আজ শাহবাগে লাখো মানুষের সমাবেশ থেকে জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার দাবী উঠেছে। সেই সাথে দাবী উঠেছে জামাত শিবির কর্তৃক নির্মিত সকল লেজুড়বৃত্তির প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার। এটাই আসল দাবী।
জামাত শিবির প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে বন্ধ করার দাবী জানাই। এইগুলো বন্ধ করে দিলেই চিরতরে জামাত শিবিরের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যাবে। নইলে অর্থনৈতিক শক্তির কারণেই এরা বার বার সাপের মতো ছোবল মারবে। এদের বিষদাত ভেঙ্গে দেয়ার এখনি সময়।
নিচের এই তালিকাটি নেয়া হয়েছে ব্লগার শওকত মাসুমের একটি পোস্ট থেকে।
তার মূল পোস্টটি এখানে http://www.amrabondhu.com/masum/1567
জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান: আসুন চিনে রাখি ও বয়কট করি
লিখেছেন: শওকত মাসুম | জুলাই ১৭, ২০১০ - ১১:০৮ অপরাহ্ন
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক তরুণ ভোটারকে আকৃষ্ট করে ক্ষমতায় এসেছে। মাঝে অনেকেই এ নিয়ে হতাশ ছিলেন। এখন বিষয়টি আবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। আমরা আবার আশায় বুক বেঁধেছি।
আশা করছি সরকার তার নিজের কাজটি করবেন। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের কাজ সরকারকে প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া, চাপ অব্যাহত রাখা। একইসঙ্গে সাধারণ এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের আরও একটি দায়িত্ব আছে। আমাদের চারপাশে নানা ভাবে বেড়ে উঠছে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। আপনার গলির মোড়ের যে ছোট্ট মুদি দোকানটি, সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামাতীদের অর্থে পরিচালিত। সংগ্রাম এসব দোকানে আপনি অবশ্যই পাবেন। আপনি কি বাসার কাছে বলে এই দোকানটির উপরই ভরসা করেন। নিজের অজান্তেই কে মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীতের হৃষ্টপুষ্ট হতে দিচ্ছেন না? টাকা আয় করে তারা কি কেবল সংসার চালায়, নাকি আরও বড় কোনো নাশকতা বা পরিকল্পনায় শক্তি সঞ্চয় করে। আপনার ভাই বা সন্তান কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কি শিখছে সেখানে। একবার খোঁজ নিয়ে দেখেছেন?
মৌলবাদীদের অর্থনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অধ্যাপক আবুল বারকাত এ নিয়ে ২০০৫ সালে একটি গবেষণা করেছিলেন। বিষয় ছিল: মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি। সেখানে তিনি বলেছেন,
মৌলবাদীদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ ভাগ। তারা প্রতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে। এর মধ্যে, জঙ্গি কর্মকান্ড ছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা ব্যয়, রাজনৈতিক কর্মীদের বেতন, জনসভা আয়োজন ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ।
তাদের ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা মুনাফার ২৭ শতাংশ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানি। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে, ১০ দশমিক ৮ ভাগ আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ১০ দশমিক ৪ ভাগ আসে ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে। ৯.২ শতাংশ আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ৮.৩ শতাংশ আসে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে। যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও সংবাদ মাধ্যম থেকে আসে ৫.৮ শতাংশ।
তাহলে আমাদের দায়িত্ব কি? আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জামায়াত শিবিরের ব্যবসায়ীক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কট করা, যাতে এসব প্রতিষ্ঠান আরও ফুলে ফেঁপে বড় হতে না পারে।
১. ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: এটিই জামায়াতের সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক সংগঠন। ধর্মের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করে তারা। এই ব্যাংকটির মূল কাজ হচ্ছে জামাত-শিবির যারা করে তাদের ঋণসহ নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা দেওয়া। এখানে যারা চাকরি করেন তারাও পরীক্ষিত জামায়াত কর্মী।
তাহলে আসুন দেখি ইসলামি ব্যাংক কারা চালায়। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এখন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। । একাত্তরের ঘাতক দালাল কে কোথায় বইটিতে আছে ৭১-এ তার ভূমিকার বিবরণ।
এই লোকটি একজন কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর। ৭১ সে ছিল আল বদর হাইকমান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রধান।
এই ব্যাংকের আরেক পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুস। এখন মৃত। সেও ছিল আল বদর হাইকমান্ড-এর একজন সদস্য। সে আবার জামাতের মজলিসে সূরার সদস্য ছিল। আরেক পরিচালক ছিল মীর কাশেম আলী। মীর কাশেম আলী প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান। পরে আল বদর হাই কমান্ডের তিন নম্বর সদস্য হিসাবে স্থান লাভ করে। আর তার স্থানে আসে আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। মীর কাশেম আলী নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। সেও একসময় মহানগর জামায়াতের আমীর ছিল। বলা যায় মীর কাশেম আলি জামায়াতের অর্থ ভান্ডার ও রক্ষক।
২. ইবনে সিনা ট্রাস্ট- জামাতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আয়ের বড় অংশ আসে। এই ট্রাস্টের নামে আছে ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা ফার্মাসহ ৬টি প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের লালন-পালন করার আরেকটি বড় উদ্যোগ এই ট্রাস্ট। ট্রাষ্টিদের নামগুলো জেনে নেই-
01. Mr. Advocate Mujibur Rahman, Chairman
02. Commodore (Retd.) Md. Ataur Rahman, Member, Ex-chairman TCB
03. Dr. Shamsuddin Ahmed, Member, Professor, International University of Technology
04. Mr. Shah Abdul Hannan, Member, Ex. Secretary. Govt. of Bangladesh
05. Mr. A.N.M.A. Zaher, Member Finance, Chairman, Islami Bank
06. Mr. Mir Quasem Ali, Member Administration
07. Prof. Chowdhury Mahmood Hasan, Member, Professor. Dhaka University.
08. Prof. A.K.M. Sadrul Islam, Member, Professor, International University of Technology.
09. Mr. Nazir Ahmed, Member, Ex-Chairman, Islami Bank
10. Mr. Kazi Harun Al Rashid, Member, Ex-Chairman, Islami Bank
৩. দৈনিক নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক আমার দেশ ও সংগ্রাম: তাদের দলীয় পত্রিকা ও টেলিভিশণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে যেতে চাচ্ছে। বিশেষ করে সংগ্রামের কোনো ধরণের জনপ্রিয়তা বা গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় তারা নয়া দিগন্ত পত্রিকা বের করে এবং দিগন্ত টেলিভিশন চালু করে।
আমার দেশ-এর মালিকানায় সেকেন্ড লারজেস্ট ইনভেস্টমেন্ট জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলমের।
৪. বেসরকারি শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়: জামায়াতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকার মানারত বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদীর বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলোর মুল বা সিংহভাগ মালিক জামাতীরা। যেমন, নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি।
৫. কোচিং সেন্টার: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘ফোকাস’, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ‘রেটিনা’, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য ‘কনক্রিট’, ‘কনসেপ্ট’ ও ‘এক্সিলেন্ট’ কোচিং সেন্টারগুলো মূলত জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। এসব কোচিং সেন্টার আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত।
৬. ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান: মীর কাশেম আলীর কেয়ারি গ্রুপ রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে জড়িত। সেন্টমার্টিন যেতে যে কেয়ারি সিন্দবাদ নামের ফেরি জাহাজ আছে, সেটিও মীর কাশেম আলীর।
আবুল কাশেম হায়দার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নেতা ছিলেন। তার ইয়ুথ গ্রুপ থেকে তৈরি হতো ভার্জিন ড্রিংকস। মেট্রো শপিং সেন্টারের মালিকও জামাতী।
রিয়েল এস্টেট মিশন গ্রুপও জামাতীদের।
এখানে সব নাম দেওয়া গেলো না। এটি আপডেট করা যেতে পারে। আপনারাও বলতে পারেন এরকম আরও নাম।
(বলে রাখা ভাল, বহু আগে সামুতে অন্য নামে এরকম একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। এটি সেই পোস্টের সম্প্রসারণ। আরও নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে।)
আপডেট করা হয়েছে দৈনিক আমার দেশ সম্পর্কে।
কিন্তু জামাত শিবিরের এ সব প্রতিষ্ঠানের টাকার উৎস কোথায় ? তার জবাব পাবেন নিচের এই লেখাটিতে । মূল লেখাটির লিংক : Click This Link
জামাতের টাকার উৎস ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন?
মনজুরুল হক : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাতিল করে তার বদলে ছলে-বলে-কৌশলে ইসলামি হুকুমত কায়েমের উদ্দেশে বাংলাদেশে ধর্মাশ্রয়ী সবচেয়ে বড় সাংগঠনিক পরিধি নিয়ে রাজনীতি করছে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দলটির উচ্চপর্যায়ের নেতাকর্মীরা শুধু স্বাধীনতাবিরোধিতাই করেনি, মানবতাবিরোধী অপরাধের চরম অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের দলের হর্তাকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে সেসবের আলামত ইতোমধ্যেই জমা হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল থেকে সেসব প্রচারও হয়েছে। এটা তো জামাতের এখনকার কূটকৌশল, কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই জামাত নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের যে ছক কেটে এগুতে থাকে তারই খুব সামান্য কিছু তথ্য-উপাত্ত খবর আকারে ছাপা হয়। এর বাইরে গোপনেই রয়ে যায় আরো অনেক পিলে চমকানো খবর।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জামাতের রাজনীতি চলেছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত কর্মকৌশলের ছক মেপে। বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মূলধারার রাজনীতিতে জামাতের আর দু-দশটা দলের মতো হলেও তাদের অনেক অদৃশ্য হাত আন্ডারগ্রাউন্ডে ক্রিয়াশীল থেকেছে সব সময়ই। নিজেদের দলীয় পরিম-ল কিংবা ভিন্ন নামে, বাংলাদেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র জামাতই প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী তৈরি করেছে। যে বাহিনীকে দুধ-কলা দিয়ে পুষেছেন আগেকার প্রায় সকল সরকার। বিশেষ করে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এদের বাড় এতোটাই বেড়ে যায় যে, খোদ সরকারি দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিনে দুপুরে জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবির পিটিয়েছে। সরকারের তরফে সাবধানবাণী উচ্চারিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাতে করে জামাতের বা শিবিরের কিছুই যায়-আসেনি। কেননা নিজেদের অবস্থান অক্ষত রাখতে রাজনৈতিক সমঝোতায় সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও কখনো পিছপা হয়নি তারা। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে কিংবা গোপন সমঝোতার অভিযোগ রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে।
এতো কৌশল আর পরিকল্পিত কর্মকা-ের পেছনের চালিকাশক্তি হলো জামাতের অর্থনীতি। জামাতের অর্থনীতিকে একটি দৃঢ় ও সামগ্রিক অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ দেশের রাজনীতিতে অংশ নেয়ার পাশাপাশি তারা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির বাইরে বিকল্প অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জামাতে ইসলামীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং), ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগব্যবস্থা (বাস, ট্রাক, লঞ্চ, জাহাজ, সিএনজি), রিয়েল এস্টেট, নিউজ মিডিয়া, আইটি, প্রকাশনা সংস্থা ইত্যাদি তাদের টাকা রোজগারের প্রধান ক্ষেত্র। এগুলো সবই নিট মুনাফা থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জামাতকে অর্থ জোগান দেয়।
এ বিষয়ে কালের কণ্ঠে ২০১০ সালের ২১ জুলাই একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা যায়। কালের কণ্ঠ রিপোর্ট বলছেÑ ‘বিভিন্ন গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে, জামায়াত নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বছরে প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়। কিছু প্রতিষ্ঠান সরাসরি ফান্ড ডেভেলপ করে; আবার কিছু আছে, যেগুলো থেকে ফুলটাইমার সংগঠকদের কর্মসংস্থান বা অর্থোপার্জনের ব্যবস্থা করা হয়। জামাতের আজকের এই শক্ত অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে উঠেছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সাহায্য ও ফান্ডের টাকা থেকে। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মওলানা মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর মতে, জামায়াত প্রথমদিকে টাকার উৎস তৈরি করে সৌদি আরব থেকে। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে ইসলামী ব্যবস্থা ও ইসলাম চর্চার সব উপায় বন্ধ হয়ে গেছে, এমন মিথ্যা অভিযোগে সৌদি আরবের কাছে জামাত টাকা চায় মসজিদ নির্মাণ, মাদ্রাসা খোলা, কুরআন চর্চার কথা বলে। তবে ধীরে ধীরে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এনজিওভিত্তিক কার্যকলাপ শুরু হতে থাকলে সরাসরি টাকার জন্য আর বহির্বিশ্বের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়নি এই দলটিকে।
২০০৫ সালে এশিয়া টাইমসের সূত্রমতে, বাংলাদেশে ইসলামি এনজিওগুলোকে অর্থ সরবরাহকারী দাতা সংস্থাগুলো হলো রাবেতা আল ইসলামী, সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম, ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি, কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটি, আল মুনতাদা আল ইসলামী, ইসলামিক রিলিফ এজেন্সি, আল ফোরকান ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যশনাল রিলিফ অর্গানাইজেশন, মুসলিম এইড বাংলাদেশ, কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি। এসব অর্থ জোগানদাতা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংগঠনের টাকায় বাংলাদেশে আদর্শ শিক্ষা পরিষদ, আল আমিন ট্রাস্ট, আল মুরতাদা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, কৃষি কল্যাণ সমিতি, দারুস সালাম সোসাইটি, আল হেরা একাডেমীসহ জামায়াত নেতাদের কর্তৃত্বে অনেক সংগঠন পরিচালিত হয়। এগুলোর বেশির ভাগই জঙ্গি কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে।’
ধারণা করা হয় ইসলামি এনজিওগুলোর ফান্ডের টাকা অথবা জঙ্গি কর্মকা-ের জন্য যতো অর্থনৈতিক লেনদেন সবই সম্পন্ন হয় জামায়াতের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে। যদিও ব্যাংটি কখনোই স্বীকার করে না যে, তারা জামাতের প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ জঙ্গি তৎপরতা, এনজিওভিত্তিক জঙ্গি কার্যক্রম, বহির্বিশ্বের অর্থ সহায়তা, ইসলামী ব্যাংকভিত্তিক লেনদেনÑ এ সবকিছু একটা পরিষ্কার চক্র তৈরি করে। যে চক্রটি প্রবহমান হয় জামাতে ইসলামী দ্বারা। এখানে আরো বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই ব্যাংকটিকে অন্যতম স্পন্সর হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়! কি কারণে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাদের ওপর অভিযোগ আছে জঙ্গিবাদের পেছনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সরাসরি বিভিন্ন জঙ্গি কর্মকা-ে ম“ দেয়ার তারা কি করে এমন একটি আন্তর্জাতিক পরিম-লের ইভেন্টে স্পন্সর হতে পারে! কোন উদ্দেশে এবং কিসের চাপে তাদের স্পন্সর করা হয়েছিল তা আজো এক অন্যতম রহস্য হয়ে রয়েছে।
অথচ এটা প্রায় সবারই জানা যে, জামায়াতের অর্থনীতি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে। বিদেশে ইতোমধ্যেই জামাত ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই পেয়েছেন তার হাতেনাতে প্রমাণ। তার লন্ডন সফরকালে হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা জামাতের পাঠানো যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধী বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখান সৈয়দ আশরাফকে। আর দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুকে ঘোলাটে করতে নানা নেতিবাচক প্রচারণার জন্য প্রাথমিকভাবেই জামাত ব্যয় করেছে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
রিপোর্টটি আরো জানাচ্ছে, ‘গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এর বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছেন। যেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজামীদের ছবি সংবলিত পোস্টার, বিভিন্ন সিডি, নিজেদের তৈরি আওয়ামী লীগের ৭৭ নেতার নাম সংবলিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকাসহ অনেক ডকুমেন্ট। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা, দেশে মৌলবাদী উগ্র-জঙ্গি গোষ্ঠীর বিস্তার, ধর্মীয় জিহাদের নামে ক্যাডার বাহিনী তৈরিসহ সামগ্রিকভাবে জামাতের সাফল্যের মূলে রয়েছে মজবুত অর্থনীতির নিশ্চয়তা। ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জামাতের সেই নিশ্চিত অর্থনীতির নিরাপত্তা বা মূল বুনিয়াদ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জামাতের ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি রুখতে হলে এই অর্থনীতিতে মেজর অপারেশন করতেই হবে। এটা যে কেবল বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন তা নয়, এটা অধিকাংশ সাধারণ নাগরিকেরও মনের কথা। যদিও এখন পর্যন্ত বহালতবিয়তে, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে ক্ষমতাসম্পন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জামাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নাকের ডগায় তাদের কর্মপরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রচারণা কিংবা অনুষ্ঠানে সরকারি মন্ত্রীরা আসা-যাওয়া করছেন তাই ‘সরষের মধ্যেই ভূত’ আছে কিনা এমন সন্দেহও অনেকের মনে। সন্দেহ হওয়া বা প্রশ্ন ওঠাটাই হয়তো স্বাভাবিক; কারণ এখন পর্যন্ত সরকার কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারেনি জামাতে ইসলামীর বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থার। এমনকি জামাতের প্রায় সকল প্রধান নেতাকে বন্দি করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে জামাতের এ সব নামী-দামি অর্থনৈতিক শক্তির ক্ষেত্রগুলোর টিকিটি ছোঁয়া হয়নি। হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না সে আর এক রহস্য! জামাতে ইসলামের মূল শক্তি তাদের পার্টি কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। সবার আগে সরকারের নজর দিতে হবে সেই সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর। শুধু নজরদারি বাড়ালেই চলবে না, প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া। এই ব্যবস্থা নিতে দেরি হলে যে উদ্দেশে জামাতের যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হতে পারে। বেশুমার টাকা ঢাললে কি করা যায় তার প্রমাণ নতুন করে দেয়া অনাবশ্যক। আমরা সবাই কমবেশি জানি। সরকার যেখানে এক কোটি টাকার বরাদ্দ দিচ্ছে জামাত সেখানে তার দশগুণ টাকা ঢেলে বসে আছে। প্রয়োজনে তারা তাদের নেতাদের বিচারের হাত থেকে বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে আইনজীবী ভাড়া করবে। প্রয়োজনে টাকা ঢেলে বিচার ব্যাহত করবে। পারলে বিচারের কেন্দ্রমুখ ঘুরিয়েও দিতে সচেষ্ট হবে। শেষ পর্যন্ত কোনো কিছু না পারলে সারা দেশময় টাকা ঢেলে অস্থিরতা এবং অরাজকতা তৈরি করবে। চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলে তার ভেতর দিয়ে জামাত তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। এটা কেবল আশঙ্কা নয়, নিরেট বাস্তবতা। অতএব সাধু সাবধান!
মনজুরুল হক : কলাম লেখক।
এবার আরেকটি লেখা। ফেসবুকে প্রকাশিত লেখাটি কপি/পেস্ট করে দিলাম। মূল লেখার লিংক এখানে : Click This Link
ভাবতে অবাক লাগে, কত কিছুই করে ফেলেছে জামায়াত ইসলাম!
ব্যাংক, টিভি, সংবাদপত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঔষুধ, বাস সার্ভিস সহ কত কি? আর নিজের অজান্তেই আমরা সেইসব জামায়াতী প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে বা সার্ভিস ব্যবহার করে নিজের অজান্তে ‘রাজাকার’দের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
আজ থেকে আমার একটা টাকাও আমি রাজাকারদের বাঁচাতে এবং ধর্মকে বিকৃত করে বা ধর্মের নামে ব্যবসা করার সুযোগ দিব না। তাই কষ্ট করে হলেও বিকল্প খুজি। আসুন প্লিজ জানি এবং বর্জন করি...
জামায়াত শিবিরের প্রতিষ্ঠানগুলোঃ
১. সংস্কৃতি সংগঠনঃ
সিএনসি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, স্বদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ, উত্সঙ্গ, সৃজন চিন্তন, মৃত্তিকা একাডেমী, প্রতিভা ফাউন্ডেশন, শহীদ মালেক ফাউন্ডেশন, কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশন, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, বিপরিত উচ্চারণ, পল্টন সাহিত্য পরিষদ, ফররুখ পরিষদ, চত্বর সাহিত্য পরিষদ, কিশোর কলম সাহিত্য পরিষদ, ফুলকুঁড়ি সাহিত্য পরিষদ, নতুন কলম সাহিত্য পরিষদ, আল হেরা সাহিত্য পরিষদ, মাস্তুল সাহিত্য সংসদ, সম্মিলিত সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ, স্পন্দন সাহিত্য পরিষদ, রেলগাছ সাহিত্য পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য সংসদ, কানামাছি সাহিত্য পরিষদ, অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ, শীলন সাহিত্য একাডেমী, পারফর্মিং আর্ট সেন্টার, সংগ্রাম সাহিত্য পরিষদ, উচ্ছ্বাস সাহিত্য সংসদ, ইসলামী সাহিত্য পরিষদ, হিলফুল ফুজুল, দাবানল একাডেমী, মওদুদী রিসার্চ সংসদ, বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র নামে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী [বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কপি]
২. প্রিন্টিং আই মিন প্রকাশনী বাণিজ্যঃ
সিদ্দিকীয়া পাবলিকেশন্স, আধুনিক প্রকাশনী, প্রীতি প্রকাশন, কিশোর কণ্ঠ প্রকাশনী, ফুলকুঁড়ি প্রকাশনী, মিজান পাবলিকেশন্স, ইষ্টিকুটুম, আল্পনা প্রকাশনী, গণিত ফাউন্ডেশন, প্রফেসর’স, কারেন্ট নিউজ, সাজ প্রকাশন, সৌরভ, সাহিত্যকাল, নবাঙ্কুর, সাহিত্যশিল্প, শিল্প কোণ, আযান, অনুশীলন, ফুলকলি, দিগন্ত, পাঞ্জেরী, আল কোরআন প্রকাশনী,প্রফেসরস গাইড, Youth wave, পৃথিবী।
৩. কোচিং বাণিজ্যঃ
রেটিনা,প্রবাহ, ফোকাস, কনক্রিট, ইনডেক্স, রেডিয়াম, অপটিমাম, শুভেচ্ছা, সাকসেস কোচিং সেন্টার।
৪. ব্যাংক প্রতিষ্ঠানঃ
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেড,
৫. ইন্স্যুরেন্সঃ
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ, ইসলামী ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ, তাকাফুল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স
৬. ডেভেলাপারঃ
কোরাল রীফ ,মিশন ডেভেলাপারস, এস.এ.এফ,এম.ডি.সি গ্রুপ, কেয়ারী,ইনটিমেট হাউজিং, সোনারগাঁ হাউজিং, লালমাটিয়া হাউজিং, সিলভার ভিলেজ হাউজিং, ওয়ান সিটি, পিংক সিটি, আবাসন সিটি।
৭. বাস সার্ভিসঃ
পাঞ্জেরী, আবাবিল
৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি(আইআইইউসি), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউ আই ইউ,ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ, মানারত (স্কুল আর বিশ্ববিদ্যালয়), গ্রীন ইউনিভার্সিটি, লাইসিয়াম কিন্ডারগার্টেন, ইসলামী ব্যাংকের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। মাদ্রাসার সংখ্যা অসংখ্য (আলিয়া আর কওমি মিলিয়ে)
৯. সংবাদপত্রঃ
দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক আমার দেশ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা।
১০. টিভি চ্যানেলঃ
দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি।
১১. হাসপাতালঃ
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ,ইউনাইটেড হাসপাতাল, ইবনে সিনা, ফুয়াদ আল খতিব মেডিকেল ট্রাষ্ট।
১২. ফার্মাসিউটিক্যালঃ
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, বায়োফার্মা ল্যাবোরেটরীজ লিমিটেড, কেয়ারী সিন্দাবাদ।
১৩. ইন্টারনেট ব্লগঃ
সোনার বাংলা ব্লগ।
ভাবুন ৪১ বছরে কিছু দালাল কে সাথে নিয়ে আর আপনার আমার অজ্ঞতার সুযোগে দেশটাকে তারা গিলে ফেলতে চাচ্ছে। আমাদের এখনো বুঝা উচিৎ- অর্থনীতি আর মেধাই বড় শক্তি।
বিশেষ আপডেট : আদ দ্বীন হাসপাতাল ও মদিনা পাবলিকেশন্স সম্পর্কে আপত্তি থাকায় আপাতত তালিকা থেকে বাদ দেয়া হল। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে যোগ করা হতে পারে।
এবার লাখো জনতার কাতার থেকে জামাতের এই সব অর্থনৈতিক শক্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবী জানাই। দুধ-কলা দেয়া বন্ধ না হলে সাপ কখনও মরবে না।
বিশেষ অনুরোধ : এই লেখাটি যে যেভাবে পারেন, শেয়ার করেন। ছড়িয়ে দিন। কপি পেস্ট করে পোস্ট করতে থাকুন। রিপোস্ট করতে থাকুন। ফেসবুক, গুগল প্লাস বা টুইটারে শেয়ার করতে থাকুন। সবাইকে জানানো দরকার। এই শুয়োরদের মুখোশ এখই খুলে দেয়া দরকার। সতর্ক করার এখনি সময়।