কথা ছিল- জ্যোৎস্নারাতে
মাঝি মাল্লাহীন কংসের বুকে ;
জ্যোৎস্না স্নান করবো;শুকনো পাতার মত জলে ভেসে বেড়াবো ।
যা ইচ্ছে তাই কবিতার ফ্রেমে বন্ধি করবো ;
ভাঙ্গা বেসুরা গলায় আবৃত্তি করে শুনাবো ,
আর তুমি চর্মচক্ষু উঁচু করে বলবে দারুণ হয়েছে বলার ভাষা নেই ।
কাক ডাকা ভোরে ,একনায়কতান্ত্রিক গলায় ডাকবে,
উঠো !উঠো ! এটা কর ওটা কর ,এত্ত ঘুম!
ওমনি আমি আড়ঁমুড়ো দিয়ে একটু জেগে ;
বেলিফুল ধরিয়ে দিয়ে ;ধপাস ঘুমে বিভোর হবো ।
ইচ্ছে ছিল দু’জন সবুজের গালিচায় বসে অবুঝ নয়নে
রক্তজমাট সূর্যটার শেষ দেখবো ।
না হয়; হয়তো সেই দিগন্তেই হারিয়ে যাব,
বর্ষণমূখর সন্ধ্যায় ,হাসনাহেনার গন্ধে মাতবো ।
জানালার ফাঁকগলে দমকা ভেজা বাতাসের সাথে হাসনাহেনার কি যেন ঘ্রাণ ।
কথা ছিল-ছোট্ট একটি বাড়ি থাকবে ।
সাঝ বাধাঁনো ঘাট,পকুরে পদ্ম ও পদ্মজল ,রাজহাসঁ সাঁতার কাটবে।
তুমি বসবে পুকুর পাড়ে ,বকুল কৃষ্ণচূড়ারা তোমায় স্বাগত জানাবে ;
সামনেই সবুজ সাগরের ঢেউ তোমার চুলগুলো এলোমেলো করে দিবে ;
মুখের উপর অবাধ্য চুলগুলো সরিয়ে; আবার তুমি উদাস নয়নে ভাববে !
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭