প্রজাপতি এসো রঙ মাখিয়ে দেই পাখায় । একটু সাবধানে থেকো । বৃষ্টি যেন না ছোঁয় তোমায় ।খুব যত্ন করে রঙ মাখালাম প্রজাপতির পাখায়। তারপর ঘোর লাগা চোখে দেখলাম ওকে । কি সুন্দর ! কি সুন্দর ! ওকে উড়িয়ে দিলাম আকাশে । উড়ুক সে । রঙে উড়ুক , হাওয়ায় উড়ুক , স্বপ্নে উড়ুক ।
হঠাৎ করেই ফিরে এলো প্রজাপতি । বিবর্ণ , মলিন !
কি হলো তোমার ? তোমার সব রঙ কোথায়, কে নিয়েছে বলো ? আজ তো বৃষ্টি নেই ? তাহলে !
প্রজাপতি লজ্জিত হয়ে বললো , সে আমার দুঃখসিন্দুকে ঢুকেছিলো । সব রঙ ধুয়ে গেছে । নোনা জলে ভরা সিন্দুক ! বোকা প্রজাপতি কিচ্ছু জানেনা । সব দেখতে নেই , জানতে নেই , শুনতে নেই ।
আদর করে প্রজাপতিকে কাছে নিলাম । বললাম , এসো আবার রঙ মাখিয়ে দেই ।
প্রজাপতি আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো , আগে তোমার সিন্দুকের জলে রঙ মাখাও । আমি তোমাকে ভালোবাসি । তোমার দুঃখসিন্দুকের ভার আমি নিলাম । তুমি কেবল রঙ মাখিয়ে দাও । আমি কোনদিন ও রঙ ফিকে হতে দেবো না ।
বোকা প্রজাপতি জানে না , নোনা জল রঙিন হতে পারবে না । সেই কবেই ওর সব চুরি হয়ে গেছে । রঙ চুরি হবার ভয়ে ও আমার কাছে আসে না । যদি ওর জলরং ও আমি নিয়ে নেই !