্টোর চিঠি - "অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনী!"

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭


গত বছর গ্রীষ্মের শুরুতে টরন্টোয় বসবাসরত আমার জন্মস্থান জেলা-শহর থেকে আগত অভিবাসীদের একটি পিকনিকে গিয়েছিলাম। ৫০–৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সকলে ছিলেন নারী। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাসকে দিয়ে গাজায় ঠিক কী কী উপকার হয়েছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৫



ইসরায়েলের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আরও অন্তত ২১৬ জন আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্টারের কাচ্চি বিরিয়ানী

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১



শেষ কবে স্টারের কাচ্চি খেয়েছিলাম আমার মনে নেই। আগে একটা সময় ছিল যখন কাচ্চির নাম নিলে যে নামগুলো সবার প্রথমে সামনে আসতো তার ভেতরে এই স্টারের নাম থাকতো। এখনকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

নটীদের আড্ডাখানা ছিল সংসদ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪


বাজারে যত নটী আছে হাসিনা সবগুলোকে একছাদের নিচে দক্ষতার সংগে জমায়েত করতে পেরেছিল। সেই নটীদের ছিলনা কোন যোগ্যতা কিংবা না ছিল কোন রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ড; তারপরও নটীরা সংসদে যেতে পেরেছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×