পোস্টের পেছনের কথা
'The Generosity of the Prophet Muhammad Peace Be Upon Him' শিরোনামে ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ যে পোস্টটি দিয়েছিলাম আজকের এই পোস্ট মূলত: সেই পোস্টটিরই অনুবাদ। তবে, মূল অনুবাদের সাথে এই পোস্টে গুরুত্বপূন আরও কিছু তথ্যাদি সংযোজন করায় পোস্টটি আশা করি আরও বেশি সৌন্দর্য্যমন্ডিত হয়েছে। সামুর বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রিয় কবি বিদ্রোহী ভৃগু ভাই অলরেডি অনুবাদ শুরু করে দিয়েছিলেন পোস্টটির। যাক, তাকে আর সে কষ্টটি হয়তো করতে হবে না। তবে তার হাতে অনুদিত হলে আরও ভাল মানের কিছু বাংলা শব্দের গাঁথুনিতে মজবুত ভিত পেতে পারতো নিবন্ধটি। প্রেরনাদানের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সামহোয়্যার ইন ব্লগে সাধারনত: সকল শ্রেনির লেখক পাঠকের সম্মিলন ঘটে। কেউ কেউ হয়তো ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ায় তারা পোস্টটি পড়েছেন কিংবা পাঠান্তে তাদের মূল্যবান মূল্যায়ন রেখেে গেছেন। অন্যদিকে ইংরেজিতে দেয়া সেই পোস্টটি অনেকের নিকট সহজবোধ্য না হওয়ায় কিছুটা খারাপও লেগেছে। আর সেকারনেই আজকের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তবে এটি লিখতে গিয়েও এক পর্বে আর শেষ করা গেল না। তবে আশা করি, প্রিয় এই পোস্ট ইনশাআল্লাহ ২ পর্বে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।
সানা এবং দরুদ
আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসীরান তইয়্যিবামমুবা-রকান ফী-হ। অসসলাতু অসসালামু আলা সাইয়্যিদিল আমবিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীন। ওআ'লা আলিহী ওআসহাবিহী আজমায়ীন।
প্রাককথন
কোন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা না করে মুক্তভাবে কিছু দেয়াকে বলে মহানুভবতা। সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন এই মহানুভবতার উৎকৃষ্ট উদাহরন। দানশীল ব্যক্তিরা কোন পুরস্কার প্রত্যাশা করে দান করে থাকেন, হোক তা সম্মান, ভালবাসা, উচ্চ প্রশংসা অথবা প্রভূত্ব; কিন্তু রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম কোন কিছুই প্রত্যাশা করেননি। তাঁর বিনয়ী আচরন এমন ছিল যে, তাঁর নিকট থেকে যখন কেউ কিছু নিত তখন তাদের মনে হত তারা নবীজীকে কোন অনুগ্রহ করছেন মাত্র, কিন্তু এর বিপরীত কিছু নয়। তাঁর সুমহান অতুলনীয় চারিত্রিক সুসমা অনুপম উপস্থাপনায় স্বয়ং কুরআনে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এভাবে দিয়েছেন-
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
“আর নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত।”
অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ . (الأنبياء : 107)
“আমি তো আপনাকে সৃষ্টিকুলের প্রতি শুধু রহমত তথা দয়া রূপেই প্রেরণ করেছি।” সূরাহ আল আমবিয়া, আয়াত-১০৭
কুরআনে কারীমের আরেক আয়াতে প্রিয়তম হাবিব রাসূলে মাকবূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্রের অতুলনীয় দয়া, বিনয় ও নম্রতার বিষয়ে আল্লাহ জাল্লা শানুহুর ঘোষনা
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللّهِ لِنتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لاَنفَضُّواْ مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الأَمْرِ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللّهِ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
''আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন।'' সূরাহ আল ইমরান, আয়াত-১৫৯
সংক্ষেপে বলা যায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রাসূলকে উত্তম চরিত্রের সর্বোচ্চ চূড়ায় অধিষ্ঠিত করেছেন। সকল দিক থেকে তাকে করেছেন শ্রেষ্ঠ। তার নান্দনিক চরিত্রমাধুরি দেখে কত মানুষ যে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে তা গণনা করে শেষ করা যাবে না। সুন্দর চরিত্রের এমন কোন দিক নেই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যক্তিত্বে পূর্ণতা পায়নি। পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র ও অদ্বিতীয় ব্যক্তি যাকে ঘিরে সুশোভিত হয়েছে সকল প্রকার নান্দনিক গুণাবলি। দান, বদান্যতা, ভদ্রতা, ক্ষমা, মহানুভবতা, ধৈর্য, সহনশীলতা, নম্রতা, সবর, বন্ধুত্বসুলভ আচরণ, বিনয়, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া-করুণা, অনুগ্রহ, সাহসিকতা, বীরত্বসহ সকল দিক থেকে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণতার অনন্য দৃষ্টান্ত।
জনৈক কবির ভাষায়-
'লা ইউমকিনুস সানাউ কামা কানা হাক্কুহু
বা'দাজ খোদা বুজুর্গী তুই কিচ্ছা মুখতাছার।'
বাংলায় কাব্যানুবাদ-
আপনার প্রশংসা করে সাধ্য আছে কার?
যেমনটি আপনি হে রয়েছেন মহান।
সংক্ষেপে শুধু একথাই বলা যায়- 'নবী হে,
বিশ্বপতির পরেই আপনার সম্মান!'
নবুয়তপূর্ব জীবনে তাঁর উদারতা
নবুয়ত পূর্ব জীবনেও জন্য হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহানুভবতার প্রতীক ছিলেন। সর্বপ্রথম প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দ্রুত ঘরে ফিরে যখন হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহাকে তার জীবনের প্রতি আশঙকা ব্যক্ত করলেন, তখন তিনি নবীজীকে সান্তনা দিয়ে বললেন, ‘আল্লাহ কখন ও আপনাকে লাঞ্চিত করবেন না, কেননা আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, আপনি আপনার কথায় সত্যবাদী, অভাবীদের সাহায্য করেন, দুর্বলদের আ শ্রয় প্রদান করেন, সাহায্যপ্রার্থীদের সাহায্য করেন, মেহমানের মর্যাদা রক্ষা করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তদের ডাকে সাড়া দেন’।
যারা তাঁর নিকট কোন কিছু আশা করতেন না এরকম শত্রুদের প্রতিও তাঁর উদারতা ছিল সমভাবে বিদ্যমান। তিনি মানুষদের শুধুমাত্র প্রতিদান হিসেবে মহানুভবতা প্রদর্শন করতেন এতটুকুই নয়, বরং তাঁর উদারতা ও মহানুভবতা রূঢ় আচরনকারী, কর্কশ এবং কটু স্বভাবের সকলের প্রতি অবারিত ছিল।
বলার অপেক্ষা রাখে না, তায়েফবাসী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে এবং প্রস্তরাঘাতে যখন তাঁর ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরছিল তখনকার দৃষ্টান্ত সমধিক প্রনিধানযোগ্য। আহত অবস্থায় তায়েফের পথে ফেরেশতা জিবরাইল আলাইহিস সালাম আগমন করলেন এবং বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ, আপনার প্রতি লোকদের প্রতিক্রিয়া আপনার প্রতিপালক দেখেছেন, তারা আপনাকে যা বলেছে তাও তিনি সম্যক অবগত, সুতরাং তিনি আমাকে পাহাড় রক্ষাকারী ফেরেশতাদের নিয়ে পাঠিয়েছেন আপনার মতামত জানার জন্য। হে মুহাম্মাদ, আপনি যদি চান, আমাকে আদেশ করুন, আমি তায়েফের দুই পাহাড়কে একত্রিত করে তাদের ধ্বংস করে দেব।’
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষতস্থান থেকে তখনও রক্ত ঝড়ছে এবং তখনও তাঁর জুতা রক্তে রঞ্জিত। তিনি বললেন, ‘না! বরং, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি হয়তো তাদের সন্তান-সন্তুতিদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে তাদের মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিবেন এবং একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করার সুযোগ দিবেন। এমনকি তারা যদি ইসলাম প্রত্যাখ্যান করে, তবু আমি আল্লাহর নিকট তাদের বংশধরদের মুসলিম হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি।’
তিনি দোআ করতে থাকলেন, اللهم اغفر لقومي فإنهم لا يعلمون
অর্থ- ‘হে আল্লাহ, আমার জাতিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ তারা জানে না।’
শত্রুদের প্রতি তাঁর মহানুভবতা
একইভাবে মক্কা বিজয়ের পরে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদের জিজ্ঞেস করলেন যে, তারা তাঁর নিকট থেকে কী ধরনের আচরন প্রত্যাশা করে। কুরাইশগন জানতো তারা মুসলিমদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে, তাদের স্ব-ভূমি থেকে বহিষ্কার করেছে এবং অত:পর তাদের সাথে একের পর এক ধারাবাহিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে - যার ফলাফল তাদের জন্য কঠোর শাস্তি অবধারিত। কুরাইশগন জানতো, কেবলমাত্র মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহানুভবতাই তাদের জীবন রক্ষা করতে পারে। তারা তাৎক্ষনিকভাবে জানালো যে, তারা তাঁর সদাচারন এবং মহানুভবতা ব্যতিত আর কিছুই প্রত্যাশা করে না এবং তিনি হয়তো তাদের সাথে দয়ার আচরনই করবেন, কেননা তিনি ছিলেন, ‘একজন মহানুভব ভাইয়ের মহানুভব সন্তান।’
একইভাবে মক্কা বিজয়ের পরে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দয়া এবং মহানুভবতার অপূর্ব এবং অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তাঁর জীবন বিপন্নকারী স্বজাতির প্রতি সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে। তিনি অবলীলায় ব্যক্ত করেন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে' গুরুত্ববহ, সবচে' আশ্চর্যজনক ক্ষমার এ ঘোষনাপত্র, ‘আমি তোমাদের সে কথাই বলছি যা ইউসুফ আলাইহিসসালাম তাঁর ভাইদের বলেছিলেন,’। আর এ প্রসঙ্গে তিনি ইউসুফ আলাইহিসসালামের ঘটনা বর্নিত কুরআনের এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: قَالَ لاَ تَثْرَيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
যার অর্থ- ‘আজ তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন; এবং তিনি সকল ক্ষমাশীলদের ক্ষমাশীল।’ [১২:৯২] তখন তিনি ঘোষনা করলেন, ‘যেখানে খুশি চলে যাও, তোমরা আজ মুক্ত।’
তাঁর মহানুভবতার ধরন
প্রাচুর্য্য প্রাপ্তির পরে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন । তিনি কখনও তাঁর দরজা থেকে কোন সাহায্যপ্রার্থীকে শুন্য-হাতে ফেরত দেননি এবং সর্বদা অন্যদের তাঁর নিজের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতেন। এমনকি তিনি নিজে অভাবগ্রস্ত থাকা অবস্থায়ও দান করতেন। নিচের ঘটনাটি এর একটি অত্যুজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।
একদা দরিদ্র এক আরব বেদুইন নবীজীর কাছে এল এবং তাঁর নিকট কিছু সাহায্য প্রার্থনা করল। যদিও ঐ দিন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট খাদ্য কিংবা অর্থ কোনটাই ছিল না। তিনি বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে তোমাকে দেয়ার মত কিছুই নেই। যাও, তোমার যা প্রয়োজন তা আমার নামে বাকিতে ক্রয় করে নাও এবং আমি ঋন পরিশোধ করে দেব’। লোকটি আনন্দিত চিত্তে চলে গেল।
নবীজীর নিকটে উপস্থিত সাহাবীগন তাঁর বদান্যতার এ অত্যুচ্চ অবস্থা দর্শনে আশ্চর্য হলেন। তাদের ভেতর থেকে একজন দাড়ালেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এই ব্যক্তি ইতিপূর্বে দুই বা তিন বার এসেছে; সে আপনার নিকট কিছু প্রার্থনা করেছে এবং আপনি প্রতিবারই তাকে তা দিয়েছেন। এখন আপনার কাছে দেয়ার মত কিছু নেই। আল্লাহ পাক কারও প্রতি তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেন না!’
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা পছন্দ করলেন না। আরেক সাহাবী দাঁড়ালেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যত চান দান করুন! এই ভয় আপনি করবেন না যে, রাজাধিরাজ মহান আল্লাহ আপনাকে অভাবে নিপতিত করবেন!’
মৃদু একটি হাসির রেখা তাঁর পবিত্র চেহারায় ঝিলিক তুলল এবং তিনি বললেন, ‘এর জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি।’
হুনাইন যুদ্ধ পরবর্তী আরেকটি ঘটনা, এক বেদুইন আল্লাহর রাসূলের চাদর ধরে এমনভাবে সজোরে হেঁচকা টান দেয় যে, তাঁর কাঁধ মোবারক চাদরের শক্ত প্রান্তের টানে ছিলে যায়। বেদুইন তখন বলে, ‘মোহাম্মাদ! আপনার কাছে রক্ষিত আল্লাহ তাআ’লার মাল থেকে আমাকে কিছু দান করার নির্দেশ দিন।’ এমতাবস্থায়ও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিক তাকিয়ে হাসলেন এবং তাকে কিছু দেয়ার জন্য আমাকে বললেন।
মুনাফিকদের প্রতি তাঁর মহানুভবতা
মুনাফিকগন ছিল রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুসলিমদের জন্য সবচে’ মারাত্মক হুমকি। প্রকাশ্যে যদিও তারা ইসলাম গ্রহন করেছে বলতো, কিন্তু গোপনে আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সাহাবীদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ, উপহাস কোন কিছু করতেই পিছপা হত না।
আল্লাহ পাক তাদের বর্ননা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে দিয়েছেন। মুনাফিকদের সর্দার ছিল আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিন সালূল, যে নিজেকে ইসলাম এবং মুসলিমদের ক্ষতিসাধনের জন্য নিয়োজিত করেছিল। শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত তার জীবনের প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে করেছে। এসব কিছুকে উপেক্ষা করে আল্লাহর রসূল তার প্রতি কোমল ও সদয় ছিলেন এবং তার প্রতি এই আশায় মহত আচরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন যাতে সে কোমল হয় এবং ইসলাম গ্রহন করে।
ধৈর্য্য নিয়ে পাঠ করার জন্য মোবারকবাদ। শুভকামনা সকলের জন্য। অাল্লাহ পাক জগতের সকল প্রানীর প্রতি তাঁর রহমত, বরকত এবং দয়াকে অবারিত করে দিন।
প্রশংসা মহামহিয়ান প্রিয়তম মালিকের প্রতি। দরুদ ও সালাম শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুল কাওনাইন ওয়াসসাকালাইন প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। শুরু এবং শেষে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৯