দীর্ঘদিন পরীক্ষার দরুন ব্যাস্ত ছিলাম তাই ব্লগে নিয়মিত হতে পারি নি। এখনও পরীক্ষা চলছে তবে আজকে একটু সময় পেয়েছিলাম তাই কল্পনার আঁচড় কাটতে বসে গেলাম আমার এই কল্পনার জগতে।
চলুন একটু স্বর্গীয় অনুভূতির ঘ্রাণ নিয়ে আসি। এই অনুভূতি পেতে চাইলে আপনাকে কল্পনার জগতে সামান্য সময়ের জন্য ডুব দিতে হবে। দু'টি ঘটনা আলোকপাত করব এবং ঘটনা দু'টির শেষে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিবেন আসলেই এগুলো স্বর্গীয় অনুভূতি কিনা?
ঘটনা ১
রাত তিনটা বাজে। হঠাৎ বুকের বা অংশে চিনচিন করে একটা ব্যাথা অনুভুত হল আপনার। ডান হাতটা বাড়িয়ে যখনই বুকের বামপাশে রাখতে গেলেন তখনই আপনাকে থমকে যেতে হল। আপনার বুকের উপর একরাশ ঘন কালো চুল ছড়িয়ে আছে। সেই চুলের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আপনার প্রিয়তমার নিষ্পাপ মায়াবী মুখটা। আপনি তার চুলগুলো আলতো করে সরিয়ে অপলক নয়নে তার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হবেন। বুকের বামপাশে আপনার প্রিয়তমার মাথা থাকার কারনে যে চিনচিনে ব্যাথা অনুভুত হচ্ছিল তা আপনি আজীবন সহ্য করতে পারবেন এই মুহূর্তের নিষ্পাপ মুখটি দেখার জন্য। তাই নয় কি?
ঘটনা ২
মধ্যরাতে খুব সন্তর্পণে তাহাজ্জুদ পড়বেন বলে ঘুম থেকে উঠেছেন। পা টিপে টিপে ও'যু করতে বাথরুমে প্রবেশ করলেন। এত গোপনীয়তার উদ্দেশ্য নিজের প্রিয়তমাকে চমকে দেওয়া এবং সাথে পরাজিত করা। কারণ আপনার প্রিয়তমা প্রতিদিন আপনার আগে তাহাজ্জুদ পড়তে উঠে এবং আপনাকে ওঠায়। তাই এবার নিজে আগে উঠে নিজ প্রিয়তমাকে পরাজিত করার ইচ্ছা জেগেছে। সব কিছু ঠিকঠাকই প্ল্যানমত হচ্ছিল কিন্তু শোবার ঘরে এসে দেখলেন আপনার প্রিয়তমা বিছানায় নেই। খুঁজতে লাগলেন অন্যান্য রুমে। ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখতে পেলেন আপাদ মস্তক ওড়না দিয়ে মোড়ানো আপনার প্রিয়তমা সলাত আদায় করছে এবং শেষ বৈঠকে আছে। প্রিয়তমার নিকট পরাজিত হয়েও আপনাকে থমকে যেতে হল সলাতরত অবস্থায় আপনার অর্ধাঙ্গিনীর নিষ্পাপ মায়াবী মুখটি দেখে। আপাদমস্তক মোড়ানো এই রমনীর সলাতরত অবস্থার শুধুমাত্র মুখটা দেখে কি আপনার সারাজীবন এইভাবে পরাজিত হতে ইচ্ছা করবে না?
বাস্তবতা হয়তোবা এরচেয়ে মধুর হয়। কিংবা কেউ কেউ পরীক্ষায় পড়েন, কঠোর একটা সংগ্রামী জীবনের। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে অনেক কষ্টের মাঝেও এই স্বর্গীয় সুখগুলো থেকে আল্লাহ কখনও বঞ্চিত করেন না। তাই অনুরোধ যাদের সামর্থ্য আছে দ্রুত এই অনুভূতিগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার ব্যবস্থা করুন। কি খাওয়াবেন নিজের প্রিয়তমাকে, নিজেই এখনও ব্যাংক ব্যালেন্স করা হল না এইসব চিন্তা কেন করছেন? এটাতো দেখবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা।
বিঃদ্রঃ- সবগুলো ছবি গুগলকৃত।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫০