কাল বিকেলে হঠাৎ এক বন্ধুর ফোন, আমি রিসিব করলাম
-হ্যালো, আসসালামুয়ালিকুম। ( আমরা বন্ধুরা সব সময় একে অপরকে সালাম দিয়ে কথা বলি।)
-ওয়ালাইকুমসালাম। কই তুমি?
-দোস্ত আমিতো বাসায়।
-বাসায়?
-হুম! কেন তুমি জাননা আমার শুক্রবার আর শনিবার যে অফিস বন্ধ থাকে?
- ও আমি মনে করছিলাম তুমি অফিসে। তুমি অনেক খারাপ হয়ে গেছ।
-মানে ?
- বাসায় অথচ একটা ফোনও দাও নাই?
-সরি দোস্ত। মোবাইলে টাকা নাই।
-হ এহন তো থাকবইনা। যাইহোক এতো কথার দরকার নাই ভালো মাইনসের মত আসরের নামাজ টা পইরা আমার অফিসে আস। কথা আছে।
আমি আমার বন্ধুর অফিসে গেলাম। আমার বাসার কাছেই। ৫ মিনিট এর পথ। জিজ্ঞেস করল আমাকে
-কি খাইবা?
- ঝালমুড়ি আনাও। জানো , আজ সাদেকা ফোন দিছে ওরতো গতকাল পাত্র পক্ষ আংটি পরাইছে।
-শুনছি।
- আর একটা গুড নিউজ আছে। সিমার ছেলে হইছে ২৭ তারিখ।
-গুড নিউজ এর বন্যা বইছে দেখা যায়। তা তুমি বিয়া করনা কেন? সবাইতো দুইজন থেইকা তিনজন হইয়া যাইতেছে আর তোমার যে কোন খবর নাই?
-বিয়া করমুনা। ( রাগে কইলাম)
- হেহেহেহেহে, তাই নাকি?
-আমি জীবনে বিয়া করমুনা বুঝছ? ( মিছা কতা, করতে চাই ) কুমারি সংঘে নাম লেখামু ভাবতাছি।
- আরও কত কি যে শুনমু। শুনো সময় থাকতে বিয়া করো, বুঝছ? মাস্টার্স তো দিছ। এখন আর বাপের অন্ন ধ্বংস কইরনা।
মনে মনে কইলাম আমারে জ্ঞান দিতে হইব না।
আজব দুনিয়ার মানুষ গুলো। ও আমার এতো ভালো বন্ধু অথচ ও আমাকে এভাবে বলতে পারল?
মানুষগুলোর মাথায় না আসলেই কোন বুদ্ধি নাই? ফেবুতে ঢুকলেও পুলাপাইন গুলা কইব
-আপু বিয়া করনা কেন? বিয়া করো দাওয়াত খামু।
অফিসেও কেউ কেউ বলে ‘বিয়ে করছেন না কেন? কবে করবেন? করে ফেলুন। শৈশবের বন্ধুরা কয়। যামু কই?
যেখানে যাই ঘুরে ফিরে এক কথা বিয়ে করনা কেন?
আরে মোর জ্বালা ! এইটা কি ছেলের হাতে মোয়া নাকি দোকানে কিনতে পাওয়া যায়, কোনটা?
এভাবে একটা মেয়ের সাথে আচরণ করা কতটা যৌক্তিক আমার খুব জানতে মন চায়।
আমি মনে করি এটাও একটা হয়রানি । যারা এই ধরনের প্রশ্ন করে তারা কি একটা বার ভেবে দেখেছে যে সেই মেয়েটার মনে কি প্রভাব পড়ে বা পড়ছে?
মাঝে মাঝে অনেক খারাপ লাগে আমার। বিয়েটা তো ভাগ্যের ব্যাপার তাইনা?
এভাবে প্রশ্ন করে বিব্রত করার কোন মানে আছে কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪