সাঁঝের স্নিগ্ধ আলো আধারিতে মায়াময় মসজিদে নববী প্রাঙ্গন। দূরে প্রিয়তম সবুজ গম্বুজ।
হজ যাদের কিসমতে জুটে যায়, আল্লাহ পাক যাকে হজে মাবরুর (কবুল হজ) নসিব করেন, আমলি ময়দানে তিনি জিরো থেকে হিরো হয়ে যান। হজের কোনো কার্যাদি যদিও মদিনা শরিফে নেই তবুও প্রত্যেক হাজী তার হজের ওসিলায় পুণ্যভূমি মদিনা জিয়ারতের সৌভাগ্য লাভে ধন্য হন। মদিনা মুনাওওয়ারাকে আল্লাহ ছুবহানাহু ওতায়ালা আরদুল্লাহ্ (আল্লাহর ভূমি) বলে আখ্যায়িত করেছেন। মদিনার মাটি ধন্য হয়েছে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মোবারক চরণ স্পর্শে। এর আকাশে-বাতাসে মিশে আছে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের সুবাস। তিনি মদিনাকে এত বেশি ভালোবাসতেন যে, মদিনার ধুলাবালি তার মুখমণ্ডলে এসে পড়লে তিনি তা পরিষ্কার করতেন না। একজন হাজী তার হজের ওসিলায় যেমনিভাবে বায়তুল্লাহ শরিফে নামাজ পড়ে ধন্য হন, তেমনি মসজিদে নববীতে নামাজ পড়েও পরম তৃপ্তি লাভ করেন। আর হারামাইন শরীফাইন তথা, বাইতুল্লাহ শরিফ এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে,
''যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহয় এক রাকাআত নামাজ পড়বে সে এক লক্ষ রাকাআত নামাজের সওয়াব লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি মসজিদে নববীতে এক রাকাআত নামাজ পড়বে সে অন্য মসজিদে ৫০ হাজার রাকাআত নামাজের সওয়াব লাভ করবে।''
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ''যে ব্যক্তি মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এভাবে আদায় করবে যে, এর মাঝে কোনো নামাজ ছুটে না যায়, তাহলে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং মোনাফেকি থেকেও মুক্তি দেওয়া হবে।''
আর মদিনাতুত্বয়্যিবাহর সবচে' বড় আকর্ষণ হচ্ছে রওজা শরিফের জিয়ারত। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ''যে ব্যক্তি হজ সম্পন্ন করল এবং আমার মৃত্যুর পর আমার কবর জিয়ারত করল সে যেন জীবদ্দশায়ই আমার জিয়ারত (সাক্ষাৎ) করল।''
তিনি আরও বলেছেন, ''যে ব্যক্তি আমার কবর জিয়ারত করল আমার ওপর তার জন্য সুপারিশ করা ওয়াজিব হয়ে গেল।''
এ ছাড়া মদিনায় জিয়ারতে হাজীদের জন্য আরও একটি সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে দুনিয়ায় জীবিত থাকতে জান্নাতে ভ্রমণ। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
''আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মধ্যবর্তী জায়গাটুকু জান্নাতের বাগান। আর আমার মিম্বর আমার হাউজে কাউছারের ওপর।''
সবুজ গালিচা বিছানো এ জায়গাটুকু মসজিদে নববীতে চিহ্নিত রয়েছে। হাজী সাহেবানগন প্রতিযোগিতা করে সেখানে প্রবেশ করে নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার ও দোয়ায় মশগুল থাকেন। এতসব ফজিলত একমাত্র হাজীরাই অর্জন করতে পারেন। হজ নসিব হওয়া সৌভাগ্যবান হওয়ার আলামত। আল্লাহ পাক যাদের উপর হজ ফরজ করেছেন তাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ফরজ হজ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হজে মাবরুর নসিব করুন।
সোনালী আলোয় সবুজ গম্বুজ।
রহমাতুল্লিল আলামীন
মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন তার প্রিয়তম হাবীব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুনিয়ায় পাঠান রাহমাতুল্লিল আলামীন (জগতসমূহের সমগ্র অধিবাসীর জন্য আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে রহমত) স্বরূপ। পবিত্র কোরআনের ভাষায়,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সুরা আল আমবিয়া: ১০৭)।
স্বয়ং আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি সালাত (রহমত) প্রেরণ করেন
কুরআনে পাকে ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
''নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি সালাত (রহমত) প্রেরণ করেন আর তার ফিরিশতাগণও নবীর প্রতি সালাত (দোয়া) পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত (দুরূদ) পাঠ করো এবং সালাম পাঠাও,'' (সুরা আহযাব: ৫৬)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমনে ঊষর ইয়াসরিব নামের প্রাচীন আরবের নগরীটি ফুলে-ফলে-ফসলে সবুজ হয়ে ওঠে। হিজরতের সময় নবীজীর শুভাগমনকে ঘিরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন মদিনাবাসীগন। শিশুরা সমস্বরে সেদিন গেয়েছিল: ''ত্বালাআল বাদরু আলাইনা/ মিন ছানিয়াতিল ওয়াদায়ি/ ওয়জাবাশ শুকরু আলাইনা/ মা দাআ লিল্লাহি দায়ী।''
''স্বাগতম, হে নবী, আপনাকে সানিয়াতিল বিদা উপত্যকায় অভিনন্দন! হে প্রিয় অতিথি, আসুন! শুভাগমন হোক হে পূর্ণিমার পূর্ন চাঁদ! আমাদের মাঝে এসেছেন, তাই কৃতজ্ঞতায় শ্রদ্ধাবনত সবাই, সুপথে চলার, আপনিই মহান দিশারী!''
মানবতার মুক্তির দূত নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অভিবাদন ও সালাম জানানোর আঁকুতি সব মুসলমানের। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কত সুন্দর করেই না মিনতি জানিয়েছেন পবিত্র হারামাইন শরিফাইন জিয়ারতকারী মক্কা-মদিনার পথের যাত্রীদের কাছে, ''আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়''!
পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলমান নর ও নারী যে স্থান থেকে যখনই নবীর প্রতি সালাম ও দরূদ পেশ করেন, তা ফেরেশতারা মদিনায় পৌঁছে দেন। মদিনায় এলে নবীর রওজাপাকের সামনে দাঁড়িয়ে বিনয়ের সঙ্গে নিজের এবং পরিবার-পরিজন, স্বজনদের পক্ষ থেকে সালাম জানান মুসলিমগণ। দরূদ ও সালামে মুখরিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে নবীজীর রওজা শরিফের সামনে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হন।
পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে গভীর ভালোবাসায় মদিনায় ছুটে আসা মানুষ সালাম নিয়ে হাজির হন নবীজীর দরবারে।
মদিনা শরিফের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য
মদিনার আরেক মুবারক বৈশিষ্ট্য হলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা পালন। কারণ, নবী সপ্তাহে এই দুইদিন রোজা রাখতেন। নবীর মসজিদে খেজুর আর জমজমের বরকতময় (মক্কার জমজম মদিনায় নবীর মসজিদেও সরবরাহ করা হয়) পানিতে ইফতার সম্পন্ন করে মনে হলো লাখো মুসলমানের প্রেমময় মহাসমুদ্রে ভাসছি।
দরূদে দিল তাজা হয়
হজরত আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ''তোমরা জুমআর (শুক্রবার) দিন বেশি বেশি করে দরূদ পড়ো। নিশ্চয়ই ফেরেস্তারা এর উপর সাক্ষী থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরূদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়।''
আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ''আমি জিজ্ঞেস করলাম, মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।''
হজরত আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ''তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিনটি হচ্ছে জুমু’আর দিন। অতএব তোমরা ওইদিন আমার ওপর বেশি বেশি করে দরূদ পড়ো। কারণ তোমাদের দরূদগুলো আমার নিকট পেশ করা হয়। সাহাবা কিরাম আরয করেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের দরূদ কীভাবে আপনার নিকট পেশ করা হবে, আপনি তো তখন জমিনের সঙ্গে মিশে যাবেন? তিনি বললেন, নিশ্চিত নবীগণের দেহকে আল্লাহ জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।”
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার কবরের পাশে গিয়ে দরূদ পাঠ করে তা আমি নিজেই শুনবো। আর যে ব্যক্তি দূর থেকে আমার উপর দরূদ পাঠ করে তা আমার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।''
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমার কবরকে আনন্দ-উৎসবের স্থানে পরিণত করো না, বরং আমার ওপর দরূদ পড়ো। কারণ তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।
মসজিদে নববীর ভেতরের একটি দৃশ্য।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ''তোমাদের যে কেউ আমার উপর সালাম পড়ে, আল্লাহ তখনই আমার রূহ আমাকে ফেরত দেন এবং আমি তার সালামের জবাব দেই।''
হজরত আমের ইবনে রবীআহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ''আমি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি, আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে, ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে।''
হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা আমার নিকটবর্তী হবে, যে আমার প্রতি সবচেয়ে বেশি দরূদ পাঠ করেছে"।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।''
হজরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যেব (রহ.) ওমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ''রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দোয়া আসমান ও জমিনের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, তোমাদের নবীর উপর দোয়া ও দরূদ পড়া ছাড়া কোনো দোয়াই আসমান পর্যন্ত আরোহন করে না''।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ''নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''যতক্ষণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়া হবে না ততক্ষণ দোয়া কবুল করা হয় না''।
হজরত উম্মে দারদা রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় দশবার করে দরূদ শরিফ পাঠ করে, সে কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ লাভ করবে''।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''যখন তোমরা মুআয্যিনের আজান শুনবে তখন তার মত বলো। তারপর আমার উপর দরূদ পড়ো। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশবার দরূদ পাঠ করবেন। তারপর তোমরা আল্লাহর কাছে আমার জন্য উসিলার দোয়া করবে। কারণ উসিলা হলো জান্নাতে একটি উচ্চতর মর্যাদা, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে শুধু একজনই প্রাপ্ত হবে। আমি আশা করি আমিই হবো সেই ব্যক্তি। অতএব যে ব্যক্তি আমার জন্য আল্লাহর কাছে উসিলার দোয়া করবে সে আমার সুপারিশ প্রাপ্ত হবে''।
হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তির সামনে আমার নাম আলোচিত হয়েছে অথচ সে আমার ওপর দরূদ পড়েনি সে হচ্ছে প্রকৃত কৃপণ।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, ''যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পড়া ভুলে যাবে সে জান্নাতের রাস্তা ভুলে যাবে।"
মানবতার মুক্তির দিশারী, সাইয়্যিদুল কাওনাইনি ওয়াসসাকালাইন, শাফিউল উমাম, সারওয়ারে কায়েনাত, সাইয়্যিদুল আমবিয়া ওয়াল মুরছালীন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি আমাদের হৃদয় উজাড় করা অগনিত সালাম ও দরূদ।
ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন এই সিরিজের পেছনের পর্বগুলোয়-
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২১)
অনুপম মসজিদে নববীর চোখ জুড়ানো দৃশ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২১