somewhere in... blog

::: যদি কিছু মনে না করেন!!! :::

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্লগ-এ আমি অনিয়মিত হই গত ৪ মে ২০০৯ এর সন্ধ্যা থেকে। সেদিন আমি "ব্লগ থেকে সাময়িক বিদায় " নামে একটি পোষ্ট দেই। পরীক্ষার কারণে বাসায় নেট লাইন বন্ধ করি এর দুদিন আগে। তাই, বন্ধুর বাসায় গিয়ে ঐ পোষ্টটি দিতে হয়।

রাতে যৎসামাণ্য পড়ালেখা শেষে ঘুমাতে যাবো। হঠাৎ বন্ধু মার্শালের একটি ফোন পাই। ফোনে সে যা জানালো, সেটা আমি কখনোই কল্পনাই করতে পারি না। সেটা হচ্ছে, তাকে নাকী "জেনারেল" করা হয়েছে!! :-* কিন্তু কেন? সে আমাকে উত্তর দিল, সে নাকী ইংরেজি গানের সাইটের ঠিকানার জন্য একটি পোষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু, আমার জানা মতে, এটি সম্পূর্ন অযুক্তিক একটি কারণ। কারণ, তা হলে ব্লগের ৮০% ব্লগারকে এই রকম শাস্তি পেতে হবে। কারণ, প্রায় সবাই বিভিন্ন ছবি, গান বা সফ্ট্ওয়ারের জন্য বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে থাকে।

আমি তাকে মেইল পাঠাতে বললাম। কিন্তু তাতেও কিছু হলো না। আমি নিজেও মেইল পাঠালাম কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন উত্তর নেই। এটা নিয়ে মাহমুদ, মার্শাল, অমিত এবং সাকি বেশ মন খারাপ করলো। কিন্তু, ব্লগ কর্তৃপক্ষের কোন সারা নেই। এটান নিয়ে মাহমুদ এবং সাকি পোষ্ট দেয়ায়, তাদের জেনারেল এবং ওয়াচে রাখা হলো। আর সেই মুহূর্তে "সনামধণ্য ব্লগার" কৌশিক সাহেব একটি "মারহাবা" মার্কা পোষ্ট দিয়ে বসলেন আমাদের সবার বিরুদ্ধে। যা আমাকে আরো বেশি করে হতবাক করেছে ওনার মিথ্যাচার দেখে।

যিনি নিজের ইমেজ রক্ষার্তে যে কোন কাজ করতে পারেন। তিনি কতটুকু নিম্ম মন-মানসিকতার মানুষ হতে পারেন, সেটা তিনি প্রমাণ কের ছেড়েছেন। আমি ব্লগের সম্পর্কে প্রথমে খুব কম জানতাম। বই মেলায় আরিফ ভাইয়ের সাথে প্রথম দেখা। আরিফ ভাইকেও আমি তেমন চিনতাম না ব্লগে। কিন্তু, ব্লগার কৌশিক আরিফ ভাইকে দেখিয়ে বললো, "এই লোকের সাথে বেশি মিশবেন না। লোক ভাল না।" আমি জিঙ্গাসা করলাম, কোন?" তিনি বললেন, আরিফ সাহেব কুবুদ্ধি দিতে ওস্তাদ।!! B:-)

সেদিন আমার কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল, কারণ একটি মানুষ অন্য একজনের সম্পর্কে এই রূপ মন্তব্য করাটা আমি মানতে পারিনা। তাছাড়া, ব্লগার কৌশিক আমাকে সেদিন "অপারবাস্তব" বইয়ের কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ "লোকাল-টক" নামের একজন ব্লগারের কথা বলতে লাগলেন। তিনি আমার সামনে তখন এই ব্লগারকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গাল দিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পরই এনটিভিতে তিনি লোকার-টকরে সম্পর্কে মধূর মধূর কথা আউরাতে লাগলেন। আমি হিসাব মেলাতে পারছিলাম না। পরের কিছু কথা-বার্তার হিসাব মিলাতে গিয়ে ব্লগার কৌশিক এবং ওনার তিনজন বন্ধুর কার্যকলাপ আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে “লোকালটক” ওরফে “ফিউশন ফাইভ”-কে নিয়ে। এদের মধ্যে আমি বেশ মিল খুঁজে পাই।

ব্লগে তিনি মাঝখানে বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে কয়েকজন ব্লগার কে বেশ অকথ্য ভাষায় গালি দিতে লাগলেন। সে সময় অনেক ব্লগারকে শাস্তি সরূপ জেনারেল, ওয়াচ এবং ব্যান করা হয়েছিল। কিন্তু, ব্লগার কৌশিক বহাল তৈয়ারে আছেন। আমি তার সাথে দেখা হওয়া মাত্র জিঙ্গাসা করেছিলাম, যে ব্লগে আপনি গালি দিলেও আপনার কোন শাস্তি হয় না কেন??? তিনি হেসে বললেন, “ব্লগে “ক”-এর জন্য এক নিয়ম এবং “খ” এর জন্য অন্য নিয়ম। এবং “গ” এর আরেক নিয়ম।“ আমার সাথে নেদিন অমিতও ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম ওনার কথা শুনে।


এরপর তিনি বেশ কিছু কান্ড ঘটালেন আমাদের মাঝে। গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন নিয়ে । তিনি ব্যানার বানানোর সময় বললেন, ব্যানারে “ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ” কথাটি লিখতে। আমি বললাম, এটা নিয়ে তোন কোন আলোচনা হয়নি! তিনি বললেন হয়েছে। ব্লগারদের আগের আলোচনা সভায় এটি ছিল। আমি ভাবলাম হতে পারে। কারণ আমি আলোচনায় এসেছি অনেক পরে। ফেব্রুয়ারিতে। তিনি বললেন, ব্লগার “জামাল ভাস্কর” এই কথাটি লিখতে বলেছে। কিন্তু অনেক পরে যখন আমি ভাস্কর-দাকে জিঙ্গাসা করলাম, তিনি সরাসরি অস্বিকার করলেন এই ব্যাপারটি। তাছাড়া, সংবাদ সম্মেলনের পরে প্রায় সব ব্লগার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিল, কেন আমি সবাইকে না জানিয়ে এই কথাটি লিখেছি। তখন ব্লগার কৌশিক নিশ্চুপ ছিলেন। কিন্তু তিনি কেন আমার বা আমাদের সাথে এমন একটি খেলা খেললেন, আমি তা বুঝলাম না।

তার ব্যক্তিত্ব কেমন, সেটা ভাবতেই আমার ঘেন্না হয়। তিনি তার নিজের মুখ আড়াল করতে বেশ কিছু “মুখরোচক” কথা ব্লগে প্রকাশ করলেন। এবং আমাকে সহ আমার বন্ধুদের বানালেন ভিলেন। যারা আজ সাবাই এই ব্লগ থেকে চিরতরে ব্যান। যারা, এই ব্লগ সাইটের জন্য একদিন কাজ করেছিল নিরবে। আজ তারা ব্যান শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে। আমি নিজেও দিয়েছিলাম একটি পোষ্ট আমি নোটিশবোর্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু একটিরও জবাব পাইনি। কেন পাইনি? উত্তর দেবেনকি?

যদি কিছু মনে না করেন! তাহলে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে কিছু কথা বলতে চাই:

১। মডারেশন করার ক্ষেত্রে আপনারা কি কি গুণ দেখেন?

২। ব্লগারদের ভুল গুলো আপনাদের কাছে কিভাবে প্রাধান্য পায়?

৩। আপনাদের ভুল গুলো আমাদের কেন মাথা পেতে নিতে হবে?

৪। স্বদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে যারা "তথ্য সন্ত্রাস" চালায়, তাদের কেন প্রশ্রয় দেয়া হয়?

৫। "ব্লগের মালিকানা" ক্ষতমতা কেন ব্লগারদের পিষিত করে?

৬। আপনাদের কাছে কেন "ক" "খ" এবং "গ" ভিন্ন ভিন্ন আইনে নিয়ন্ত্রিত হয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪
৩০টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন : সংস্কার কাজ এগিয়ে আনার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৯


ড. ইউনূস সাহবে কে বুঝি পাঁচবছর আর রাখা যাচ্ছে না। আজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাথে মত-বিনিময়ের সময় ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কে সামনে রেখে তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের এগিয়ে আনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×