মসজিদে কুবার অনন্য দৃশ্য
মসজিদে কুবার সামান্য বর্ননা ইতিপূর্বে যদিও এসেছে তবুও এই মসজিদটিতে সালাত আদায়ের বিশেষ ফজিলত, এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় একটু সবিস্তারে আলোকপাতের প্রত্যাশায় এই পর্বটি সামনে আনা হল। আল্লাহ পাক আমাদের সকল ভাল কাজগুলো কবুল করে নিন।
মন বলে বারবার ফিরে যাই প্রিয় মসজিদে কুবায়
মনোরম লোকেশনে দৃষ্টিনন্দন মসজিদে কুবা যেন হাতছানি দিয়ে ডাক দিয়ে যায়। মনে চায়, বারবার ফিরে যাই প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূন্য স্মৃতিময় এ মসজিদে। সকল ইচ্ছুক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাকে আল্লাহ পাক এ মসজিদে বারবার হাজির হবার তাওফিক দিন।
মসজিদে কুবার আরেকটি দৃশ্য
মসজিদে কুবার ঐতিহাসিক তাৎপর্য
পৃথিবীতে আল্লাহ পাকের সর্বাধিক পছন্দনীয় স্থান মসজিদ। ছোট-বড়-নির্বিশেষে সব মসজিদের ফজিলত সমপর্যায়ের হলেও চারটি মসজিদের ফজিলত অন্য সব মসজিদ থেকে অনেক বেশি। তন্মধ্যে বায়তুল্লাহ শরিফের মর্যাদা ও মাকাম সবার ওপরে। এরপর মসজিদে নববী, তৃতীয় নম্বরে বায়তুল মুকাদ্দাস। চতুর্থ নম্বরে মসজিদে কুবা। প্রথমোক্ত তিনটি মসজিদের ফজিলত ও মাহাত্ম্য সর্বজনবিদিত হলেও চতুর্থটির ব্যাপারে অনেকেরই জানাশোনার পরিধি অপ্রতুল, সীমিত। তাই এই মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও ফজিলতের কথা তুলে ধরার প্রয়াস। আল্লাহ তায়ালা লেখাটিকে হজে গমনেচ্ছুক সবার পাথেয় হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
ভৌগোলিক অবস্থান :
মসজিদে কুবা মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। মসজিদে নববী থেকে এর দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। 'কুবা' মূলত একটি কূপের নাম। পরবর্তী সময়ে কূপটিকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে উঠেছে, তাকেও কুবা বলা হতো। এই যুগসূত্রে মসজিদটির নামকরণ হয় 'মসজিদে কুবা' বলে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ইতিহাস :
রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনা শরিফে হিজরতের প্রথম দিন কুবায় অবস্থানকালে এর ভিত্তি স্থাপন করেন। স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মুহাম্মদ বিন ইসহাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, 'রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুবায় সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার অবস্থান করেন। এ সময়ের মধ্যে মসজিদে কুবার ভিত্তি স্থাপন করেন এবং এতে নামাজ আদায় করেন। নবুওয়ত প্রাপ্তির পর এটাই প্রথম মসজিদ, যার ভিত্তি তাকওয়ার ওপর স্থাপিত। অতঃপর জুমার দিন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেন...।'
ইবনে আবি খাইসামা উল্লেখ করেন যে, 'রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এর ভিত্তি স্থাপন করেন, তখন কিবলার দিকের প্রথম পাথরটি স্বহস্তে স্থাপন করেন। অতঃপর হজরত আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু একটি পাথর স্থাপন করেন। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর পাথরের পাশের পাথরটি স্থাপন করেন হজরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু। বাকি নির্মানকাজ সবাই যৌথভাবে করেন।
মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের ফজিলত :
মসজিদে কুবায় নামাজের ফজিলতের কথা অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন- হজরত ইবনে উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্বারোহণ করে কিংবা হেঁটে মসজিদে কুবায় আগমন করতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। অন্য এক হাদিসে রয়েছে, প্রতি শনিবারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুবায় আগমন করতেন। (বুখারি-মুসলিম)।
আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করার সওয়াব একটি ওমরাহর সমপরিমাণ। (তিরমিজি)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি নিজের ঘরে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (সুন্নাত মোতাবেক অজু করে) মসজিদে কুবায় আগমন করে নামাজ আদায় করে তাকে একটি ওমরাহর সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।' (ইবনে মাজাহ)
এ কারনেই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকেই প্রতি শনিবার মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করার জন্য গমন করা মদিনাবাসীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানেও তাদের এই আমল অব্যাহত রয়েছে।
যে মসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার ওপর স্থাপিত :
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে দুই ধরনের মসজিদের আলোচনা করেছেন। এক. তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টির ওপর স্থাপিত মসজিদ, অর্থাৎ মসজিদে কুবা ও মসজিদে নববী। দুই. মুনাফেকি ও শত্রুতার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মসজিদ। কোরআনের ভাষায় যাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে 'মসজিদে জেরার' হিসেবে। প্রথমোক্ত মসজিদ সম্পর্কে ইরশাদ হচ্ছে, 'হে নবী! আপনি তাতে (অর্থাৎ তথাকথিত ওই মসজিদে) কখনো (নামাজের জন্য) দাঁড়াবেন না। তবে যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার ওপর স্থাপিত হয়েছে, সেটাই আপনার দাঁড়ানোর বেশি হকদার। তাতে এমন লোক আছে, যারা পাক পবিত্রতাকে বেশি পছন্দ করে। আল্লাহ পাক পবিত্র লোকদের পছন্দ করেন।'
আয়াত থেকে কুবাবাসীর পাক পবিত্রতার দিকটিও ফুটে উঠেছে যে তারা বাহ্যিক পবিত্রতা এবং আমল-আখলাকের পবিত্রতার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং এটাকে পছন্দও করেন।
আরো ইরশাদ হয়েছে, 'আচ্ছা, সেই ব্যক্তি উত্তম, যে আল্লাহ ভীতি ও তাঁর সন্তুষ্টির ওপর নিজ গৃহের ভিত্তি স্থাপন করেছে, না সেই ব্যক্তি, যে তার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে এক খাদের পতনোন্মুখ কিনারায়, ফলে সেটি তাকে নিয়ে জাহান্নামের আগুনে পতিত হয়? আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।'
মসজিদে কুবার বিপরীতে মসজিদে জেরার : পেছনে ফিরে দেখা
মসজিদে যেরার সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, 'এবং কিছু লোক এমন, যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে এই উদ্দেশ্যে যে তারা (মুসলিমদের) ক্ষতিসাধন করবে, কুফরি কথাবার্তা বলবে, মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং আগে থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যে ব্যক্তির যুদ্ধ রয়েছে, তার জন্য একটি ঘাঁটির ব্যবস্থা করবে। তারা অবশ্যই কসম করবে যে আমরা সদুদ্দেশ্যেই এটা করেছি। কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তারা নিশ্চিত মিথ্যুক।'
আয়াতে এক দল চরম কুচক্রী মুনাফিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারা এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে মসজিদের নামে এক ইমারত নির্মাণ করেছিল। ঘটনার বিবরণ এই যে, মদিনা মুনাওয়ারার খাজরাজ গোত্রে আবু আমির নামে এক লোক ছিল। সে খ্রিস্টান হয়ে গিয়েছিল এবং সংসারবিমুখতা ও বৈরাগ্যের জীবন যাপন করতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের আগে মদিনা মুনাওয়ারার মানুষ তাকে খুব ভক্তি-শ্রদ্ধা করতো। মদিনা মুনাওয়ারায় আগমনের পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকেও সত্য দ্বীনের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু সে সত্য গ্রহণ তো করেইনি, উল্টো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজের প্রতিপক্ষ জ্ঞান করলো এবং সে হিসেবে তাঁর শত্রুতায় বদ্ধপরিকর হয়ে গেল। বদরের যুদ্ধ থেকে শুরু করে হুনায়নের যুদ্ধ পর্যন্ত মক্কার কাফেরদের সঙ্গে যত যুদ্ধ হয়েছে, এর সব ক'টিতেই সে কাফেরদের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে। পরিশেষে হুনায়নের যুদ্ধেও যখন মুসলিমদের বিজয় অর্জিত হলো, তখন সে শাম চলে গেল এবং সেখান থেকে মদিনা মুনাওয়ারার মুনাফিকদের চিঠি লিখলো যে, আমি চেষ্টা করছি, যাতে রোমের বাদশাহ মদিনা মুনাওয়ারায় হামলা চালায় এবং মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়। কিন্তু এর সফলতার জন্য তোমাদেরও কাজ করতে হবে। তোমরা নিজেদের সংগঠিত করো, যাতে আক্রমণ করলে ভেতর থেকে তোমরা তার সহযোগিতা করতে পারো। সে এই পরামর্শও দিল যে তোমরা মসজিদের নামে একটা স্থাপনা তৈরি করো, যা বিদ্রোহের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। গোপনে সেখানে অস্ত্রশস্ত্রও মজুদ করবে। তোমরা পারস্পরিক শলাপরামর্শও সেখানেই করবে। আর আমার পক্ষ থেকে কোনো দূত গেলে তাকেও সেখানেই থাকতে দেবে। সুতরাং মুনাফিকরা কুবা এলাকায় একটি ইমারত তৈরি করল। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমীপে আরজ করল, আমাদের মধ্যে বহু কমজোর লোক আছে। কুবার মসজিদ তাদের পক্ষে দূর হয়ে যায়। তাই তাদের সুবিধার্থে আমরা এই মসজিদটি তৈরি করেছি। আপনি কোনো একসময় এসে এখানে নামাজ পড়ুন, যাতে আমরা বরকত লাভ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাবুক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি বললেন, 'এখন তো আমি তাবুক যাচ্ছি। ফেরার পথে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা হলে আমি সেখানে গিয়ে নামাজ পড়ব।'
কিন্তু তাবুক থেকে ফেরার সময় তিনি মদিনা মুনাওয়ারার কাছাকাছি পৌঁছলেন, তখন 'যু-আওয়ান' নামক স্থানে এ আয়াত নাজিল হয় এবং এর দ্বারা তাঁর সামনে তথাকথিত ওই মসজিদের মুখোশ খুলে দেওয়া হয়। আর তাঁকে নিষেধ করে দেওয়া হয়, যেন তাতে তিনি নামাজ না পড়েন। তিনি তখনই মালিক ইবনে দুখশুম ও মা'ন ইবনে আদী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমা- এ দুই সাহাবিকে মসজিদ নামের সে ঘাঁটিটি ধ্বংস করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন। সুতরাং তাঁরা গিয়ে সেটি জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিলেন। (ইবনে জারির, তাফসির)-(তাওজিহুল কোরআন ১/৫৬৪-৬-৫৬৫)।
সুরা তাওবাহর ১১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, 'তারা যে ইমারত তৈরি করেছিল, তা তাদের অন্তরে নিরন্তর সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকবে, যে পর্যন্ত না তাদের অন্তর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আল্লাহ পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী, পরিপূর্ণ হিকমতের অধিকারী।'
এ আয়াতে ১০৭ নম্বর আয়াতে উল্লিখিত মসজিদের স্বরূপ উন্মোচন করা হয়েছে, তাই এখানে সেটিকে ইমারত বলা হয়েছে, মসজিদ বলা হয়নি। কেননা বাস্তবে সেটি মসজিদই ছিল না। তার প্রতিষ্ঠাতারা মূলত কাফের ছিল এবং প্রতিষ্ঠাও করেছিল ইসলামের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে। এ কারণেই সেটিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো মুসলিম মসজিদ নির্মাণ করলে তা জ্বালানো জায়েজ নেই।
এ আয়াতে বলা হয়েছে, 'ইমারতটি তাদের অন্তরে নিরন্তর সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকবে।' এর অর্থ, সেটি ভস্মীভূত করার ফলে মুনাফিকদের কাছেও এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টা মুসলিমদের কাছে ফাঁস হয়ে গেছে। সুতরাং তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সর্বদা সন্দেহে নিপতিত থাকবে যে, না জানি মুসলিমরা আমাদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করে। তাদের এই সংশয়জনিত অবস্থার অবসান কেবল সেই সময়ই হবে, যখন তাদের অন্তর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, অর্থাৎ মৃত্যু ঘটবে। (তাওজিহুল কোরআন ১/৫৬৬)
মসজিদে কুবায় উপস্থিতি ও নামাজ আদায়
আলহামদুলিল্লাহ। সকালের আলো ফোটার পরপরই এক দিন পরিকল্পনা মাফিক পৌঁছে গেলাম মসজিদে কুবায়। বাস থেকে নেমে অল্প কিছু পথ হেটে মসজিদের ভেতরে ঢুকলাম। অত্যন্ত সুন্দর সাজানো গোছানো মনোরম মসজিদে কুবার দৃশ্য দেখে মন ভরে গেল। আশপাশে গাছগাছালির অপূর্ব পরিবেশ আরও বিমোহিত করছিল। নামাজ শেষে মসজিদের আশপাশে সামান্য ঘোরাফেরা করে দ্রুত বাসের দিকে রওনা হলাম। এখানে বেশ ভালোই ভীড় লক্ষ্য করলাম। শত শত বাস এসেছে হাজি সাহেবানদের নিয়ে। বাসের কাছে এসে দেখি, যথারীতি হাফেজ মুখলেস ভাই আমাদের সাথে নেই। তার মানে, তিনি হারিয়ে গেছেন। যাক, এ যাত্রায় তাঁকে খুঁজতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। মিনিট দশেকের ভেতরেই মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়।
রাতে তোলা কুবা মসজিদের ছবি
আবছা আলো আধারিতে অসাধারন কুবা মসজিদ
যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে কুবা মসজিদ প্রাঙ্গনে যাচ্ছেন দর্শনার্থীগন
কুবা মসজিদের আরেকটি মনোরম দৃশ্য
পত্র পল্লবের আড়ালে দর্শনীয় কুবা মসজিদ
কাছ থেকে তোলা কুবা মসজিদের একটি মিনার
রাতের অসাধারন কুবা মসজিদ এবং আশপাশের দীর্ঘ প্রান্তরের মনমুগ্ধকর দৃশ্য
শেষ বিকেলের মিষ্টি আলো আভায় কুবা মসজিদের অনন্য রূপ সৌন্দর্য্য
সবুজের হাতছানির সাথে মিশে থাকা কুবা মসজিদ যেন
মসজিদের নয়ন জুড়ানো অভ্যন্তর ভাগ
পেছনের পর্বগুলো-
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২০)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২০