somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানিত..................

১১ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মা, মা। একটি অক্ষরের এক শব্দ। যার ওজন পৃথিবীর কোন দাড়িপাল্লায় ওজন করা সম্ভব নয়, যার উচ্চতা মাপার কোন যন্ত্র পৃথিবীতে নেই। যার মূল্য প্রত্যেকটি সন্তানের শরীরের চামড়া কেটে মায়ের পায়ের জুতা বানিয়ে দিলেও শোধ হবেনা। পৃথিবীর কোন লোভ মাকে তার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবেনা। মায়ের অভাব পৃথিবীর কোন কিছু পূরন করতে পারবেনা। মায়ের সম্মান দুনিয়ার কোন পুরষ্কার দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবেনা। মা, মা এর তুলনা শুধুই মা।

সন্তান যখন মায়ের গর্ভে আসে তখন থেকে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত মা যে কত কষ্ট করে তা মা ছাড়া পৃথিবীর কেউ বুঝবেনা। সন্তান জন্মদানের কষ্ট কেবল মা বলেই সহ্য করে অন্য কেউ হলে দুনিয়াতে এত কষ্ট নিয়ে সন্তান জন্ম দিতনা। আমরা জানি ব্যথার একক হল ডেল। সাধারনত একজন মানুষ তার শরীরে ৪৫ ডেল ব্যথা সহ্য করতে পারে। এর বেশী ব্যথা হলে মানুষ মরে যায়। আর মা তার সন্তান জন্ম দানের সময় ৫৫ডেল ব্যথা সহ্য করেও বেঁচে থাকে। যা শরীরের ২০ টি হাড় একসাথে ভেঙ্গে গেলে যে ব্যথা হয় তার সমান হল ৫৫ডেল। তাহলে বুঝুন মা কত ব্যথা সহ্য করে আমাদের জন্ম দেন। জন্ম থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত মায়ের যে ত্যাগ তা পৃথিবীর কোন কিছু দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়।

আমরা একটু ভালভাবে বুঝতে শিখলেই মা কে ভুলে যেতে থাকি। ভুলে যাই সেই ছোটবেলার কথা যে সময় মা কত কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন। ভুলে যাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে। ভুলে যাই বন্ধুদের পেয়ে। বেশী ভুলে যাই যখন চাকরি করে একটি বিয়ে করি। বিয়ে করার পর ফ্লাটে আর মায়ের থাকার জায়গা হয়না। মায়ের আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে। বউ পেয়ে যারা মাকে ভুলে যায় তাদের সন্তানও হবে,তারাও একদিন বৃদ্ধ হবে তাদের স্থানও বৃদ্ধাশ্রম ছাড়া অন্যকোথায়ও হবে বলে আমার মনে হয়না।

মাকে বছরের একদিন ভালবাসার জন্য নয়,একদিন স্মরণ করার জন্য মা নয়। মাকে সেবা,খোঁজ খবর নেয়া এটি প্রতিদিনের কাজ। আমাদের কর্মজীবনে হয়তো বাস্তবতার আলোকে আমাদের মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। কিন্তু এজন্যে মায়ের খোঁজ নেয়া যায়না বা সেবা করা যায়না যারা বলেন তাদের কে আমার মনে হয় মানুষ নামের অন্যকিছু। যারা পশ্চিমাদের অনুস্মরন করেন ভালকথা কিন্তু তাদের মত করে মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা কোন ভদ্র মানুষের কালচার হতে পারেনা। পশ্চিমা দেশে এখন সবচেয়ে মানসিক রোগী বাস করে। কারন তারা পরিবার প্রথা বিলুপ্ত করতে চলেছে। মাকে যারা অবহেলা করে তাদের থেকে দেশ জাতি কোনদিন ভালকিছু আদায় করতে পারেনা।
পৃথিবীতে আজ মা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। মায়ের অধিকার নিয়ে আজ অনেক কথা হবে। অনেক মেসেজ,অভিনন্দন,ভালবাসা আজকে মাকে জানাবে। এটা একদিনের জন্য নয়। বছরের ৩৬ ‍দিনই মাকে ভালবাসা দরকার। মায়ের অধিকার সর্বপ্রথম হযরত ওমর রাঃ রাষ্ট্রীয়ভাবে দিয়েছিলেন। মাতৃকালীন ভাতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ওমর রাঃ দিয়েছিলেন। ধন্যবাদ ওমর রাঃ কে যিনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাজটি করেছিলেন। বর্তমান যারা শাসক বা যে ব্যক্তিরা মাকে সবচেয়ে সম্মান করেন সকলকে জানাই স্বশ্রদ্ধ সালাম ও অভিনন্দন। আর ঘৃনা জানাই যারা মাকে দুরে রেখে অন্য কোন আশায় সুখ খোঁজে।

আজ একশ্রেণীর মাকে ধিক্কার জানাই যারা নিজের সামান্য সুখের জন্য, নিজের দুশ্চরিত্রের কারনে অনেক সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়,ময়লার ড্রেনে,মাটিতে পুতে ফেলে।

মা তোমার ঋণ কোনদিন পরিশোধ করতে পারবোনা। শুধু দোয়া আমাদের এদেশের প্রত্যেকটি সন্তান যেন গড়ে ওঠে সৎ,আদর্শবান, দেশপ্রেমিক হিসেবে। দেশের সকল মানুষের মধ্যে যেন কোন ভেদাভেদ না থাকে। সকলে যেন মনে করে একে অন্যের ভাই। আর শুধু আজকে নয় তোমাকে ভালবাসি প্রতিটি দিন,প্রতিটি সময়। পৃথিবীর সকল মাকে আমার পক্ষ থেকে ভালবাসা জানাই। আর যাদের মা বেঁচে নেই সৃষ্টিকর্তা যেন সে মাকে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেন।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×