গত কয়েকদিন ভিকারুননিসার ভেতরে কি ঘটেছিলো তার কোন খবর কিংবা ছবি পত্রিকায় আসেনি। তাই ভিকিরাই একটি ফেসবুক পেজ খুলেছে। সেখানে আপলোড করা হচ্ছে এক্সক্লুসিভ সব ছবি। জানানো হচ্ছে সব সত্যি খবর। পেজটিতে লাইক দিতে পারেন।
আপডেট - ২২
পরিমল জয়ধরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামীকাল বেলা ২ টায় কলেজের সামনে মানববন্ধন করবে ছাত্রীরা।
ধিক এ.টি.এন নিউজ, ধিক মুন্নি সাহা (১৫ জুলাই রাত ১১ টা)
কিছুক্ষন আগে এটিএন নিউজের টকশো-টা সঞ্চালন করেছিলেন মুন্নি সাহা। হ্যা... বিশিষ্ট সাংবাদিক মুন্নি সাহা। বলা হলো- "রাজনীতির কারনে অস্থির হয়ে উঠেছে ভিকারুননিসা(!!!)"
ওখানে যে বানোয়াট তথ্যগুলো দেয়া হয়েছে তার কয়েকটা হলো- অভিভাবকরা কোন ভুমিকা নেননি, অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারেন নি।
অথচ এই এটিএন নিউজের সাংবাদিকরা গতকাল ভিকারুন্নেসার ছাত্রীদের বলেছিলেন "আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমাদের মুন্নি সাহাও তোমাদের প্রতি অনেক সহানুভুতিশীল।"
আপডেট - ২১ (সকাল ১০ টা ১০। ১৫ জুলাই)
নতুন জটিলতাঃ
এটা একটু ভিতরের খবর- মামলার দুই নম্বর আসামী হলেন লুৎফর রাহমান(ভিকারুন্নেসার ইতিহাসের একমাত্র পুরুষ প্রধান শিক্ষক। নির্যাতিত হওয়ার পর তার কাছে প্রথম মেয়েটি অভিযোগ জানিয়েছিলো। তিনি সব চেপে যেতে বলেছিলেন)। এই লুৎফর রাহমান ছিলেন বসুন্ধরা শাখার প্রধান শিক্ষক। তাকে এখন নিয়ে নেয়া হয়েছে আজিমপুর শাখায়। আর আজিমপুর শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে আসা হয়েছে বসুন্ধরা শাখায়। যার ফলে পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হচ্ছে।
আরেকটা ছোট্ট খবরঃ চার সদস্যের এডহক কমিটিতে বহাল তবিয়তে আছেন হুসনে আরা বেগম। আর এখন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এই এডহক কমিটি।
আপডেট - ২০ (বিকেল ৫ টা ৪০)
হুসনেয়ারা গেছেন তিন মাসের ছুটিতে। বেশিরভাগ মিডিয়ায় আজকের সংবাদে মনজু আরা বেগমকে চলতি দায়িত্বে অধ্যক্ষ এবং হোসনে আরাকে মূল অধ্যক্ষ হিসেবে লেখা হয়েছে। নতুন প্রিন্সিপাল মনজু আরা বেগম ইতিহাসের শিক্ষক। ভিকারুননিসার টিচারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মেয়েরা আপাতত কেউ আর কোন আন্দোলনে যাবে না।
আপডেট - ১৯ (বিকেল ৫ টা ২৫)
মিটিং এখনো চলছে। বেশিরভাগ ছাত্রীরা এখন বাসায় চলে আসছে। আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে মিটিং-এ কি সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা সবাইকে জানানো হবে।
জানানো হলে আপনারা জানতে পারবেন আশা রাখি। আমিও এখানে জানিয়ে যাবো।
আপডেট - ১৮ (বিকেল ৪ টা)
হুমকি দিয়ে গেলো এনটিভি আর দেশটিভিঃ
ছাত্রীদের ক্রমাগত বেয়াড়া প্রশ্ন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
এক সাংবাদিক বললেন, "আপনারা ক্লাস বর্জন করলেন কেনো?"।
জবাবে এক ছাত্রী বললেন "আপনার বোন র্যাপড হলে আপনি কি করতেন?"
সাংবাদিকঃ দিস ইজ নান অব মাই বিজনেস। আমি হলে ক্লাস করতাম।
ছাত্রীঃ আপনারা আমাদের বারবার একই প্রশ্ন করছেন। আমাদের অবস্থা বুঝেও না বুঝার ভান করছেন। সকাল থেকেই তো নিউজ নিচ্ছেন। কই? পাবলিশ তো করছেন দায়সারাভাবে।
সাংবাদিকঃ তো! আমি কি করতে পারি?
ছাত্রীঃ তো! পাবলিশ হচ্ছে না কেনো? টাকা খেয়েছেন? নাকি উপরের চাপ?
এই কথা শোনার পর রাগ করে বেরিয়ে গেলেন এনটিভি আর দেশটিভির সাংবাদিকরা। যাবার আগে জানিয়ে গেলেন "এখন দেখবা তোমাদের নিউজ কিভাবে যায়। তোমাদের সাহস কমানোর সময় এসেছে"
আপডেট - ১৭ (দুপুর ৩ টা)
বোর্ড থেকে এই মাত্র ম্যাডামরা ফিরেছেন। তারা এখন মিটিং-এ আছেন। বাইরে ছাত্রীরা অপেক্ষা করছে। মিটিং-এ কি সিদ্ধান্ত নেয়া হলো খবর পাওয়া মাত্র জানিয়ে দেবো।
আপডেট - ১৬
ছোট্ট একটা ঘটনা- ছোট ছোট বাচ্চারা পুরো দিন না খেয়ে কলেজে। সিনিয়ররা ৫/১০ টাকা চাদা তুলে কিছু টাকা জমিয়ে বাচ্চাদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছিলেন। মাঝখানে তথ্যমন্ত্রনালয়ের লোকজন তাদের থামিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে বললেন, “তোমাদের পেছনে কারা আছে? কে তোমাদের এই টাকা দিয়েছে। সত্যি করে বলো। পেছনের শক্তিটা কে বা কারা?”
আপডেট - ১৫ (দুপুর ২ টা ২০)
মিডিয়ার নতুন ভেলকিবাজি। খবর বেরিয়েছে ছাত্রীরা দুই ভাগে বিভক্ত, কেউ পরিমলের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। কিন্তু এটা সম্পুর্ন মিথ্যা একটি প্রপাগন্ডা। ক্যাম্পাস থেকে খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সবাই এক বাক্যে পরিমলের বিচার চায়। হুসনে আরার অপসারণ চায়। কেউ পরিমলের পক্ষে না।
আপডেট - ১৪ (দুপুর ২ টা)
এই মাত্র কথা হচ্ছিলো ভিকারুন্নেসার ভেতরে থাকা এক আপুর সাথে। ফোনে কথা বোঝা যাচ্ছে না। চারিদিকে শুধু মিছিলের শব্দ। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত চারদিক। আপু খুব সংক্ষেপে জানালেন ভিকিরা দুই দফা দাবী জানিয়েছে। তারা তাদের দাবীতে অনড় আছে। দুই দফা হলো পরিমলের বিচার ও হুসনে আরা-র অপসারণ।
আপডেট - ১৩
পুরো ঘটনাকে পলিটিকাল ব্যাপারে ডাইভার্ট করার প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়ে ফেলেছেন এ ঘটনায় তৃতীয় শক্তির ইন্দন আছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ঘটনাস্থলে আসবেন না। টিভিতে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপডেট - ১২
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলছেন -"আইন অনুযায়ী হোসনে আরাই ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ"-সূত্র:চ্যানেল আই
আপডেট - ১১ (দুপুর ১২ টা ৫০)
ভিকারুন্নেসার সব'কটি গেটে ছাত্রীরা অবস্থান নিয়েছে। তারা স্লোগান দিচ্ছে, গান গাচ্ছে। হুসনে আরা-কে ঢুকতে হলে এখন ছাত্রীদেরকে মাড়িয়ে ঢুকতে হবে।
আপডেট - ১০ (দুপুর ১২ টা ৫০)
স্মারকলীপি দিয়ে এসেছেন ছাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারি(অথবা সেক্রেটারী টাইপের কেউ) স্মারকলীপি দেখে বলেছেন "এসব কি! আমি তো কিছুই জানি না!!"
আপডেট - ৯
আম্বিয়া আপাকে ডেকে পাঠিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
আপডেট - ৮ (দুপুর ১২ টা ৪০)
আইডি কার্ডে হুসনে আরা-র সাক্ষর থাকায় আই ডি কার্ড খুলে ফেলে দিয়েছে ভিকি-রা।
আপডেট - ৭
মেয়েরা ভিতর থেকে পুরা স্কুল ঘিরে রেখেছে। হোসনে আরা'র বাস ঘেরাও করে জুতা বোতল মারছে। সূত্রঃ Click This Link
আপডেট - ৬
৮/১০ জন ছাত্রী স্মারকলীপি নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে
আপডেট - ৫
মিডিয়া পালন করছে হাস্যকর ভুমিকা। তারা এসে শিক্ষকদের জিজ্ঞেস করেছে, "এই ছাত্রীরা আন্দোলনে ইচ্ছুক না। আপনারা এদেরকে বসিয়ে রেখেছেন কেনো?" শিক্ষকরা বলেছেন "আপনারা ছাত্রীদেরই জিজ্ঞেস করুন তারা আন্দোলনে ইচ্ছুক কি না" এটা শুনে সাংবাদিকরা ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করছেন, "আপনারা নিজেদের ইচ্ছায় এখানে এসেছেন? নাকি নিয়ে আসা হয়েছে?"
আপডেট - ৪
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে লোকজন এসেছিলেন। তারা এই মাত্র কথা বলেছেন ছাত্রীদের সাথে। তারা সাত কর্মদিবস সময় নিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন এই সাতদিনে তারা ব্যাপারটা ভালোভাবে তদন্ত করবেন। আরো বলেছেন তারা ছাত্রীদের প্রতি যথেষ্ঠ সহানুভূতিশীল।
আপডেট - ৩
প্রথম আলো আর এন টিভি ছাড়া আর কোন মিডিয়ার এখনো টনক নড়েনি। ভিকারুন্নেসা ক্যাম্পাসে এখন পর্যন্ত এই দুইটা মিডিয়ার সাংবাদিক পৌছেছেন।
আপডেট- ২
সিদ্ধান্ত হয়েছে ১০০ জন ছাত্রী স্মারকলীপি নিয়ে বের হবে। কিন্তু এখানে বাধ সাধছে পুলিশ। তারা কোন ছাত্রীকে বের হতে দিচ্ছে না। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বের হলে গ্রেপতার করা হবে।
আপডেট- ১
ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে অবস্থান করছিলো। কিছুক্ষন আগে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্রেপতারের ভয় দেখিয়ে গেছে। উচু গলায় কথা বলেছে অবস্থানরত ছাত্রীদের সাথে।
ছাত্রীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অডিটোরিয়ামের ভিতর চলে গেছে এখন।
- ভিকারুন্নেসার ভেতর থেকে জানিয়েছেন জনৈক ব্লগার (এক্স ভিকি)
শুরু>
*************************************************
কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রীরা। অসংখ্য দাঙ্গা পুলিশও জড়ো করে এনে রাখা হয়েছে। পুলিশরা মোটামোটি মারমুখি ভঙ্গিতেই আছে। ছাত্রীদের উপর যেকোন মুহূর্তে চড়াও হতে পারে তারা। বর্তমান ছাত্রীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না ভেতরে।
আপডেট ফ্রম জনৈক এক্স ভিকি।
কিঞ্চিত অফটপিকঃ
Mor Midding(এই নামের মানে কি?) নামের কেউ একজন আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছেন ফেসবুকে। মেসেজ পাঠিয়েই উনি তার একাউন্ট ডিএকটিভ করে ফেলেছেন। যার ফলে আমি রিপ্লাইও দিতে পারছি না। মেসেজটি হলোঃ
"পানিতে নেমে কুমিরের সাথে লড়াই করতে আসবেন না আলীম আল রাজি। আপনি আপনার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আধা ঘন্টার মধ্যে সামুর পোস্ট থেকে সাংবাদিকদের against-এ লেখা প্রতিটা লাইন মুছবেন। নাহলে আপনার জন্য অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। মাইন্ড ইট।"
সংযুক্তিঃ
** Some FACTS of VNC PROTEST.. TODAY'S DIARY (একজন এক্স ভিকি-র ফেসবুক নোট)
** ধর্ষক পরিমলের জন্য ডিবি অফিসে ছাত্রলীগের ফলচক্র ও অথিতেয়তা
** ভিকারুননেসা ইস্যু নিয়ে অনেকগুলো পোস্টের সংকলন
সংযুক্তি - ২
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:১৯