কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে শাহবাগ
ব্লগারদের উদ্যোগে শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হলেও তা কার্যত রাজনৈতিকরণ হয়ে গেছে। মহা সমাবেশের মঞ্চ এখন একটি রাজনৈতিক দলের সাংস্কৃতিক কর্মেিদর দখলে চলে গেছে। এতে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তারা চান অরাজনৈতিক ভাগে গড়ে উঠা ব্লগারদের আন্দোলন ব্লগারদের নিয়ন্ত্রণেই থাকুক।
বিকাল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে দু’টি ট্রাকে তৈরি মূলমঞ্চ থেকে চরমপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মহা সমাবেশ। চরমপত্র পড়ে শোনান ব্লগার শহীদুল ইসলাম রাজু। এরপর সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি। অঞ্জণ রায় সমাবেশের সঞ্চালকের দায়িত্বে থাকলেও পরে তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন নাছির উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। আর মঞ্চে দাড়িয়েও অনেকে দলীয় শ্লোগান দিয়েছেন। অথচ সমাবেশ এলাকা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ছাড়া অন্য সব সাংগঠনিক ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়। এই জমায়েতকে একটি ‘অরাজনৈতিক’ রূপ দিতেই এটা করা হয়। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন তাহলে দলীয় শ্লোগান কেন?
আমার কথা একটাই আমি কোন রাজনীতি করি তা ব্ষিয় না। এই আন্দোলনকে দলীয়করণ করা চলবে না। দলের কথা মনে রেখে সাধারণ হয়ে আন্দোলনে যোগ দিন।
সকাল থেকে রাজধানী এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকঢোল নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল আর বিভিন্ন বাহনে করে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হতে থাকেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। বেলা ১টা নাগাদ জমায়েতের চৌহদ্দী কাঁটাবন থেকে শিশুপার্ক, বিএসএমএমইউ থেকে চারুকলা অনুষদ ছাড়িয়ে যায়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের অংশগ্রহণ, শ্লোগানের কণ্ঠ। সকালে বিক্ষোভের মুলমঞ্চ থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা আসে।
ঘোষণায় বলা হয়, “শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে জামায়াত শিবির মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে। বন্ধুরা আজ জামায়াত-শিবির মিছিল করলে আমরা তাদের গণধোলাই দেব।” এ সময় সমাবেশের সমর্থন চাওয়া হলে সবাই সমস্বরে ‘গণধোলাই, গণধোলাই’ বলে চিৎকার করে ওঠে।
এর কিছুক্ষণ পরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় শহীদ মিনারে প্রতিবাদী মানুষের অবস্থান কর্মসূচির কথা জানানো হয়। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা।
রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসা মানুষের হাতে দেখা যায় ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। অনেকে এসেছেন জাতীয় পতাকা নিয়ে।
মুক্তিযোদ্ধারা আসেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের লাল পতাকা নিয়ে। প্রতিটি মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করলে আশপাশের সহযোদ্ধারা তাদের তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।
ছুটির দিনে অনেকেই শাহবাগে এই সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে।
তারুণ্যের প্রতিবাদ কি ব্লগারদের হাতছাড়া হয়ে গেছে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪২টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কাঁঠালের আমসত্ত্ব
কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে
এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে । ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন