somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী! অনেকে ঘুরিয়ে কিয়ামত না বোলে- অন্যভাবে বলে। বলে ধ্বংস হবে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিকরা এ বিষয়ে সহসা মুখে কিছু কয় না। না কয়- না কউক। কথা তুললে বলে, কিয়ামত-টিয়ামত মানিনা। না মানে- না মানুক। তবে মনে মনে ভাবতে ভাবতে অনেক সময় উত্তেজনার চোটে প্রকাশ করে ফেলে। কিয়ামত না বলে- অন্যভাবে বলে। বলে ধ্বংস হবে। কি আর করবে- বিজ্ঞানও তো তাই বলে! যাক, তাও তো এই পর্যন্ত উন্নতি হয়েছে। তাদেরই একজন, গায়ে পড়ে পিছে লাগলে- আমি কি করতে পারি? ওরা সব সময় এমনই করে। নিজেরা সন্ত্রাস শুরু করে- তারপর কিছু বললে আমাদের সন্ত্রাসী বলে গালি দেয়। আমি নাম কইতে চাইনা। নিচের লিংকটা দেখলেই হাতে নাতে প্রমান পাবেন।
Click This Link
আমার পোষ্ট নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে অনেক কথা বলেছে। আমার পোষ্টগুলোর লিংক দিলাম। ধারাবাহিকভাবে পড়লে যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝবেন।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
কথায় বলেনা- "অতি চালাকের গলায় দড়ি"- সময়েই সব বুঝবে ক্ষণ। আরও অনেক কথা আছে- আজ নয়, অন্যদিন বলব। আল্লাহতায়ালা যখন আমাদেরকে এবং ওদেরকেই শুধু নয়, সবাইকেই সময় দিচ্ছেন। তাই আমিও কিছু সময় দিলাম। এক্কেবারে পাহাড়ের চুড়ায় উঠুক- নিজেই মাথা ঘুরে- ধপ্পাস।

বিষয়টা আল-কোরআন অনেক আগেই আমাদেরকে কনফার্ম করেছে। যেমন করেই হোক না কেন- মহাপ্রলয় যে হবেই, তা বিশ্বাসী মাত্রই একবাক্যে স্বীকার করে।

কিন্তু মহাবিশ্বের ধ্বংস হবে কি হবে না তা নিয়ে অবিশ্বাসীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং অবিশ্বাসের ঘোরে তারা এ ব্যাপারে সব সময়েই দ্বন্দে ভোগে। তবে আল্লাহতায়ালার প্রতিশ্রুত কিয়ামত যে অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং অবিশ্বাসীরা অচিরেই তা জানতে পারবে, এ বিষয়টি আল-কোরআনে প্রদত্ত ঐশী তথ্যসমূহে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তবে এই ঘটনা বৃহৎ সংকোচনের মাধ্যমে ঘটুক অথবা বস্তু ও প্রতিবস্তু জগতের মধ্যে সংঘর্ষের ফলেই ঘটুক না কেন, এর ফলে যে মহাবিশ্বের বর্তমান অবয়বের আমুল পরিবর্তন সাধিত হবে তাতে কোনই সন্দহে নেই।

আল-কোরআন-
সূরা নাবা- আয়াত নং- ০১,০২,০৩,০৪,০৫
( ৭৮ : ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫ ) অর্থ - ০১. তারা একে অপরের কাছে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছে ? ০২. সই মহাসংবাদের (কিয়ামত/পুনরুথ্থান) বিষয়ে, ০৩. যেই বিষয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। ০৪. কখনই না, তাদের ধারণা অবাস্তব, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে; ০৫. আবার বলি কখনই না, তারা অচিরেই জানবে।
সূরা ক্বিয়ামাহ্- আয়াত নং-০১
(৭৫ : ০১) অর্থ- আমি শপথ করছি কিয়ামত/পুনরুথ্থান দিনের।

কিয়ামত ঠিক কোন মূহুর্তে ও কিভাবে সংঘটিত হবে সে বিষয়ের সঠিক জ্ঞান যে একমাত্র সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালারই নিকটে আছে তা আল-কোরআনে প্রদত্ত নিম্নের এশী ইংগিত থেকে সহজেই বুঝে নেয়া যায়-
সূরা-আরাফ- আয়াত নং-১৮৭
(০৭ : ১৮৭) অর্থ- তারা তোমাকে ঘড়িঘন্টা (কিয়ামত/পুনরুথ্থান) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে? বল, ‘এ বিষয়ে জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকেরই আছে। শুধু তিনিই যথাসময়ে তা প্রকাশ করবেন। তা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে একটি গুরুতর/ভয়ংকর ঘটনা হবে। আকস্মিকভাবেই তা তোমাদের উপর আসবে।’ তুমি এ বিষয়ে সবিশেষ অবহিত মনে করে তারা তোমাকে প্রশ্ন করে। বল, ‘এ বিষয়ে জ্ঞান আমার প্রতিপালকেরই আছে’, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জ্ঞাত নয়।

বিজ্ঞান-
সৃষ্টির শুরুতে মহাবিশ্ব যখন উত্তর মেরুর মত একক বিন্দু ছিল তখন এর কোন অন্তর্বস্তু ছিল না। আক্ষরিক অর্থে সৃষ্টি শুরু হয়েছিল শুন্যতা থেকে। কিন্তু এখন মহাবিশ্বের যে অংশ আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাতে রয়েছে অন্তত (১০ কে ১০ দ্বারা ৮০ বার গুণ করলে যত হয় তত সংখ্যক) কণিকা। এই সমস্ত কণিকা এল কোথা থেকে? উত্তরটা হলো- অপেক্ষবাদ ও কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। {কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা- থেকে সংগৃহিত তথ্য অনুসারে}

কেয়ামত অর্থাৎ মহাপ্রলয়ের পর শুধুমাত্র ধ্বংস বা শেষ নয় বরং ধ্বংসের পর পরিবর্তীত আকারে পূণরায় সৃষ্টি শুরুর ইংগিতও আল-কোরআনে রয়েছে-
সূরা অনকাবুত- আয়াত নং-১৯ ও ২০
(২৯ : ১৯) অর্থ- তারা কি লক্ষ্য করে না, কিভাবে আল্লাহ মখলুক বা সৃষ্টিকে আরম্ভ করেন অর্থাৎ অস্তিত্বে আনেন, অতঃপর তিনি এর পূণরাবৃত্তি করেন ? এটা তো আল্লাহর জন্য সহজ।
(২৯ : ২০) অর্থ- বল, পৃথিবীতে পরিভ্রমন কর এবং অনুধাবন কর, কিভাবে মাখলুক অর্থাৎ সৃষ্টি প্রকাশিত হলো, অতঃপর আল্লাহ বানাতে আরম্ভ করবেন পরবর্তী বিশ্ব বা পরকাল, আল্লাহ্ তো সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
সূরা নাযিয়াত- আয়াত নং-১০ ও ১৩
(৭৯ : ১০) অর্থ- তারা বলে, ‘আমরা কি উল্টোপথে বা প্রথম অবস্থায় প্রত্যাবর্তীত হবই’?
(৭৯ : ১৩) অর্থ- এটা তো এক বিকট আওয়াজ।
সূরা ইবরাহীম- অয়াত নং-৪৮
(১৪ : ৪৮) অর্থ- যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তীত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলীও; এবং মানুষ উপস্থিত হবে আল্লাহর সামনে, যিনি এক পরাক্রমশালী।
সূর রূম- আয়াত নং-২৫
(৩০ : ২৫) অর্থ- তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে তাঁর আদেশে আসমান ও পৃথিবীর স্থিতি, অতঃপর অল্লাহ্ যখন মাটি থেকে তোমাদেরকে উঠবার জন্য একবার আহ্বান করবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে।
সূরা রাহমান-আয়াত নং-৩১
(৫৫ : ৩১) ছানাফরুগু লাকুম আইয়্যুহাছ ছাক্বালা-ন।

{ ছাক্বালানি =(অর্থ)- দুটি ভারী জিনিস --১৫৪পৃষ্ঠা। ছা =(অর্থ)- অচিরে, অদূর ভবিষ্যতে --২০৯পৃষ্ঠা। ফারাগ্তা =(অর্থ)- অবসর প্রাপ্ত হলো - ২৭০পৃষ্ঠা--(‘কোরআনের অভিধান’ -- মুনির উদ্দীন আহমদ ) }
{ (সাকালানি) শব্দটি - (সাকাল) -এর দ্বি-বচন। যে বস্তুর ওজন ও মূল্যমান সুবিদিত, আরবী ভাষায় তাকে বলা হয়। - (ছানাফরুগূ) শব্দটি - (ফারেগুন) থেকে উদ্ভুত, এর (অর্থ)- কর্মমুক্ত হওয়া --‘পবিত্র কোরআনুল করিম’-মূল:-তফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন’-(বাংলা অনুবাদ ও সংপ্তি তফসির)--অনুবাদ ও সম্পাদনা--মওলানা মুহিউদ্দীন খান--১৩১৯ ও ১৩২০পৃষ্ঠা।}
{ফারেগুন =(অর্থ)- দায়িত্ব সম্পাদন করে অবসর প্রাপ্ত, দায়মুক্ত --‘আল-কাওসার’---মদীনা পাবলিকেশন্স।}

(৫৫ : ৩১) অর্থ:- ওহে দুই ‘ওজন-বিশিষ্ট বস্তু’ অচিরেই বা অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের বিষয়ে মনোনিবেশ করব বা ফায়সালা করব বা অবসর নেব বা কর্মমুক্ত হব।

সূরা নাবা- আয়াত নং-১৮ ও ১৯
(৭৮ : ১৮) অর্থ- সেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
(৭৮ : ১৯) অর্থ- আকাশ উন্মূক্ত করা হবে, ফলে তা বহু দ্বার বিশিস্ট হবে।
সূরা যিলযিলা- আয়াত নং-(৪ - ৭)
(৯৯ : ০৪) অর্থ- সেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
(৯৯ : ০৫) অর্থ- কারণ তোমার প্রতিপালক তাকে আদেশ করবেন;
(৯৯ : ০৬) অর্থ- সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে কারণ তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে দেখানো হবে;
(৯৯ : ০৭) অর্থ- কেউ অণুপরিমান সৎকাজ করলে তাও দেখবে।
সূরা বায়্যিনাহ- আয়াত নং-৭ ও ৮
(৯৮ : ০৭) অর্থ- যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ।
(৯৮ : ০৮) অর্থ- তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে তাদের পুরষ্কার- স্থায়ী জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।

আলোচনা-
বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, অপেক্ষবাদ ও কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে পদার্থ সৃষ্টি অনুমোদন করে। (২৯:১৯,২০) নং আয়াত থেকে আমরা বুঝে নিতে পারি যে, পরাক্রমশালী সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা (শক্তি থেকে ) আবার পরকালের পৃথিবী ও আসমান সৃষ্টি করবেন, যেভাবে তিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন এবং এর জন্য মহান স্রষ্টার এক মূহুর্তের ইচ্ছা ও ইশারাই যথেষ্ট। পূণরায় সৃষ্টি আরম্ভের সাথে (বিগ-ব্যাঙের মত বিস্ফোরণ জনিত) বিকট শব্দের যে একটা সম্পর্ক রয়েছে, (৭৯:১০ ও ১৩) নং আয়াতে সে বিষয়ে ইংগিত দেয়া হয়েছে। তবে (১৪:৪৮) নং আয়াত থেকে বুঝে নেয়া যায় যে সেই আসমান ও পৃথিবী বর্তমানের আসমান ও পৃথিবী থেকে নিশ্চয়ই ভিন্নতর অর্থাৎ পরিবর্তীত রূপে প্রকাশিত হবে। যেহেতু (৫৫:৩১) নং আয়াতে দুই ওজন-বিশিষ্ট বস্তু অর্থাৎ কণিকা ও বিপরীত কণিকা সম্পর্কে ফায়সালা করা হবে অর্থাৎ চরম সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে ইংগিত দেয়া হয়েছে, সুতরাং পরকালের আসমান ও পৃথিবী যে কণিকা বা বিপরীত কাণকা দ্বারা গঠিত হবে না, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তবে আল্লাহতায়ালার আদেশে এমন কোন শাশ্বত ও প্রকৃত কণিকা দ্বারা গঠিত হবে, যা (৩০:২৫) নং আয়াত অনুসারে আল্লাহপাকের ইচ্ছায় অনন্তকাল স্থায়ী হবে। (৭৮:১৮) নং আয়তে এই ইংগিত দেয়া হয়েছে যে, জগৎসমূহের স্রষ্টা সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার আদেশে শিংগার ফুৎকারে আমরা পূণরায় আমাদের দেহ ও জীবন লাভ করব এবং সেই পরিবর্তীত পৃথিবীতে দলে দলে সমাগত হব। পরকলের সেই আসমানে ডাইমেনশন বা মাত্রাগত কোন স্তর-ভেদ থাকবে না। ফলে (৭৮:১৯) নং আয়াতে দেয়া তথ্যমতে আসমান সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত থাকবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বেহেশ্ত ও দোজখে প্রবেশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে। (৯৯:৪ - ৮) নং আয়াতগুলো থেকে অনুমান করা যায় যে, মানুষের অণু পরিমাণ সৎকাজ বা অসৎকাজ সবই এই পৃথিবীর প্রতিটি অণু ও পরমাণুতে সংরক্ষিত অর্থাৎ রেকর্ড করে রাখা আছে এবং তা মহান আল্লাহতায়ালার আদেশে শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেকের সামনে উপস্থাপন ও প্রদর্শন করা হবে। বর্তমানে বিজ্ঞানের সহায়তায় এই পৃথিবীর বিভিন্ন উপকরণকে কাজে লাগিয়ে যেমন করে মানুষ তাদের কথা, গান, অভিনয়, ভাষন ইত্যাদি রেকর্ড করছে এবং সেগুলো আবার শব্দশক্তি ও আলোকশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমপ্রচারের মাধ্যমে স্বয়ং অভিনেতা, বক্তাসহ অন্যান্য সকল দর্শক ও শ্রতাদের সামনে রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা, কম্পিউটার ইত্যাদির পর্দায় উপস্থাপন ও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এমনকি যুগ যুগ ধরে দিনের পর দিন এগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। সুতরাং একালের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মত পরকালে পৃথিবীর হার্ডডিস্ক থেকে প্রতিটি মানুষের নামে রেকর্ডকৃত নির্দিষ্ট কোড সম্বিলত ফাইল থেকে ভাল ও মন্দ তথ্যগুলো বের করে নির্দিষ্ট ব্যক্তি তথা সবার সামনে প্রদর্শন করা হবে এবং যা সর্বদ্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালার কাছে খুবই সহজ ব্যাপার। যেহেতু পরকালের আসমান ও পৃথিবী শাশ্বত ও প্রকৃত কণিকা দ্বারা গঠিত হবে এবং মহান আল্লাহতায়ালা সেই পৃথিবীর মাটি থেকে আমাদেরকে উঠবার জন্য আহ্বান করার সাথে সাথে আমরা দলে দলে তাঁর সামনে গিয়ে হাজির হব, সুতরাং আমাদের দেহগুলোও হয়ত তখন শাশ্বত ও প্রকৃত কণিকা দ্বারা গঠিত হবে। যেহেতু শাশ্বত ও প্রকৃত কণিকাগুলো কখনো ক্ষয় বা ধ্বংস হবে না, সুতরাং (৯৮:৭,৮) ও (৭৮:২১,২২,২৩) নং আয়াতে দেয়া ইংগিত অনুসারে শেষ বিচারের পর ইহকালীন কর্মফল ও আল্লাহতায়ালার ইচ্ছানুযায়ী আমরা অনন্তকাল যাবৎ বেহেশতের সুখ ও দোজখের যন্ত্রনা ভোগ করতে থাকব।

সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর আদেশে অলৌকিক ঘটনাগুলো পূর্বে ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে বলে আল-কোরআনে ইংগিত দেয়া হয়েছে। সেগুলো গতানুগতিক প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে খাপখায়না, তাই অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু নিয়মের যিনি স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রণকারী তিনি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তাঁর অসীম শক্তির নিদর্শণ স্বরূপ অলৌকিক ঘটনাগুলো ঘটিয়ে থাকেন এবং মানুষকে শিক্ষাদানের জন্য ঐশী-বাণীর মাধ্যমে উপমা হিসেবে সময়মত জানিয়ে দেন। আর এভাবে আল্লাহতায়ালা মানুষকে পরীক্ষা করেন যে তাঁর অসীম শক্তি ও ঐশীবাণীর উপর কে কতটুকু বিশ্বাস স্থাপন করতে প্রস্তুত। সুতরাং আজগুবি গল্প ভেবে হুজুগে মেতে অবহেলা না করে ধৈর্য্যের সাথে গবেষণারত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আল-কোরআন-
সূরা মু’মিনুন- আয়াত নং-৫৩
(২৩ : ৫৩) অর্থ- রসূলগণের তিরোধানের পর প্রত্যেক সমপ্রদায়ই রসূলের শিক্ষা বিসর্জন দিয়ে স্ব-স্ব প্রবৃত্তির অনুসরনে লিপ্ত ছিল।
সূরা আম্বিয়া- আয়াত নং-১ ও ২
(২১ :০১) অর্থ- মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু ওরা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।
(২১ : ০২) অর্থ- যখনই ওদের নিকট ওদের প্রতিপালকের কোন নুতন উপদেশ আসে ওরা তা কৌতুকাচ্ছলে শ্রবণ করে।

কিয়ামত (পুনরুথ্থান) আসন্ন ও অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং আসুন আর স্ব-স্ব প্রবৃত্তির অনুসরণ করে অবহেলা ও অমনযোগীতার মধ্যে এক মূহুর্তও সময় নষ্ট না করে আল-কোরআন ও সুন্নাহর প্রদর্শিত পথে সঠিকভাবে চলার জন্য দৃপ্ত শপৎ গ্রহন করি এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের শান্তি ও মুক্তির পথকে সুগম ও সফল করে তুলবার জন্য সচেষ্ট হই।

বিঃদ্রঃ - লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অপ্রাসঙ্গিক কোন মন্তব্য মুছে ফেলা হবে এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পেশ করলে প্রয়োজনে ব্লক করতে বাধ্য হব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৩২
১৬টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

উহুদের যুদ্ধের সময় ওমর রাঃ এবং আবু বকর রাঃ পলায়ন করেছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

উহুদের যুদ্ধের সময় ওমর রাঃ এবং আবু বকর রাঃ পলায়ন করেছিলেন?

উহুদ পাহাড়ের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

ইদানিং কিছু মানুষের জ্ঞান বিপজ্জনক পর্যায়ে বেড়ে গেছে। কিছু লোক তো নিজেদের মহাজ্ঞানীরও উপরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বউ কে Control এ রাখার উপায় কী ?

লিখেছেন রাজীব নুর, ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫



বউকে কন্টোলে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, আপনাকে 'মানুষ' হতে হবে।
সহজ সরল একজন ভালো মানুষ। মানবিক এবং হৃদয়বান। যে মিথ্যা কথা বলিবে না। যার মধ্যে কোনো ভান-ভনিতা,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বলাগার রাজীব নুরকে বলছি

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩



শ্রী রাজীব নুর ব্রহ্মচারী আপনি ধর্ম মানেন না ভালো কথা এটা আপনার নিজস্ব বিশ্বাসের ব্যাপার। আপনি ধর্ম মানতে কোন বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই তথাপী আপনি অযাচিতভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুঁচ আর চালনির গপ্পো

লিখেছেন জটিল ভাই, ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

দৃষ্টি আকর্ষণ।

লিখেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগ টিম, ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

.


১। সম্মানিত ব্লগারদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ব্যক্তিগত মতাদর্শের ভিত্তিতে অন্যদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত করার বা আলোচনার পরিসর সীমিত করার অনুরোধ গ্রহণযোগ্য হবে না।

২। সামহোয়্যারইন ব্লগ মত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×