আমারে ছাইড়া দেন , আল্লাহ’র ওয়াস্তে লাগে আমারে ছাইড়া দেন , আমার অনেক কষ্ট হইতেছে । মা গো আমারে বাঁচাও মা
কিশোরীর কান্না ঐ মানুষগুলো যেন শুনতে পায় না । তারা একজনের পর একজন আসে । জিব্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে প্যান্টের চেইন খুলে । কেউ হ্যাঁচকা টানে খুলে লুঙ্গীর গিঁট । তারপর চকচকে চোখে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাল পুতুল খেলতে ভালোবাসা মেয়েটির উপর ।
ওরা মেয়েটির সারা দেহ চেটে চেটে খায় । যৌন উচ্ছ্বাসে খামচি দেয় তুলোর মতো নরম দেহে । ক্ষত বিক্ষত হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র আদরের সন্তানটি । ওরা সর্বশক্তি দিয়ে মেয়েটির ভিতরে নিজেদের কর্তৃত্ত্ব প্রবেশ করায় । বিছানার কোঁচকানো চাদরের মতো নীচে পড়ে রয় রক্তাক্ত মেয়েটি । এই সেই কিন্নর কণ্ঠী মেয়ে যে প্রতিদিন সকালে স্কুল ময়দানে মুক্ত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতো আজ সে গুঙাতে গুঙাতে কেবল বলে চলে -
– ‘ আমারে ছাইড়া দেন ... আমি আর পারতেছি না ...... আমারে একটুখানি দয়া করেন ভাই ...... “
কিশোরীর অসহ্য যন্ত্রণার আকুতি আর চৌকির কুৎসিত খট খট খট খট শব্দ মিলে তৈরি করে এক লোমহর্ষ আবহ সঙ্গীত ! এই সঙ্গীত সহ্য করবার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দেয়নি । দিয়েছেন একমাত্র পশুদের । “ ওরা “ এই আবহে আরও হিংস্র হয়ে উঠে ।
একসময় থামে ‘একপক্ষ আনন্দ’ , ওরা সিগারেট ধরিয়ে লম্বা টান দিয়ে গুনগুন করে সূর তোলে কোন হিন্দি মুভির জনপ্রিয় গানের । সম্পূর্ণ উলঙ্গ সেই কিশোরী কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে রয় । দু পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা নেই তাঁর । সে বোবাদের মতো কাঁদে । ঘরে প্রবেশ করে আরেকজন ।
মা মাকড়শাটি খুব ভয় পায় । তার যে বাচ্চাটি আর কিছুদিন পর এই পৃথিবী বাতাস গায়ে মাখবে তাকে এই মানুষ কিশোরী মেয়েটির জায়গায় ভাবতে গিয়ে মাকড়শাটি আতঙ্কে অস্থির হয়ে যায় । মস্ত ডিমওয়ালা পেট টেনে টেনে সে ছুটে চলে সিলিঙের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত । নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ।
ছুটতে ছুটতে তার কেবলই মনে হয় – ‘ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দুটি পা বড় কম ! ইশ কিশোরী মেয়েটির কেন আটটি পা থাকলো না ? “
![]()

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




