somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রানা প্লাজাঃ একটি দুঃস্বপ্ন

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ রানা প্লাজা ধ্বসের এক বছর পূর্তি। হয়ত আমাদের অনেকের এ ব্যপারে কোন অনুভূতি নেই_এটা অনেকটা যেন মামুলি ব্যাপার।
আসলে এটার অনুভূতি যে কত ভয়াবহ এবং বেদনাদায়ক তা হয়ত এই দূর্ঘটনা থেকে যারা জীবন ফিরে পেয়েছে তারা জানে আর জানে যারা নিখোঁজ হয়েছে তাদের পরিবার।
সাধারণতঃ কেউই শখ করে গার্মেন্টসে কাজ করেনা। কাজ করে তারা যাদের এছাড়া কোন গতি নেই। আর এ মানুষগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে বলে আমার মনে হয়। সম্ভবতঃ এদের শ্রমই সবচেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হয়। অথচ আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশই আসে গার্মেন্টস তথা তৈরী পোশাক খাত থেকে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩-র কথা মনে পড়ে। রানা প্লাজায় আগের দিনই ফাঁটল দেখা দিয়েছে। তারপর ও কর্তৃপক্ষ সাধারন শ্রমিকদের ভবনে ঢুকে কাজ করতে বাধ্য করেছে। অসহায় শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষের কথা শোনা ছাড়া অন্য কোন গত্যন্তর ছিলনা। তারা কাজে ঢুকল আর কিছুক্ষণ পরই তাসের ঘরের মত হুড়মুড় করে ভবন ধ্বসে পড়ল তাদের মাথার উপর। ১১২৯ জন মারা গেল, ২৫১৫ জন আহত হল, অনেকেই থেকে গেল নিখোঁজ। কোনদিন তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাবে না। কোনদিন তারা কাজ করে বেতন পেয়ে হাসিমুখে তাদের অপেক্ষারত পরিবারের কাছেও ফিরে যাবে না। এটা কোন ব্যাপারই না!
আমরা মোটামুটি একবছর আগের সবকাহিনী ভুলে বসে আছি। রানা অন্যায়ভাবে সরকারী দলের মদদপুষ্ট হয়ে ভবন তৈরীর স্টান্ডার্ড না মেনেই এ ভবন তৈরী করেছিল। নিয়ম মেনে করলে তাকে হয়ত আরো বেশী কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হত।
পুকুর ভরাট করে নাকি ঐ ভবন তৈরী করা হয়েছিল। গার্মেন্টসে ভারী যন্ত্রপাতি থাকে। হয়ত ঐ ভবনটিতে গার্মেন্টস না বানিয়ে অন্য কোন ব্যবসার কাজেও লাগানো যেত বা গার্মেন্টস এর উপযোগী করে ভবনটি তৈরী করা যেত। তাতে তার ব্যবসার খুব বেশী ক্ষতি হত না। সামান্য খামখেয়ালিপনা ও সামান্য লোভের জন্যই সহস্রাধিক মানুষের জীবন গেল। আর বিশ্বদরবারে আমাদের মাথা যে কত উঁচু হল তা নাই বা বললাম।
যা হয়েছে তা অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন সামন্য খামখেয়ালিপনা ও সামান্য লোভের কারনে এ ধরনের আর কোন দূর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা এবং আমাদের সরকার কতটুকু সচেতন, কতটুকু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান কি তবে কাগুজে বাঘ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৭


সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস-হিজবুল্লাহ ত্রিমুখী যুদ্ধে প্রচুর লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।২০২২ সালে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের উপর হামলা করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনের প্রায় ৫০... ...বাকিটুকু পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমুখী একটি চাওয়া

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×