মসজিদে নববীর সীমানা
মদিনা মুনাওওয়ারাহ। প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাজারো স্মৃতি বিজড়িত প্রিয় শহর। বিশ্বের বুকে মুসলমানের অতি পবিত্র নগরী হচ্ছে মদিনা মুনাওয়ারাহ। পবিত্র মক্কা নগরীর যেমনি হারাম বা সীমানা রয়েছে তেমনি পবিত্র মদিনারও রয়েছে হারাম বা সীমানা।
এ প্রসঙ্গে হারাম বা হারামের কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে ইমামদের মধ্যে। ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদের মতে, পবিত্র মদিনার হারাম অর্থগত দিক থেকে পবিত্র মক্কার হুবহু অনুরূপ বুঝাবে। উদাহরন স্বরূপ, মক্কার হারামে যেমন যুদ্ধ করা, গাছ কাটা, শিকার করা নিষেধ, পবিত্র মক্কার হারামের মতো পবিত্র মদিনার হারামেও এসকল বিষয়াবলী সমভাবে কার্যকর থাকবে। কিন্তু ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি -এর মতে, পবিত্র মক্কার মতো সম্মানের দিক দিয়ে পবিত্র মদিনা কোনো অংশে কম থাকবে না। তবে পবিত্র মদিনায় গাছ কাটা, শিকার করা নিষিদ্ধ নয়।
অপর দিকে উপমহাদেশের অন্যতম আলেম হজরত আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি -এর মতে, উম্মতে মুহাম্মদির কাছে পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরী অতি পবিত্রতম। অতঃপর জেরুসালেম নগরী। কিন্তু পবিত্র মক্কা নগরীর চেয়ে পবিত্র মদিনা নগরী মর্যাদাবান। পবিত্র মদিনার চেয়ে খানায়ে কাবা মর্যাদাবান। খানায়ে খাবার চেয়ে রওজা পাক মর্যাদাবান। তার মূলে দু’জাহানের সর্দার আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবীবকে পবিত্র মদিনা তার বুকে ধারণ করে রেখেছে।
মদিনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে এমন কিছু হাদিস
হজরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : 'পবিত্র মদিনার হারাম (সম্মানিত) আইর হতে ছাওর পর্যন্ত। যে তাতে অসৎ প্রথা সৃষ্টি করবে বা অসৎ প্রথা সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দেবে তার ওপর আল্লাহর ফেরেশতারা ও মানুষ সবাই অভিশাপ। তার ফরজ বা নফল কিছুই কবুল করা হবে না।'
হজরত সাদ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : 'আমি পবিত্র মদিনার দুই প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম করছি। তার মধ্যে বৃক্ষ কাটা যাবে না এবং শিকার করা চলবে না।'
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'পবিত্র মদিনা তাদের জন্য কল্যাণকর যদি তারা বুঝত। যে ব্যক্তি অনাগ্রহে পবিত্র মদিনা ছেড়ে যাবে তার পরিবর্তে আল্লাহ তার অপেক্ষাও উত্তম ব্যক্তিকে তথায় স্থান দেবেন এবং যে এর অনটন ও দুঃখকষ্টে ধৈর্যের সাথে টিকে থাকবে কিয়ামতে আমি তার জন্য সুপারিশকারী হবো।'
হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, 'যখন লোকেরা (সাহাবা) প্রথম ফল লাভ করতেন তখন তা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে নিয়ে আসতেন। তখন তিনি তা গ্রহণ করে বলতেন, আল্লাহ আমাদের ফল-শস্যে বরকত দান করুন। আমাদের এ শহরে বরকত দিন, আমাদের পরিমাণে ও পরিমাপে বরকত দিন। হে আল্লাহ! ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আপনার বান্দা, আপনার দোস্ত ও নবী এবং আমিও আপনার বান্দা ও নবী। তিনি আপনার কাছে পবিত্র মক্কার জন্য দোয়া করেছেন আর আমিও আপনার কাছে পবিত্র মদিনার জন্য দোয়া করছি- যেরূপ দোয়া তিনি আপনার কাছে মক্কার জন্য করেছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ ছেলেকে ডাকতেন এবং তাকে ওই ফল দান করতেন।'
হজরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, 'ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম পবিত্র মক্কাকে সম্মানিত করে তাকে হারাম করেছেন। আমি পবিত্র মদিনাকে এবং এর দুই প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানকে সম্মানিত (হারাম) করলাম যথাযোগ্য সম্মানে। তাতে রক্তপাত চলবে না, যুদ্ধের জন্য অস্ত্র গ্রহণ করা যাবে না এবং পশুর খাদ্য ছাড়া তাতে কোনো গাছের পাতা কাটা যাবে না।'
হজরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন, 'রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মদিনায় আগমন করলেন। আমার পিতা আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ও মুয়াজ্জিন বেলাল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হলেন। আমি গিয়ে তাঁকে এ খবর দিলে তিনি বললেন, আল্লাহ আপনি আমাদের জন্য পবিত্র মদিনাকে প্রিয় করুন যেভাবে পবিত্র মক্কা আমাদের কাছে প্রিয় অথবা তা অপেক্ষাও অধিক। আল্লাহ তাকে আমাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর করুন, আমাদের পরিমাণ ও পরিমাপের বরকত দান করুন।'
হজরত সুফিয়ান বিন আবু জুহাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি: 'ইয়েমেন বিজিত হবে এবং তথায় পবিত্র মদিনা থেকে কতক লোক চলে যাবে এবং সাথে তাদের পরিবার ও অনুগামীদেরকেও নিয়ে যাবে। অথচ পবিত্র মদিনা হচ্ছে তাদের জন্য উত্তম যদি তারা বুঝত। এভাবে শাম বিজিত হবে এবং তথায় কিছু লোক চলে যাবে এবং তাদের পরিবার ও অনুগামীদেরকেও সাথে নিয়ে যাবে। অথচ পবিত্র মদিনা হচ্ছে তাদের জন্য উত্তম যদি তারা বুঝত। অনুরূপ ইরাক বিজিত হবে এবং তথায় একদল চলে যাবে এবং সাথে আপন পরিবার ও অনুগামীদেরও নিয়ে যাবে অথচ পবিত্র মদিনা হচ্ছে তাদের জন্য উত্তম যদি তারা বুঝত।'
হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'কিয়ামত কায়িম হবে না যে যাবৎ পবিত্র মদিনা এর মন্দ লোকদেরকে দূর করে দেবে, যেভাবে দূর করে দেয় হাপর লোহার খাদকে।'
হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'মদিনার দ্বারগুলোতে ফেরেশতারা পাহারায় আছেন সুতরাং যাতে প্রবেশ করতে পারবে না মহামারী ও দজ্জাল।'
হজরত সাদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'যে কেউ না পবিত্র মদিনাবাসীর সাথে প্রতারণা করবে সে গলে যাবে, যেভাবে লবণ পানিতে গলে যায়।'
হজরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'তিনি এই দোয়া করেছেন, আল্লাহ! পবিত্র মক্কায় আপনি যা বরকত দান করেছেন পবিত্র মদিনায় তার দ্বিগুণ বরকত দান করুন।'
তাবিঈ হজরত ইয়াহইয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'আল্লাহর জমিনে এমন কোনো স্থান নেই যাতে আমার কবর হওয়া মদিনা অপেক্ষা আমার কাছে প্রিয়তর হতে পারে।' এই কথা তিনি তিনবার বললেন।
বহু হাদিস থেকে মাত্র কয়েকটি সম্মানিত পাঠক মহলে পেশ করলাম, এগুলো শুধু পবিত্র মদিনা সম্পর্কিত হাদিস। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজা মোবারক জিয়ারত সম্পর্কে হাদিস শরিফ এখানে পেশ করা হয়নি।
প্রিয়তম রাসূলের প্রিয় শহর
পবিত্র মদিনার সাবেক নাম ইয়াসরিব। অর্থ তিরস্কার। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নগরীর নামকরণ করেন মদিনা। আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরতের পরে এই শহরের নাম হয়ে যায়, মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর।
পবিত্র মক্কা নগরী নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্মস্থান। প্রায় প্রত্যেক নবী, রাসূল তথায় এসেছেন, হজ করেছেন, দোয়া করেছেন, তবে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মক্কার প্রতি ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল বলা যাবে না। কিন্তু নানান দিক দিয়ে বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মক্কার চেয়ে পবিত্র মদিনাকে অত্যধিক ভালোবাসতেন। কাজেই তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ের পর পবিত্র মদিনায় চলে যাওয়া এবং তথায় থেকে যাওয়াকে বেছে নিয়েছিলেন। জেরুসালেমের মসজিদে আকসা পবিত্র মক্কার খানায়ে কাবার কারণে বিশেষ মর্যাদাবান। কিন্তু পবিত্র মদিনা তার চেয়ে বেশি মর্যাদাবান হওয়ার মূলে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তথায় শায়িত। মসজিদে নববীর কারণে নয়, স্বয়ং নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শায়িত হওয়ার কারণে। আল্লাহর অতি প্রিয় হাবীব যে মাটিতে শায়িত সে রওজাপাক পবিত্র মদিনা বিশ্বের বুকে বিশেষ সম্মানের অধিকারী।
মদিনায় অবস্থান করাকালীন সময়ের প্রধান দাবি
অতএব, জিয়ারতের উদ্দেশে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করাকালীন সময়ের প্রধান দাবি হলো, প্রিয়তম হাবিব তাজেদারে মদিনার স্মরনে এই পবিত্র শহরের তাজিম রক্ষায় সচেষ্ট থাকা। ইতিহাস অধ্যয়নে জানা যায়, উম্মাহর পূর্বেকার বহু আল্লাহওয়ালা নবী প্রেমিকগন পবিত্র মদিনায় বেয়াদবির ভয়ে সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা পর্যন্ত করা থেকে বিরত থেকেছেন। ইতিহাসের পাতায় পাতায় এমনসব সত্য তথ্যাদি ভরপুর যে, আল্লাহওয়ালা নবী প্রেমিক মুখলিস বান্দাগন পবিত্র এই শহরে জুতা পর্যন্ত পরিধান করেননি। খালি পায়ে অবস্থান করেছেন এখানে। অনেকের ব্যাপারে এরকমও জানা যায়, তারা হামাগুড়ি দিয়ে পবিত্র মদিনায় প্রবেশ করেছেন। এ ছিল স্রেফ প্রিয় নবীজীর শহরের তাজিম বা আদব রক্ষার অন্যরকম প্রচেষ্টা। না জানি কোনো বেয়াদবি হয়ে যায় - এই ভয়ে তারা ছিলেন সদা তটস্ত। একালে, এই সময়ে এসে আমরা পবিত্র মদিনায় গমন করে প্রিয় নবীজীর প্রিয় এই শহরের কতটুকু তাজিম বা সম্মান রক্ষা করতে পারছি, ভাবতেও কি গা শিউরে ওঠে না! আমাদের ভাবনায় কি পবিত্র এই নগরীর প্রতি, প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শহর মদিনাতুল মুনাওওয়ারাহর প্রতি সেই তাজিম, সেই সম্মান, সেই আজমতের উপস্থিতি আদৌ আছে? আজ আমরা কতটাই না নির্ভীক! কত লোককেই তো দেখা যায়, যিয়ারতে মদিনা যেন তাদের কাছে নিছক এক ভ্রমন পিয়াসী মনের ইচ্ছের বাস্তবায়ন! নিজের মত করে হাসি তামাশা আনন্দ ফুর্তিতে কেটে যায় মদিনাতুত ত্বয়্যিবাহর অমূল্য সময়গুলো! আহ! আফসোস! পরিতাপ! এই সফরের মাধ্যমে কতজন কত কি অর্জন করে নিয়ে আসেন, অাবার কতজন হারিয়ে আসেন তার সঞ্চয়ে থাকা পুন্যটুকুও! সচক্ষে কতজনকে দেখেছি, সামান্যতেই চটে যান, এজেন্সীর ছোটখাটো অব্যবস্থাপনাতেই ক্ষেপে যান, দোকান মার্কেটে ইচ্ছেমত ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দেন জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়ের স্রোতটুকুকে। তারা ভুলেই যান হয়তো, এই মুহূর্তে তারা অবস্থান করছেন মদিনাতুল মুনাওওয়ারায়। তাদের স্মরনেই থাকে না, কতবড় অর্জনের সময়গুলো হেলায় হারাচ্ছেন তারা। আহ! একটু অসাবধানতাই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সফরে! তাই সফরে মদিনার প্রতিটি মুহূর্তই হওয়া চাই সর্বোচ্চ সতর্কতায় আকীর্ন। চোখ কান খোলা রেখে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে সচেষ্ট হতে হবে প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়েরও।
সত্যিকারের আশেকে রাসূল কোথায়?
আজ কথায় কথায় আমরা আশেকে রাসূল, নবী প্রেমিক, রাসূল প্রেমিক দাবি করি, সত্যিকারের রাসূলের প্রেম কি আমাদের ভেতরে রয়েছে? না কি তা যোজন যোজন দূরেই রয়ে গেছে আমাদের থেকে?
প্রিয় বন্ধু, আজ যখন সুন্নাত নিয়ে কথা ওঠে আমরা সমাজের দোহাই দিই। সোসাইটির কথা বলি। সামাজিকতার স্ট্যাটাস তুলে ধরি। বয়স, সময় এবং প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতার দোহাই দিই। আধুনিকতার ছদ্মাবরনে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠি। কোথায় যায়, তখন আমাদের রাসূল প্রেম? সমাজে-সংসারে অহরহ সুন্নাতের খেলাপ আচার-আচরন, কাজ-কারবার করে আমরা রাসূলের মহব্বতের দাবি করি। এ কি নিছক আত্মপ্রবঞ্চনা নয়?
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে পবিত্র মদিনার যথাযথ তাজিম রক্ষা করার তাওফিক এনায়েত করুন। প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজার কিনারে দাঁড়িয়ে বিনম্র বিনয়াবনত চিত্তে হৃদয়ে জমিয়ে রাখা সবটুকু মুহাব্বাত উজাড় করে সালাম জানানোর তাওফিক দান করুন সারওয়ারে কায়েনাত, শাফিউল উমাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে।
পেছনের পর্বগুলো-
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২০