somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৮ ঘন্টায় ৭৪০কিমি, সিলেট থেকে দিনাজপুর

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মা তখন খুব অসু্স্হ্য। মনটা খুত খুত করছিল। আমি থাকি সিলেটে। সিলেট থেকে বগুড়ায় যাবার কোন বাস দিনের বেলায় ছাড়ে না। পরের দিন অবরোধ। রাতে কোন বাস ছাড়বে কিনা ঠিক নেই। মন খারাপ করে অফিসে বসে ছিলাম। তখন ৯.৩৫।

হঠাৎ মাথার ভেতরে পোকা কামড়াল। সিদ্ধান্ত নিলাম আমার ভাঙ্গা চোড়া বাইক নিয়েই যাব। অফিসকে কোন রকম ম্যানেজ করে বের হলাম। তখন বেলা ঠিক ১১টা। সে সময় কি যে শান্তি লাগছিল বলে বোঝান যাবে না। বাড়ি যাচ্ছি, মা কে দেখতে পাব, মনের মধ্যে তখন এসব ঘুর পাক খাচ্ছে।

যা হোক অনেক কষ্টে ১১ ঘন্টা পরে সিলেট থেকে বগুড়ায় পৌঁছালাম। একটানা চালিয়ে হাত আর পা ঝিমঝিম করছিল। জোরে চালালে এত সময় লাগত না। কিন্তু উপায় ছিল না, আমার ওয়ালটন বাইকের অবস্থা বারটা হয়ে ছিল। ভাল মেকার পাচ্ছিলাম না, তাই ঠিক করা হয়নি।

যা হোক, গড়ে ৬০-৭০কিমি স্পিডে চালিয়েছি। মাঝে তিনবারে মোট দেড় ঘন্টা রেস্ট নিয়েছি। তারপরেও রাত ১০ টায় পৌছেছি। আমার ভাগ্য ভাল কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি।

আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। কারণ ইঞ্জিনের ভেতর অন্যরকম সাউন্ড হচ্ছিল। অচেনা রাস্তায় আটকে পড়লে সব শেষ। বাসায় ঢুকে মা কে দেখে সব ক্লান্তি মুছে গেল।

এখন হয়ত ভাবছেন, আমার লেখার হেডিং এর সাথে মিল কই? ঘটনা হল, পরের দিন আমি আবার বগুড়া থেকে দিনাজপুর যাই। সেখান থেকে আবার ব্যাক করি কাজ শেষ করে। রাতের বেলায় যাওয়াই আর কুয়াশা থাকায় খুব একটা জোরে চালাতে পারিনি। সময় অনেক বেশি লেগেছে। যেতেই প্রায় ৪ ঘন্টা।

তারপরেও অবাক করার কথা হল, আমার ওয়ালটনের ফিউশান ১২৫ সিসি বাইকটা আমাকে যে ভাবে সাপর্ট দিল, তা আমার ধারনাও ছিল না। একেতো ইঞ্জিন দিয়ে মোবেল পড়ত। এর আগে ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারে দিয়েছিলাম। এরা আসলে কোন কাজই করেনি। তার উপর ব্যাটারির লাইন সর্টসার্কিট করে ফেলেছিল।

ইঞ্জিনের প্রেসার ছিল না। এত সব প্রবলেম নিয়া আমি যে একটানা এত জার্নি করলাম, আমার নিজেরিই এখন অবাক লাগে।

যা হোক পরে হিসেব করে দেখলাম ১৮ঘন্টায় আমি মাত্র ৭৪০কিমি রান করেছি। এর ভেতর জামে আটকে থাকা + নাস্তা করা + টয়লেট সারা সবই আছে।

শেষে বগুড়ার আমার পরিচিত মেকারের কাছে সার্ভিসিং করালাম। এখন সব ফিট।

একটা ইনফরমেশান হল, ওয়ালটনের এখনকার ইঞ্জিনগুলো চায়না। যে কারনে অনেক ব্যাড রিপোর্ট শুনি। তবে প্রথম দিককার গুলো সম্ভবত কোরিয়ান ছিল। আমি একেবারে শুরুতেই কিনেছিলাম। আমি মানে আমার বাবা কিনেছিল। তাই হয়ত আমার অনেক অনেক রাফ ইউজের পরেও ভাল সার্ভিস দিচ্ছে।


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আঁচলে বাঁধা সংসার

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২০



আমি তখন কলেজে পড়ি। সবেমাত্র যৌথ পরিবার ভেঙে মায়ের সঙ্গে আমাদের ছোট্ট একটা সংসার হয়েছে। নতুন সংসার গুছিয়ে নিতে, মা দিনের প্রায় সবটা সময় ঘরকন্নার কাজে পার করে দিতেন। ঘরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রেমিকাকে বা বউকে প্রেম নিবেদনের জন্য সেরা গান

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯

নীচের দেয়া গানটাতে হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, পাঞ্জাবী এবং ইংরেজি ভাষায় প্রেম নিবেদন করা হয়েছে। নীচে গানের লিরিক্স এবং বাংলা অর্থ দিলাম। আশা করি গানটা সবার ভালো লাগবে। এই হিন্দি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫



কেন জানি মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
কিছুই ভালো লাগছে না। ইচ্ছা করছে ঘোড়ায় চড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। হাতে থাকবে চাবুক। যেখানে অন্যায় দেখবো লাগাবো দুই ঘা চাবুক। সমস্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ঐতিহাসিক দিন: বাল সাম্রাজ্যের পতন

লিখেছেন নতুন নকিব, ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫

একটি ঐতিহাসিক দিন: বাল সাম্রাজ্যের পতন

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

প্রিয় পাঠক, গতকাল ১০ মে ২০২৫। এই দিনটি কোনো সাধারণ দিন ছিল না। এটি ছিল ঐতিহাসিক এমন একটি দিন, যা বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের পুশইন : বাংলাদেশ কে Human dumping station বানানোর অপকৌশল !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩


ভারতের দিল্লি যখন ইসলামাবাদের দিকে ক্ষোভের তীর ছুঁড়ছে, তখন সেই ধূলিঝড়ে ঢাকা তেমন দৃশ্যমান নয়—তবে নিঃশব্দে এক অস্থির আগুন ছড়িয়ে পড়ছে সীমান্তের ঘাসে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক উত্তেজনার ছায়ায়, বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×