জীবন তো বহমান নদীর মত। নদী যেমন বয়ে চলে জীবনও তেমনি বয়ে চলে। চলতে চলতে নদী গিয়ে মিশে যায় সাগর মোহনায়। অন্য জীবন লাভ করে। হারিয়ে যায় সাগরের গহীন জলের ধারায়। জীবনও থেমে যায় না। মৃত্যু এসে জীবনের খানিক ছন্দপতন ঘটায় ঠিক, কিন্তু জীবন সচল থাকে। চলমান থাকে। বহতা নদীর মতই সেও হারিয়ে যায় অনন্ত অসীমের পথে। তার যাত্রা শুরু হয় সীমাহীন অবিনশ্বর জগতের উদ্দেশ্যে। সেই জগতের প্রাক প্রস্তুতির জন্য এই জীবন-জগত। এই আলো-আধিয়ারা। এই রঙ-রূপ-সৌন্দর্য্যের আলোকচ্ছটা। সেখানের প্রস্তুতি কি কিছু নিয়েছি? নিতে পেরেছি? নিতে চেষ্টা করেছি? কতই না সুন্দর বলেছেন আল্লাহর হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আসুন, দেখে নিই তাঁর মধুমাখা অমিয়বানী! জীবন জগতের সকল প্রশ্নের জবাব যেন পেয়ে যাই ছোট্ট এই হাদিসখানার ভেতরে!
শাদ্দাদ ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
“বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে তার নফসের হিসাব নেয় (আত্ম-সমালোচনা করে) এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে। আর দুর্বল ঐ ব্যক্তি যে নিজেকে কুপ্রবৃত্তির গোলাম বানায়, আবার আল্লাহর কাছে প্রত্যাশাও করে।”
[ইমাম তিরমিযি এ হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং একে হাসান অ্যাখ্যা দিয়েছেন]
আসল বুদ্ধিমান কারা?
আজকের সমাজে বুদ্ধিমান কাদের ভাবা হয়? সম্পদ যাদের অঢেল, ধনবল জনবলে যারা বলিয়ান তাদের নয় কি? আপনি বলবেন, নি:সন্দেহে অবশ্যই। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বক্ষমান হাদিসে বুদ্ধিমান সাব্যস্ত করেছেন তাদেরকে যারা নিজেদের নফসের হিসাব নেয় (আত্ম-সমালোচনা করে), কৃতকর্মের মুহাসাবা করে এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে, পাথেয় সঞ্চয় করে।
আল্লাহ পাক আমাদের সত্যিকারার্থে বুদ্ধিমান হওয়ার তাওফিক দান করুন। তাঁর নির্দেশ মেনে দুনিয়া আখিরাতে সফলতা অর্জনের সুযোগদানে ধন্য করুন।
কুড়ানো মানিক-০১
কুড়ানো মানিক-০১: মর্যাদা বৃদ্ধির তিন আমল, গুরুত্বপূর্ন কিছু কাজের সুন্নত
কুড়ানো মানিক-০২
কুড়ানো মানিক-০২: অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্ত থাকার দোয়া, জীবনের সব চাহিদা পূরণের বিশেষ দোয়া, যে তাসবিহ পাঠে নেকি লাভ ও গোনাহ মাফ হয়, যে জিকিরে অন্তর্জগত খুলে যায় এবং পিতামাতা-সন্তান ও নিজের জন্য সবসময় যে দোয়া আবশ্যক