ভাই আমি অতি সাধারণ একজন মুসলমান, হয়তো আপনাদের মতো স্কলার ধারি শিক্ষিতও না অথবা অনেক বিষয়ে আপনাদের চেয়ে অনেক কম বুঝি তাই, স্রষ্টার অস্তিত্ব যদি সত্যিই না থাকে তাহলে আমার করা প্রশ্ন গুলোর সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়ে তা প্রমান করবেন বলে আশা রাখি।
আমার বিবেক যা বলে তাতে মনে হয় কোনও বুদ্ধিমান ব্যাক্তি স্রষ্টার চেয়ে কাল্পনিক বিগব্যাং কে না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করে?অথচ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না কোন যুক্তিতে? ১কোষী একটা জীব থেকে র্যান্ডম মিউটেশন এবং ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে পুরো প্রাণি কূলের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপারটা অতিকাল্পনিক হয়ে যায়না? আপনাদের এই তত্ত্ব মেনে নিতে গেলেও তো ন্যাচারাল সিলেকশন এবং মিউটেশন পিছনে একটা অদৃশ্য শক্তির হাত লক্ষনীয় হয় কেননা প্রমিত হারে মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট একটা নিদৃষ্ট প্রাণির জন্মের ক্ষেত্রে তথা ন্যাচারাল সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রাণির গঠন তন্ত্রে কোনও হেরফের হলোনা কেন? সাধারণত বিজ্ঞানীরা নতুন কোনও আবিস্কার, ল্যাবে পরীক্ষার জন্য শতবার বিফলের পরে সফল হয় কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম কেনো র্যান্ডম মিউটেশনের ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে প্রথম বারেই সফল হলো?
আর বিবর্তন বাদ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের নিয়ম থেমে থাকার কথা না; তাহলে বিবর্তিত মানুষের ভবিষ্যৎ কি? আর পৃথিবির বর্তমান প্রানিকূলের ভবিষ্যৎ কি? মিউটেশনের ফলে বর্তমান যুগের অর্ধ বিবর্তিত প্রানি কূল কোথায়? এরকম কোনও প্রানি কেনো পাওয়া যাচ্ছেনা? মানব সৃষ্টির বয়স ২৬লাখ বছর হলে মানুষও তো বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে রূপ লাভ অথবা অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীতে রূপ লাভের কোন লক্ষন কেন দেখা যাচ্ছেনা?
আরেকটা কথা পৃথিবীতে বিজ্ঞান আগে আসছে নাকি ধর্ম আগে আসছে? ধর্ম যদি আমাদের সমাজ বদ্ধতা না শিখাতো তাহলে আমাদের জীবনও সাধারণ পশুদের মত হত, পশু যেমন জৈবিক চাহিদার সময় নিজের মায়ের, বোনের সাথেও সহবাস করে আমরাও ঠিক তা করতাম, মা এবং বোন যে আমাদের আদরের এবং সম্মানের এই শিক্ষাটা আপনার বিজ্ঞান দেয়নাই; দিয়েছে ধর্ম, তাছাড়াও সততা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার বোধ সবই আমরা ধর্ম থেকে পেয়েছি। তাই ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে আলিঙ্গন কিছুতেই যুক্তি যুক্ত হতে পারেনা, আর পৃথিবীর এতো প্রানিকূলের মধ্যে শুধু মানুষই কেনো একমাত্র বুদ্ধিমান জীব হলো? বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষের সমান অথবা মানুষের কাছাকাছি কোনও প্রাণির জন্ম কেনো হলোনা? এখন যদি বানর অথবা ডলফিনের উদাহরন দেন তাহলে বোকামি করবেন কেননা তারা মানুষের চেয়ে বুদ্ধির দিক দিয়ে রাত আর দিনের পার্থক্যের চেয়ে দূরে।
মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি, গ্রহ নক্ষত্রের নিয়ন্ত্রিত কক্ষ পথ পরিভ্রমণ এই সবকিছুই কি এমনি এমনি হচ্ছে? আর আমদের সৌর জগতের মধ্যে শুধু পৃথিবির মধ্যেই কেন প্রান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হলো? পৃথিবির নিয়ন্ত্রিত বায়ু স্তর, তাপের সমতা এইগুলা সবই কি এমনিই পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী যদি তার কক্ষ পথ থেকে একটু দূরে সরে যায় তাহলে বরফ শিতল হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে, আর বর্তমান অবস্থা থেকে একটু উপরে চলে গেলে তাপ মাত্রা বেড়ে সব জ্বলে যাবে তবে এই সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা কার ধারা পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহের আকৃতি প্রায় নিখুঁত গোলাকার হলো কি করে? অবিশ্বাসীদের কাছে প্রশ্ন গুলো রইলো।