মানুষ আমরা খাওয়ার জন্যই বাচি। চারদিকে শুধু খাওয়া আর খাওয়া। সেটা খাদ্যই হোক আর অখাদ্যই হোক। আদিকাল থেকে সেই যে খাওয়ার সুচনা তার আর ক্লান্তি নেই। কাচা খাওয়া, রান্না করে খাওয়ার সাথে সাথে যোগ হয়েছে পুড়িয়ে খাওয়া। এটা কি আদিম মানুষদেরকে সমবেদন জানাতে নাকি একদিনের জন্য আদিম যুগের স্বাদ আস্বাদনের জন্য তা জানা নেই।
যাই হোক বিআইএমটি'র ডিপ্লোমা মেরিন ডিগ্রিধারী প্রাক্তন ছাত্রদের সিঙ্গাপুরস্থ সঙ্ঘঠন ডিএমইএবিএস এর উদ্যোগে তেমনি একটি পুড়িয়ে খাওয়ার অনুষ্ঠানে শরিক হলাম। শরিক হলাম না বলে বরং বলা যায় আয়োজন করলাম। যদিও প্রাক্তন তকমা জড়িত হয়েছে তবে ছাত্রদের মাঝে পুরোন মেলবন্ধনটা ঠিকই রয়ে গেছে। অনেকে ডিপ্লোমা ছাড়িয়ে মাস্টার্স বা ডক্টরেটের তিলক নিয়েছে বা নিচ্ছে কিন্তু ডিপ্লোমা তকমা হৃদয় জুড়ে।
স্থান নির্বাচন করা হয় লেব্রাডর পার্ককে। পার্কের সৌন্দর্যের সাথে সমুদ্রের হাতছানির মেলবন্ধন, পেছনে পরে থাকল নগর জীবন।
সঙ্ঘঠনের ভবিষ্যত সভাপতি পদপার্থী দুই জনের সাথে বর্তমান কমিটির আমরা চারজন।
যে জ্বালাও পোড়াও আইনসিদ্ধ, সে অনলেই জ্বলছে। আর সবাই অপেক্ষমাণ কখন জ্বলেপুড়ে নিখাদ না হলেও খাদ্যে পরিনত হবে।
খাওয়ার ফাকে ফাকে বয়সের ভেদাভেদ ভূলে ঠাট্টা তামাসায় মাতোয়ারা। এমন সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না বলে যে যার মত তার সদ্বব্যবহার করতে ব্যস্ত।
ফটোসেশনের এক ঝলক। কে কোন দিকে থেকে ফটো তুলেতেছে তার ইয়ত্তা নাই, তাই কারও মুখ একদিকে অন্যের টা অন্যদিকে।
এভাবেই আনন্দ আয়জনের প্রবাসে কেটে গেল আরোও একটি দিন। প্রবাসে শত ব্যস্ততা, দেশপ্রেমকে উপেক্ষা করে নিদারুন ছুটে চলার পথে দু'একটা এমন আনন্দঘন দিন, উচ্ছাসিত সময় ভুলিয়ে দেয় প্রবাসের কষ্ট। কিছু সময়ের জন্য হলেও মনে হয় বাংলার আকাশে বাতাসেই বিকশিত হচ্ছি।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪৮