;;
;;
উইকিলিকস এবার ফাস করলো পৃথিবীর সব চেয়ে বড় বাংলা ব্লগ সামহোয়্যারইন ব্লগ-এর বেশ কিছু গোপন তারবার্তা।
উইকিলিকস-এর ফাঁস করা এসব নথি থেকে জানা গেছে সামু ব্লগের অনেক না জানা কাহিনি।
আপনাদের জন্য সেগুলো তুলে এনেছেন আলিম আল রাজি।
একসাথে ডিনার করেছিলেন সামু ও আমু ব্লগের মডুঃ
সামু ব্লগের মডু আরিল ও আমার ব্লগের মডু সুশান্ত দাশ গুপ্ত একসাথে ডিনার করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে সুশান্ত দাশ গুপ্ত এক সফরে বাংলাদেশ আসলে তারা একসাথে রাজধানীর এক হোটেলে ডিনার করেন।
ফাস করা তারবার্তায় বলা হয় সুশান্ত ও আরিল একে অপরের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঐ ডিনারে তাদের মধ্যে এরকম কথোপথন হয়,
সুশান্তঃ আমি সামু ব্লগের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
আরিলঃ না বন্ধু, উন্নতি হলে সেটা হবে তোমার আমার ব্লগ ডট কম-এর। আমার কোন শুভ কামনা লাগবে না।
সুশান্তঃ না না না। এ হতে পারে না। আমার জন্য লাগবে না। উন্নতি হলে সেটা হবে আমার বন্ধু আরিল-এর ব্লগের।
তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই যাচ্ছিলো প্রায়। হঠাৎ করে তিন বন্ধু অমি রহমান পিয়াল, ডাক্তার আইজুদ্দিন ও সবাক এসে তাদের ঝগড়া থামান।
আইজুদ্দিন তখন বলেন, "আরিল ও সুশান্ত, তোমাদের মধ্যে এই বন্ধুত্ব দেখে আমার চোখে পানি এসে যাচ্ছে। আহা! আজকাল এরকম বন্ধুত্ব দেখাই যায় না। যাই হোক, নো ঝগড়া। আমরা দুই ব্লগেরই সমৃদ্ধি কামনা করছি"
ঐ ডিনার শেষে সুশান্ত আরিলকে লন্ডন যাওয়ার দাওয়াত দেন।
জবাবে আরিলও সুশান্তকে নরওয়ে যাওয়ার দাওয়াত দেন। আরিল বলেন সুশান্ত সপরিবারে নরওয়ে গেলে জানা তাকে নিজ হাতে নরওয়ের ব্যাং কাবাব বানিয়ে খাওয়াবেন।
২০১৩ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন ফিউশন ফাইভঃ
হবিগঞ্জ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন ব্লগার ফিশন ফাইভ।
এদিকে ফিফা দাড়াবেন জেনে হবিগঞ্জ থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন আমার ব্লগের মডু সুশান্ত, এমনইটাই জানা গেছে উইকিলিকস এর ঐ গোপন নথিতে।
ঐ গোপন তারবার্তা থেকে আরো জানা যায় যে নির্বাচনের জন্য ফিউশন ফাইভ ইতোমধ্যে নিজের ছবি দিয়ে লক্ষ লক্ষ পোস্টার বানিয়ে ফেলেছেন।
পোস্টারে তার ছবির পাশাপাশি থাকবে তার নাম ঠিকানা সব।
আরো জানা যায় ফিফা-র বিজয়ের জন্য সুশান্ত, অমি রহমান পিয়াল সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবেন।
তবলীগে যাবেন আসিফ মহিউদ্দিনঃ
উইকিলিকস এর ফাস করা ঐ নথিতে আরো জানা যায় সামু ব্লগের ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন অতি শিঘ্রই তাবলীগে যাবেন।
প্রথম চিল্লার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সৌদি আরবের একটা মসজিদকে।
তাবলীগের ব্যাপারে তার সাথে একবার গোপন কথা হয় সদালাপ-এর বিখ্যাত ব্লগার এস এম রায়হান এর। সে কথোপকথনটি হুবুহু তুলে দেয়া হলো এখানেঃ
আসিফ মহিউদ্দিনঃ আসসালামু আলাইকুম ইয়াহালাল কুবুর।
রায়হানঃ ধুর মিয়া। এই সালাম দেয়া হয় কবরবাসীকে। আমি কি কবরে? যাউজ্ঞা! নতুন ইমান আনছো। এবারের মতো মাফ করে দিলাম।
আসিফঃ সরি হুজুর। আর ভুল হবে না। তাবলীগের ব্যাপারে কি আপডেট?
রায়হানঃ রাখো তোমার তাবলীগ। আমার দাড়ি দেখে র্যাব আমার পিছে লাগছে। আমি নাকি জঙ্গী। আমি এখন আত্মগোপনে আছি।
আসিফঃ ইয়া মাবুদ! বলেন কি হুজুর।
তারবার্তায় আরো বলা হয় এই ফোন পেয়ে আসিফ মহিউদ্দিন ভয়ে তার সদ্য গজানো সুন্নতি দাড়ি কেটে ফেলেছেন।
তার দাড়ি কামানোর খবর পেয়ে খুবই মর্মাহত হন আরেক নতুন আস্তিক পারভেজ আলম। আরেক ফোন কলে তিনি আসিফ মহিউদ্দিনকে বলেন, "তোমার ইমান মিয়া শক্ত হইলো না।"
বাংলাদেশ থেকে ব্লগার নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্রঃ
বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ব্লগার নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ওবামা লক্ষ্য করেছেন একসাথে এতো ক্যাটাগরীর ব্লগার আর কোন দেশের ব্লগে নেই। ক্যাচালবাজ, আইডিয়াবাজ, আস্তিক, নাস্তিক, ছাগু, এত্তোরকম ব্লগার দেখে ওবামা সামু থেকে ব্লগার আমদানীতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে কথা হয় সামহোয়্যারইন ব্লগের মডু জানা আপুর।
কথোপকথনটি নিম্নরূপঃ
ওবামাঃ হ্যালো।
জানাঃ হ্যালো কে বলছেন?
ওবামাঃ আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
জানাঃ ও! কেমন আছেন? যা বলার তাড়াতাড়ি বলুন। আমি একটা সেমিনারে আছি। আমাকে এওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে।
ওবামাঃ ও তাই? ম্যাডাম, আমি আপনার ব্লগ থেকে ব্লগার আমদানী করতে চাই।
জানাঃ কেনো। শুধু ব্লগার কেনো? মডুরা কি দোষ করলো? তাদের কি বিলাত দেখার শখ নেই?
ওবামাঃ না ইয়ে মানে!
জানাঃ রাখেন আপনার ইয়ে মানে! জানেন? আমি বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে এসেছি। আপনার দেশে গেলে আমার কোন সমস্যা হবে না। মডু লাগলে বলেন। ব্লগার রপ্তানী করতে পারবো না। আপাতত ফুটেন । আমি বিজি।
ঐ তারবার্তা থেকে আরো জানা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা আরো কয়েকবার জানা আপুকে ফোন করেন। কিন্তু জানা আপু "ধুর ছাতা" বলে ফোন কেটে দেন। পাশ থেকে আরিল বলেন, "কোন শালা ফোন দেয়? আমারে বলো। ঘুষি দিয়ে নাকসা ফাটাইয়্যা দিয়া আসি ঐ ব্যাটার।"
ফেসবুক কিনতে চেয়েছিলেন আরিলঃ
ফেসবুক কিনতে চেয়েছিলেন সামহোয়ারইন ব্লগের স্বত্তাধীকারি আরিল ক্লোকারহগ। এ ব্যাপারে কয়েক দফা বৈঠকও হয় জোকারবার্গ এবং আরিলের মধ্যে। বৈঠকে পারষ্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে লেনদেন প্রায় চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছিলো। ফাঁস করা তারবার্তায় জানা যায় আরিল ও জোকারবার্গের মধ্যকার অনেকগুলো বৈঠকের মধ্যে শেষ বৈঠকটি হয় ঢাকাস্থ শেরাটন হোটেলে। ঐ হোটেলে তাদের কথোপকথনের কিছু অংশ নিম্নরূপঃ
আরিলঃ তাহলে ঐ কথাই থাকলো! আগামী পরশু ফেসবুকের মালিকানা বদল হচ্ছে।
জোকারঃ হ্যা অবশ্যই। টাকার ব্যাপারটা যখন ফাইনাল হয়ে গেলো তখন তো আর ফেসবুক আপনাদেরই।
আরিলঃ হ্যা। তা তো বটেই।
আলোচনার এক পর্যায়ে আরিল জোকারবার্গকে শুটকি ভর্তা দেখিয়ে বলেন "ভ্রাতা, ভর্তাটা খান"
জোকারবার্গ ভর্তা মুখে দিতে দিতে বলেন, "ফেসবুক অনেক বড় কমিউনিটি। এটা চালাতে কিন্তু আপনাদের অনেক সতর্ক হতে হবে"
এ কথা শুনে পাশ থেকে জানা আপু বলে উঠেন, "সতর্ক মানে! আমরা ভয়াবহ সতর্ক থাকবো"
জোকারবার্গ বলেন, "সেটা কিরকম?"
জানা উত্তর দেন, "৫/৬ মাস না গেলে ইউজারদের লগ ইনই করতে দিবো না। ফাইজলামী নাকি? এসেই ফুল এক্সেস পেয়ে যাবে? উলটা পালটা স্ট্যাটাস দিলে সোজা ব্যান করে দেবো"
জোকারবার্গ এই কথা শুনে শুটকি মুখে বিষম খান। সাথে সাথে তিনি উঠে লন্ডনগামী প্ল্যানের টিকেট কিনে চম্পট দেন। যাবার আগে তিনি জানিয়ে যান ইহ জীবনে তিনি আর বাংলাদেশে আসতে চান না।
এদিকে ফেসবুক কেনার ব্যাপারে সামহোয়ারইন লিমিটেড কতোদূর এগুলো সে ব্যাপারে উইকিলিকস আর কিছু জানাতে পারে নি।
দ্রষ্টব্যঃ
- এটি অবশ্যই একটি ফান পোস্ট।
- কেউ সিরিয়াসলি না নিয়ে আশা করি বাধিত করবেন।
** এক কপি রেখে দিলাম পার্সোনাল ব্লগে।