অল্প কথায় শেষ করতে চাই। মা দিবস আবার কি? বলতে পারেন বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে কোন দিনটা মা দিবস না? ফেসবুকে দেখলাম স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি। আজব তো! কোন একটা দিনকে দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় সাধারণত কোন একটা বিষয় কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, কিংবা তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য; জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। তাহলে মায়ের জন্য একটা দিবসের অর্থ কি দাঁড়ায় না যে মায়ের গুরুত্ব আমাদের জীবনে কমে গেছে?! এটা কি মায়ের অপমান নয়? যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে, দুই বছর স্তন্য দান করে, আপনার জন্মের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কেবল আপনার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন আর তার মৃত্যু পর্যন্ত তাই করে যাবেন, যে মায়ের পায়ের তলে আছে জান্নাত, তাঁকে সম্মান দেখানোর জন্য আপনি বছরে কেবল একটা দিন ধার্য করলেন! কেন? শৈশবে মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজন ছিল এখন আর নেই বলে!, এখন আর আপনার সোজা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য কোন হাতের সাহায্যের প্রয়োজন নেই বলে!, নাকি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখের জীবনে মায়ের আর কোন প্রয়োজন নেই বলে!? বৃদ্ধা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবেন আর বছরে একটা দিন তাকে স্মরণ করার একটু আদিখ্যেতা দেখাবেন তাও আবার ফেসবুক কিংবা ব্লগের মত ডিজিটাল মিডিয়ায়!? সবকিছু কি এতই সহজ? তাহলে কেন এখনো কোথাও আঘাত পেলে 'মাগো' বলে চিৎকার করে ওঠেন? আরে কখনো কি আপনার হৃৎস্পন্দন শুনতে পেয়েছেন? আপনার মা সেখানেও আপনাকে আগলে রেখেছেন। পারবেন কি সেই হৃৎস্পন্দনের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করতে? গাছ কি বছরের একটা দিন শেকড়কে প্রয়োজনের স্বীকৃতি একটু বেশি দেয় আর অন্যান্য দিন একটু কম দেয়? নাকি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে? মা কি আমাদের সেই শেকড় নন? কখনো কি সেই মায়ের অবদানকে মূল্যায়ন করা সম্ভব? আরে ভাই, বছরে ৩৬৫ দিন ই তো মা দিবস। আধুনিকতাবাদ ভাল, তাই বলে অতি-আধুনিকতার নামে পশ্চিমাদের অন্ধ-অনুকরণ ভাল নয়। মা দিবস পশ্চিমাদের মত মেকি সভ্যতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু আমাদের মত মানবীয় সভ্যতায় কি মা দিবস মানায়? এভাবেই আমরা ক্রমাগত আমাদের শেকড় থেকে ছিটকে পড়ছি। মনে করে দেখুন তো আমরা দোয়া করার সময় কি বলি, 'রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা' -"হে প্রভু আপনি আমাদের মা বাবাকে সেই ভাবে দেখাশুনা করুন যেভাবে তাঁরা শৈশবে আমাদের দেখাশুনা করেছেন।" আর আপনি কি না তা করতে চান মাত্র এক দিনে? এটা আর কিছু নয় মা কে অপমান করা ছাড়া। ভাই তাই আসুন আমরা এসব আদিখ্যেতা-মার্কা মেকি মা দিবস বর্জন করে আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন কে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করি এবং সেটা লোক দেখানোর জন্য নয়; বরং আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে। মায়ের পাশে থাকার চেষ্টা করি বছরের সব কটা দিন; শারীরিক উপস্থিতির দ্বারা না হোক অন্তরের নিখাদ ভালবাসার দ্বারা; আপোষহীন দায়িত্ববোধের দ্বারা । তাঁর ঋণ কখনোও শেষ হবার নয় জানি, কিন্তু অন্তত তাঁর মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি।
মা দিবস বর্জন করুন।


মুহাম্মদ ইউনূসকে একঘরে করে দিন
জুলাই ষড়যন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। গত বছরের জুলাইয়ের মেটিকুলাস ডিজাইনড প্ল্যানে দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটার অপমৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে। দখলদার ইউনূস সরকার প্রবল চাপে পড়েছে। এখন তাদের সব কূল... ...বাকিটুকু পড়ুন
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : ড. ইউনূসের মনে কেন এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে ?
দৈনিক সমকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বরাতে আমরা জানতে পারি —প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই—নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এক গভীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার নাই
একটা পোস্ট দেখে লেখার সাধ জাগলো। যা নিয়ে লিখবো তা আমার নেই।
আমার দাদা-দাদি, নানা-নানি কেউ নেই। বাবা মা যখন ছোট ছিলেন তখনই তারা পরপারে উড়াল দিয়েছেন। বাবার বয়স যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনৈতিক সংকটে বিএনপি খেলছে পিছনে থেকে, কিনতু কেন?
রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীলতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এখনও ক্ষমতায় থাকত। রাজনীতি গড়ে উঠে গণমানুষের পারসেপসনের উপর ভিত্তি করে। প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠকের পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি ই সঠিক
কিছু মানুষ পুরোপুরি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে বাঁচে। তারা বারবার যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় যে, তাদের কথাই একমাত্র সত্য। এই প্রক্রিয়াটি এক ধরনের লজিক্যাল ফ্যালাসি বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন