بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
আস সালামু আলাইকুম!
বাতিল ফিরক্বার লোকজন সব সময় সাধারণের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে থাকে এবং "ঘোলা পানিতে মাছ শিকার" করে থাকে। সেজন্য আমাদের উচিত নিজের দ্বীনকে ভালো ভাবে জানা। আপনি যদি জানেন সত্য কোনটা, তাহলে আপনাকে মিথ্যা দিয়ে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত আগের পোস্টগুলোর ধারাবাহিকতায় আসুন আমরা কুর'আন সম্বন্ধে একটু details জানি। ব্যাপারটাকে বলা হয় "কুর'আনিক সাইন্স" বা 'Uloomul Qur'an। ইংরেজীতে, চাইলেই, হাতের কাছে 'Uloomul Qur'an-এর ৩টি বই পাবেন - Yasir Qathi, Ahmad Von Denfer এবং Dr. Hasanuddin Ahmed লেখা। আমরা এর একটির রেফারেন্স দেবো ইনশা'আল্লাহ্, যেটির লিংক আপনাদের দেয়া যাবে, যাতে আপনারা চাইলে সরাসরি দেখতে পারেন।
কুর'আনে আল্লাহ্ নিজেকে "আল্লাহ্" ছাড়াও, "আর রহমান", "আর রহীম",
"আল মালিক", "আস সামাদ" ইত্যাদি অপূর্ব সুন্দর সব নাম ও গুণাবলীতে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর অর্থ কি এই যে "আর রহমান" বললে আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে বোঝায়? কোন নাম সর্বস্ব মুসলিমও, উন্মাদ না হলে যেমন এহেন সম্ভাবনার কথা বলবে না - তেমনি কুর'আন নিয়ে সামান্য পড়াশোনা করা কোন কাফির মুশরিকও এধরনের কথা বলবে না। বরং আমি দেখেছি আল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে বিধর্মীদের মাঝেও একধরনের বিস্ময় মিশ্রিত সমীহ ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে [উদাহরণ স্বরূপ The Prophet Muhammad বইয়ের লেখক Barnaby Rogerson আল্লাহর নামগুলোতে এতই অভিভূত হয়েছেন যে, রাসূল(সা.)-এঁর জীবনীর বইয়ের শেষে, কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই তিনি আল্লাহর ৯৯ নামের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে একটা অধ্যায় সংযোজন করেছেন। ]
একইভাবে আল্লাহর কালাম বা speech কুর'আনকে, আল্লাহ্ নিজে কুর'আনে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছেন যার সংখ্যা ৫৫টির কম নয়। এগুলোর কয়েকটি হচ্ছে:
# আল ফুরক্বান (২৫:১ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল যিকির (১৫:৯ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল তানযিল (২৬:১৯২ আয়তে উল্লিখিত)
# আল মাজিদ (৫০:১ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল কারিম (৮০:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল হাকিম (৩১:২ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল কিতাব (২১:১০ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল কিতাব মুবিন (৫:১৫ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল কিতাব মুবারাকা (৬:১৫৫ আয়াতে উল্লিখিত)
# আল ক্বাউল ফায়সাল (৮৬:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)
"কুর'আন" ছাড়া বাকী নামগুলো কুর'আনের সিফাত বা গুণ ব্যক্ত করে - ঠিক যেমন "আল্লাহ্" ছাড়া বাকী নামগুলো আল্লাহর গুণ ব্যক্ত করে। কুর'আনে অন্তত ১৪০ স্থানে কুর'আনকে ঐ সব গুণবাচক নাম দিয়ে উল্লেখে করা হয়েছে। আমার গোটা জীবনে আমি কোথাও কাউকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখিনি যে, উপরোক্ত আয়াতগুলোতে "আল ফুরক্বান" বা "আল যিকির" বলতে কুর'আন ছাড়া অন্য কিছু বোঝানো হয়েছে।
এসবই আপনাদের জানা উচিত। কারণ এই ব্লগে একজন "বাঙ্গালী শিয়া" [মেঘে মেঘে কত বেলা হয়ে গিয়েছে যে, আমরা এখন "বাঙ্গালী শিয়াদের" মুখোমুখি হচ্ছি] তথা শিয়া-doctrine-এর প্রচারক এই বলে পানি ঘোলা করতে চেয়েছেন যে, ১৫:৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তো যিকিরের কথা বলেছেন, কুর'আনের কথা বলেন নি - আর এই বলে তিনি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে, কুর'আন পরিবর্তন করা যেতে পারে (নাউযুবিল্লাহ্)। এধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা "যিন্দিক"দের কাজ - যারা মুসলিম সেজে ভিতর থেকে ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে আত্মনিয়োগ করে - পরস্পর বিরোধী যুক্তি দিয়ে যারা মানুষকে confused করে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হালকা বা অর্থহীন করে তোলে, সাহিত্যের ভাষায় যেটাকে বলা হয় deconstruction! আল্লাহ্ আমাদেরকে ঈমান সহকারে মৃত্যুবরণের তৌফিক্ব দান করুন। আমীন!
বিস্তারিত ও সরাসরি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন:
Click This Link
ফি আমানিল্লাহ্!
muslim55.swib@gmail.com