
ব্লগ-এ আমি অনিয়মিত হই গত ৪ মে ২০০৯ এর সন্ধ্যা থেকে। সেদিন আমি "ব্লগ থেকে সাময়িক বিদায় " নামে একটি পোষ্ট দেই। পরীক্ষার কারণে বাসায় নেট লাইন বন্ধ করি এর দুদিন আগে। তাই, বন্ধুর বাসায় গিয়ে ঐ পোষ্টটি দিতে হয়।
রাতে যৎসামাণ্য পড়ালেখা শেষে ঘুমাতে যাবো। হঠাৎ বন্ধু মার্শালের একটি ফোন পাই। ফোনে সে যা জানালো, সেটা আমি কখনোই কল্পনাই করতে পারি না। সেটা হচ্ছে, তাকে নাকী "জেনারেল" করা হয়েছে!!

আমি তাকে মেইল পাঠাতে বললাম। কিন্তু তাতেও কিছু হলো না। আমি নিজেও মেইল পাঠালাম কর্তৃপক্ষের কাছে। কোন উত্তর নেই। এটা নিয়ে মাহমুদ, মার্শাল, অমিত এবং সাকি বেশ মন খারাপ করলো। কিন্তু, ব্লগ কর্তৃপক্ষের কোন সারা নেই। এটান নিয়ে মাহমুদ এবং সাকি পোষ্ট দেয়ায়, তাদের জেনারেল এবং ওয়াচে রাখা হলো। আর সেই মুহূর্তে "সনামধণ্য ব্লগার" কৌশিক সাহেব একটি "মারহাবা" মার্কা পোষ্ট দিয়ে বসলেন আমাদের সবার বিরুদ্ধে। যা আমাকে আরো বেশি করে হতবাক করেছে ওনার মিথ্যাচার দেখে।
যিনি নিজের ইমেজ রক্ষার্তে যে কোন কাজ করতে পারেন। তিনি কতটুকু নিম্ম মন-মানসিকতার মানুষ হতে পারেন, সেটা তিনি প্রমাণ কের ছেড়েছেন। আমি ব্লগের সম্পর্কে প্রথমে খুব কম জানতাম। বই মেলায় আরিফ ভাইয়ের সাথে প্রথম দেখা। আরিফ ভাইকেও আমি তেমন চিনতাম না ব্লগে। কিন্তু, ব্লগার কৌশিক আরিফ ভাইকে দেখিয়ে বললো, "এই লোকের সাথে বেশি মিশবেন না। লোক ভাল না।" আমি জিঙ্গাসা করলাম, কোন?" তিনি বললেন, আরিফ সাহেব কুবুদ্ধি দিতে ওস্তাদ।!!

সেদিন আমার কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল, কারণ একটি মানুষ অন্য একজনের সম্পর্কে এই রূপ মন্তব্য করাটা আমি মানতে পারিনা। তাছাড়া, ব্লগার কৌশিক আমাকে সেদিন "অপারবাস্তব" বইয়ের কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ "লোকাল-টক" নামের একজন ব্লগারের কথা বলতে লাগলেন। তিনি আমার সামনে তখন এই ব্লগারকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গাল দিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পরই এনটিভিতে তিনি লোকার-টকরে সম্পর্কে মধূর মধূর কথা আউরাতে লাগলেন। আমি হিসাব মেলাতে পারছিলাম না। পরের কিছু কথা-বার্তার হিসাব মিলাতে গিয়ে ব্লগার কৌশিক এবং ওনার তিনজন বন্ধুর কার্যকলাপ আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে “লোকালটক” ওরফে “ফিউশন ফাইভ”-কে নিয়ে। এদের মধ্যে আমি বেশ মিল খুঁজে পাই।
ব্লগে তিনি মাঝখানে বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে কয়েকজন ব্লগার কে বেশ অকথ্য ভাষায় গালি দিতে লাগলেন। সে সময় অনেক ব্লগারকে শাস্তি সরূপ জেনারেল, ওয়াচ এবং ব্যান করা হয়েছিল। কিন্তু, ব্লগার কৌশিক বহাল তৈয়ারে আছেন। আমি তার সাথে দেখা হওয়া মাত্র জিঙ্গাসা করেছিলাম, যে ব্লগে আপনি গালি দিলেও আপনার কোন শাস্তি হয় না কেন??? তিনি হেসে বললেন, “ব্লগে “ক”-এর জন্য এক নিয়ম এবং “খ” এর জন্য অন্য নিয়ম। এবং “গ” এর আরেক নিয়ম।“ আমার সাথে নেদিন অমিতও ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম ওনার কথা শুনে।
এরপর তিনি বেশ কিছু কান্ড ঘটালেন আমাদের মাঝে। গণস্বাক্ষর নিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন নিয়ে । তিনি ব্যানার বানানোর সময় বললেন, ব্যানারে “ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ” কথাটি লিখতে। আমি বললাম, এটা নিয়ে তোন কোন আলোচনা হয়নি! তিনি বললেন হয়েছে। ব্লগারদের আগের আলোচনা সভায় এটি ছিল। আমি ভাবলাম হতে পারে। কারণ আমি আলোচনায় এসেছি অনেক পরে। ফেব্রুয়ারিতে। তিনি বললেন, ব্লগার “জামাল ভাস্কর” এই কথাটি লিখতে বলেছে। কিন্তু অনেক পরে যখন আমি ভাস্কর-দাকে জিঙ্গাসা করলাম, তিনি সরাসরি অস্বিকার করলেন এই ব্যাপারটি। তাছাড়া, সংবাদ সম্মেলনের পরে প্রায় সব ব্লগার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিল, কেন আমি সবাইকে না জানিয়ে এই কথাটি লিখেছি। তখন ব্লগার কৌশিক নিশ্চুপ ছিলেন। কিন্তু তিনি কেন আমার বা আমাদের সাথে এমন একটি খেলা খেললেন, আমি তা বুঝলাম না।
তার ব্যক্তিত্ব কেমন, সেটা ভাবতেই আমার ঘেন্না হয়। তিনি তার নিজের মুখ আড়াল করতে বেশ কিছু “মুখরোচক” কথা ব্লগে প্রকাশ করলেন। এবং আমাকে সহ আমার বন্ধুদের বানালেন ভিলেন। যারা আজ সাবাই এই ব্লগ থেকে চিরতরে ব্যান। যারা, এই ব্লগ সাইটের জন্য একদিন কাজ করেছিল নিরবে। আজ তারা ব্যান শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে। আমি নিজেও দিয়েছিলাম একটি পোষ্ট আমি নোটিশবোর্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু একটিরও জবাব পাইনি। কেন পাইনি? উত্তর দেবেনকি?
যদি কিছু মনে না করেন! তাহলে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে কিছু কথা বলতে চাই:
১। মডারেশন করার ক্ষেত্রে আপনারা কি কি গুণ দেখেন?
২। ব্লগারদের ভুল গুলো আপনাদের কাছে কিভাবে প্রাধান্য পায়?
৩। আপনাদের ভুল গুলো আমাদের কেন মাথা পেতে নিতে হবে?
৪। স্বদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে যারা "তথ্য সন্ত্রাস" চালায়, তাদের কেন প্রশ্রয় দেয়া হয়?
৫। "ব্লগের মালিকানা" ক্ষতমতা কেন ব্লগারদের পিষিত করে?
৬। আপনাদের কাছে কেন "ক" "খ" এবং "গ" ভিন্ন ভিন্ন আইনে নিয়ন্ত্রিত হয়?