আজ (২১ ফেব্রুয়ারি,২০১৭) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে প্যারিসের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ আলোচনা, সেমিনার এবং ভিডিও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে "বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ" (Towards Sustainable Futures through Multilingual Education)। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বলেছেন," On the occasion of this Day, I launch an appeal for the potential of multilingual education to be acknowledged everywhere, in education and administrative systems, in cultural expressions and the media, cyberspace and trade."
এর পাশাপশি সবাইকে দিবসটি পালনের আহবান জানানো হয়েছে।
১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পর ২০০০ সাল থেকে ইউনেস্কো দিবসটি পালন শুরু করে। ২০০০ সালের বিষয় ছিল, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্বোধন; ২০০১ সালে ছিল,দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপন; ২০০২ সালের বিষয় ছিল, ভাষার বহুমাত্রিকতা এবং ৩০০০ হারিয়ে যাওয়া ভাষার উন্নয়ন এবং সে বছরের স্লোগান ছিল ‘ভাষার ছায়াপথে প্রতিটি শব্দই নক্ষত্র’ (slogan: In the galaxy of languages, every word is a star); ২০০৩ সাল-চতুর্থ বার্ষিকী উদযাপন; ২০০৪সালের বিষয় ছিল, শিশু শিক্ষা, সে বছর ইউনেস্কো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুরা শ্রেণিকক্ষে লেখা শেখার যে অনুশীলন খাতা ব্যবহার করে সেগুলোর এক অনন্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ২০০৫ সালের বিষয় ছিল, ব্রেইল পদ্ধতি ও ইশারা ভাষা; ২০০৬ সালের বিষয় ছিল,ভাষা ও সাইবার দুনিয়া; ২০০৭ সালের বিষয় ছিল, বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষা; ২০০৮ সালের বিষয় ছিল,আন্তর্জাতিক ভাষা বর্ষ; ২০০৯ সালের বিষয় ছিল, দশম বার্ষিকী উদযাপন; ২০১০ সালের বিষয় ছিল, আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক পুনর্মিলন বর্ষ; ২০১১ সালের বিষয় ছিল,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি; ২০১২ সালের বিষয় ছিল, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ; ২০১৩ সালের বিষয় ছিল, মাতৃভাষা শিক্ষা বিষয়ক পুস্তক প্রকাশ; ২০১৪ সালের বিষয় ছিল, স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে বিশ্ব নাগরিকত্বঃ বিজ্ঞান কেন্দ্রিকতা (Local languages for Global Citizenship: Spotlight on Science); ২০১৫ সালের বিষয়বস্তু ছিল, শিক্ষার মাধ্যমে পরিপূর্ণতাঃ ভাষার গুরুত্ব (Inclusion in and through education: language counts); ২০১৬ সালের বিষয় ছিল, মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষায় ব্যবহৃত ভাষা এবং শিক্ষার ফলাফল (Quality education, language(s) of instruction and learning outcomes)।
এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, বহুভাষার মাধ্যমে শিক্ষার মানে হচ্ছে টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেবার জন্য শিশুরা মাতৃভাষা এবং অন্যান্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করবে। সে শিক্ষা হবে স্থানীয় তথা মাতৃভাষার মাধ্যমে। আদিবাসী বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য এটা একইভাবে গুরুত্ববহ। এ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে,
• It emphasizes the quality of teaching and learning with a focus on understanding and creativity;
• It reinforces the cognitive aspect of learning by ensuring the direct application of learning outcomes to the learner’s life through the mother tongue
• It enhances dialogue and interaction between learner and teacher by allowing genuine communication from the beginning.
• It facilitates participation and action in society and gives access to new knowledge and cultural expressions, thus ensuring a harmonious interaction between the global and the local.
বাংলা ভাষার জন্য বিশেষ করে ভাষা সৈনিকদের প্রতি এটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষার জয় হোক।
লিঙ্ক- Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০