এ পর্যন্ত মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে সংক্ষেপে তা হলো- যেসব তারকার ভর সৌর-ভরের ৮ গুণের কম থাকে, অন্তিমদশায় সেইসব সংকোচনশীল তারকার কেন্দ্রের ভর চন্দ্রশেখরের সীমা অর্থাৎ ১.৪ গুন সৌর-ভরের নিচে থাকে এবং সেগুলো 'শ্বেতবামন' হিসেবে স্থতি লাভ করে। যে সব তারকার ভর সৌর-ভরের ৮ গুণের বেশী থাকে, অন্তিমদশায় সেগুলো সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হতে পারে। যেসব সুপারনোভার সংকোচনশীল কেন্দ্রের ভর (চন্দ্রশেখরের সীমার উপরে কিন্তু) ১.৪ থেকে ৩ গুণ সৌর-ভরের মধ্যে থাকে সেগুলো 'নিউট্রন' তারায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু এগুলোর ভর যদি ৩ গুণ সৌর-ভর অপেক্ষা বেশী হয় তবে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা এবং অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্তপ্রায় 'ব্ল্যাকেহালে' পরিণত হয়। প্রচন্ড চাপের কারনে শ্বেতবামনের কেন্দ্রের তাপমাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায় কিন্তু অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে ক্ষুদ্র আকার ধারন করায় আগের মত তত উজ্জ্বলভাবে দৃষ্টিগোচর হয়না। ধীরে ধীরে (আমাদের হিসেবে একটা বিশাল সময় পরে)জ্বলানী শেষ হয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা ও উজ্জ্বলতা কমতে থাকে।
সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি “হাবল টেলিস্কোপ”- এর সহায়তায় মহাকাশের যে সমস্ত চমকপ্রদ তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে সেগুলোর সাথে প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বে নাযিলকৃত আল-কোরআনে প্রদত্ত বিজ্ঞান বিষয়ক ঐশী তথ্যগুলোর যে অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষকে ভাবিত ও অভিভূত না করে পারে না। “পবিত্র কোরআনে” মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ইংগিতের সাথে সমন্বয় সৃষ্টির সাথে সাথে আমার নিজস্ব কিছু বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশই এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। প্রকৃত খবর মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন।
বিজ্ঞান-
সূর্যের জ্বালানী ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে তার জ্বালানীর প্রায় অর্ধেকটা জ্বালীয়ে ফেলেছে। বাকী জ্বালানী দিয়ে সম্ভবত আরও পাঁচশত কোটি বছর পর্যন্ত চলবে। সূর্যের চেয়ে অনেক বেশী ভরসম্পন্ন বড় বড় তারকাগুলো ইতিমধ্যে তাদের জ্বালানী জ্বালীয়ে শেষ করেছে। একটি তারকার জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে সেটি শীতল হতে থাকে এবং আরও সংকুচিত হতে থাকে। তবে যে সব তারকার ভর সূর্যের ভরের দ্বিগুণের চাইতে কম সেগুলো সংকুচিত হওয়া বন্ধ করে সুস্থির অবস্থায় স্থিতি লাভ করে।
এ রকম তারকাগুলো তাদের অন্তিম দশায় হয় ‘শ্বেতবামন’ রূপে অথবা ‘নিউট্রন তারকা’ রূপে স্থিতিলাভ করে। শ্বেতবামনকে রক্ষা করে এর মধ্যকার পদার্থের ইলেকট্রনগুলোর এবং নিউট্রন তারকাকে রক্ষা করে এর মধ্যকার পদার্থের ‘নিউট্রন ও প্রোটনের’ অপবর্জনত্বত্ত্বভিত্তিক বিকর্ষণ। শ্বেতবামনের ব্যাসার্ধ হয় কয়েক হাজার মাইল এবং তাদের মধ্যকার জমাট বাধা পদার্থের ঘনত্ব হয় প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে কয়ক শত টন।
আর নিউট্রন তারকার ব্যাসার্ধ হয় মাত্র দশ মাইলের মত, কিন্তু তাদের ঘনত্ব হয় প্রতি ঘন ইঞ্চিতে কোটি কোটি টন। প্রথম যে কটি শ্বেতবামন আবিষকৃত হয়েছিল তাদের মধ্যে একটি রাতের আকাশের উজ্বলতম তারকা ‘সিরিয়াস’কে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের নিহারিকায় এরকম বহু শ্বেতবামন রয়েছে। ১৯৬৭ সালে পালসার নামে বস্তুপিন্ড আবিষকৃত হয়, যা থেকে নিয়মিত বেতার তরঙ্গ নির্গত হয়। এই বস্তুপিন্ডগুলো ছিল আসলে ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারকা। {‘কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ এবং ‘কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশুমহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা’ থেকে সংগৃহিত তথ্য অনুসারে}
(উপর থেকে ১ ও ২ নং ছবিটি শ্বেতবামন এবং ৩ নং ছবিটি নিউট্রন তারকা)
বিজ্ঞানের সহায়তায় আমরা অবগত হয়েছি যে, শেষ পর্যন্ত সূর্যের পারমাণবিক জ্বালানী ফুরিয়ে যাবে এবং এরজন্য আরও প্রায় পাঁচশত কোটি বছর সময় লাগবে। যে সমস্ত তারকার ভর সূর্যের ভরের চেয়ে অধিক, তারা তাদের জ্বালানী আরো দ্রুত জ্বালীয়ে শেষ করবে। তবে শেষ জীবনে সূর্যের ভরের দ্বিগুনের চেয়ে কম ভর-সম্পন্ন তারকাগুলো শেষে সংকুচিত হওয়া বন্ধ করবে এবং একটা সুস্থির অবস্থায় স্থিতি লাভ করবে। এ রকম একটি অবস্থার নাম ‘শ্বেত-বামন’ এবং আর একটি অবস্থার নাম ‘নিউট্রন-তারকা’। আমাদের নিহারিকায় বহু শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকা পর্যবেক্ষণ করা যায়। নিউট্রন-তারকাগুলো ১৯৬৭ সালের আগে দেখা যায়নি।
যেহেতু সূর্যের জ্বালানী ধীরে ধীরে কমে আসছে, সুতরাং এর তাপ বিকিরণ তথা আলোক বিকিরণের পরিমাণও ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু সূর্যের আলোর ঔজ্জ্বল্য এত বেশী যে, এই হ্রাসপ্রাপ্তি সূহ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া খালি চোখে বা বাহ্যিকভাবে অনুভব করা যায় না। শুধু তাই নয়, সূর্যের আভ্যন্তরিন আরও কিছু বিশেষ কারনেও সময়ে সময়ে সূর্যের আলো বিকিরণের পরিমাণের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে অর্থাৎ সূর্যটা জ্যোতিহনি বা নিষ্প্রভ অবস্থা প্রাপ্ত হয়। অথচ এই বিষয়টি অনেক কাল আগেই আল-কোরআনের ছোট্ট একটি আয়াতে কত সুন্দরভাবে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে -
আল-কোরআন(Al-Quran)-
সূরা আত্-তাকভীর- (81.At-Takwir // The Overthrowing) -আয়াত নং-০১ ও ০২
(৮১ : ০১) ইজাশ শামছু কুব্বিরাৎ;
শামছু = (অর্থ) সূর্য, কুব্বিরাৎ = (অর্থ) জ্যোতিহীন হওয়া -> তফসির মারেফুল কোরআন- ১৪৩৮ পৃষ্ঠা Click This Link
(৮১ : ০১) অর্থ- যখন সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষপ্রভ হবে;
(81 : 1)= When the sun will be lack-luster/brightness (due to deficiency of solar Irradiance)
তাছাড়া ধীরে ধীরে যে আকাশে নক্ষত্রগুলো স্তিমিত হবে ও নিভে যেতে থাকবে অর্থাৎ অসংখ্য শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে তা আল-কোরআনে প্রদত্ত নিচের আয়াত দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায়-
সূরা আত্-তাকভীর-
(৮১ : ০২) ওয়া ইজান নুজুমুন কাদারাত,
ইনকাদারাত = (অর্থ)-তা ময়লা হলো, অন্ধকার হলো- ‘কোরআনের অভিধান’---মুনির উদ্দীন আহমদ--- ৮৫পৃষ্ঠা।।
কাদারাতুন = (অর্থ)- বৃহদাকৃতির ঢেলা - ‘আল-কাওসার’ - মদীনা পাবলিকেশন্স }
(৮১:২) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে বা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে।
সূরা মুরসালাত -(77.Al-Mursalat // The Emissaries)-সূরা নং-৭৭, আয়াত নং-৮
(৭৭ : ০৮) ফাইজান নুজূমু তুমিছাত,
{নুজূমুন =(অর্থ)- তারকারাজি -৩৫০পৃষ্ঠা
তুমিছাতি =(অর্থ)- আলোবিহীন হলো, খারাপ হলো, মিটে গেল -২৪২পৃষ্ঠা- ‘কোরআনের অভিধান’-মুনির উদ্দীন আহমদ}
(৭৭:৮) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে বা আলোবিহীন হবে।
(77 : 8)= So when the stars will be extinguished.
আলোচনা-
(৮১:০১), (৮১:০২) ও (৭৭:০৮) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘যখন’ শব্দটি দ্বারা কিয়ামতের বেশ কিছু সময় পূর্বের কথা বোঝান হয়েছে। কারণ এই আয়াতগুলোর আগে ও পরে প্রতিশ্রুত বিচার দিবস ও কিয়ামতের বিষয়ে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। আবার (৮১:০১) নং আয়াতে সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষপ্রভ হয়ে যাবে বলে ইংগিত দেয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা অবগত হয়েছি যে, একদিকে জ্বালানীর পরিমাণ কমে যাচ্ছে, অপরদিকে সূর্যের আভ্যন্তরিন আরও কিছু বিশেষ কারনেও সময়ে সময়ে সূর্যের আলো বিকিরণের পরিমাণের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে অর্থাৎ সূর্যটা জ্যোতিহনি বা নিষ্প্রভ অবস্থা প্রাপ্ত হয়। তবে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন অল্প সময়ের জন্য হলেও অন্তত কিয়ামত বা মহাপ্রলয় সংঘটিত হওয়ার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত সেই পরিমাণ ঔজ্জ্বল্য তখনও বর্তমান থাকবে। সুতারাং লাল-দানব বা শ্বেত-বামন নয়, বরং সূর্যটা হলুদ নক্ষত্র থাকা অবস্থাতেই আভ্যন্তরিন কোন এক বিশেষ কারনে যখন তুলনামূলকভাবে কিছুটা জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ অবস্থায় বিরাজ করবে, ঠিক এমনি কোন পরিবেশে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এ বিষয়টি পরে আলোচনা করব।
আমরা আরও জেনেছি যে, মহাকাশে সূর্যের চেয়ে অধিক ভরসম্পন্ন বড়বড় তারকাগুলো তাদের জ্বালানী ফুরিয়ে যাওয়ায় অন্তিম দশায় শ্বেতবামন ও নিইট্রন তারকায় পরিনত হচ্ছে। কিয়ামতের পূর্বে মহাকাশে যে অসংখ্য শ্বেতবামন ও নিউট্রন তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে তা (৭৭:০৮) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘তুমিছাত’ অর্থ ‘আলোবিহীন হলো’ ও (৮১:০২) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘নুজূমুন’ অর্থ ‘তারকারাজি’ এবং ‘ইনকাদারাত’ অর্থ ‘অন্ধকার হলো’ শব্দ দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায়। কারণ আলোকজ্জ্বল তারকাগুলোর জ্বালানী যে ধীরেধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আলোবিহীন হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে অর্থাৎ শ্বেবতবামন অথবা নিউট্রন তারকায় পরিনত হয়ে অবশেষে ব্ল্যাক-ডর্ফ হিসেবে স্থিতিলাভ করে, পরোক্ষভাবে সেই ইংগিতটিই এখানে ফুটে উঠেছে। আবার (৮১:০২) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘ইনকাদারাত’-এর আরেকটি অর্থ ‘যা ময়লা যুক্ত’ এমন কিছু এবং ‘কাদারাতুন’-এর অর্থ ‘বৃহদাকৃতির ঢেলা’-এর মত কোন বস্তুপিন্ডকে বোঝান হয়েছে। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে তারকাগুলো শীতল ও সংকুচিত হয়ে ঘন ‘বস্তু-পিন্ডের’ আকার ধারণ করে এবং শ্বেতবামন ও নিউট্রন তারকায় পরিণত হয়। সুতরাং এ থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে যেমন ছাই বা ভস্ম তৈরি হয়, তেমনি তারকাগুলোর জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে যে ভস্ম বা ময়লা অবশিষ্ট থাকে তা উত্তাপহীন বা শীতল হয়ে মহাকর্ষীয় চাপে সংকুচিত অবস্থায় স্থিতি লাভ করে এবং ‘ঘন বস্তু-পিন্ড’ অর্থাৎ ‘কাদারাতুন বা বৃহদাকৃতির ঢেলায়’ (শ্বেতবামন অথবা নিউট্রন তারকায়) পরিনত হয়।
যেহেতু ব্ল্যাক-ডর্ফগুলো এখনও আবিষ্কৃত হয়নি এবং এগুলোকে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। তাই মহাকাশে শ্বেতবামন অথবা নিউট্রন তারকাগুলোর উপস্থিতিই তো পরোক্ষভাবে ভবিষ্যতে সেগুলোর ‘কাদারাতুন বা বৃহদাকৃতির ঢেলা' অর্থাৎ 'ব্ল্যাক-ডর্ফের' পরিণত হওয়ার বার্তা বহন করছে।
আল-কোরআনে এ ধরনের আরও অনেক শব্দ ও আয়াত এসেছে যেগুলো যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তথনকার জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত সঠিক অর্থ বোঝানোর জন্যই মহান স্রষ্টা এগুলোকে সেভাবেই ব্যবহার করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে। একজন উম্মী নবীর পক্ষে মহান স্রষ্টার সাহায্য ছাড়া এধরনের বিসম্য়কর অকাট্য বৈজ্ঞানীক তথ্যগুলো আল-কোরআনে নির্ভুলভাবে তুলে ধরা যে কখনই সম্ভব ছিলনা- একজন সত্যান্বেষী সরলমনা মানুষ মাত্রই তা সহজেই বুঝে নেবে।
"মহান স্রষ্টা যে আছেন" আল-কোরআনই তার চিরন্তর জ্জ্বলন্ত প্রমান। এটি নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়। তাই এতে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ত্বত্ত্বগুলোর বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে ঐশী ইংগিত দেয়া হয়েছে মাত্র। সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে একজন ইমানদার যখন আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে গভীর চিন্তা-গবেষণায় রত হয়, তখন পরম শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসে জগৎসমূহের স্রষ্টা সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে সে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। আল-কোরআন যে স্বয়ং মহান স্রষ্টা প্রেরিত পথপ্রদর্শনকারী মহাগ্রন্থ তা জ্ঞানী ও সরলমনা বিশ্বাসীরা তখন নির্দিধায় মেনে নেয়।।এভাবে অল্লাহতায়ালা বার বার প্রমাণ করে দেখান যে, আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক ঐশী তথ্যগুলো যেমন সত্য, ঐশী আইন-কানুনগুলোও তেমনই অকাট্য ও সত্য এবং সর্বকালেই কল্যাণকর। মহান স্রষ্টা চান, বিশ্বাসী মানুষেরা যেন এইসব ঐশী তথ্য সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণাব মধ্য দিয়ে আধুনিক আবিষ্কারগুলোকে যাঁচাই করে নিয়ে প্রকৃত সত্যের সন্ধান লাভ করতে পারে এবং আল্লাহর মহত্ব ও করুণার কথা স্মরণ করার সাথে সাথে একমাত্র তাঁরই কাছে মাথা নত করে।
এর সাথে সম্পর্কিত আরেকটি পোষ্ট-
আল-কোরআন সম্পর্কে অবিশ্বাসীরা যতই ভ্রান্তি ছড়ায়, আল্লাহর বাণীর মহীমা যে ততই প্রকাশিত হয়- তার নমুনা দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:০৯