মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রয়ারী ২০০৪ ইং তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক ডঃ হুমায়ূন আজাদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৪ ইং তারিখে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মিছিল হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু আব্বাস ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে রমনা থানা্য় আটকনির্মম নির্যাতন করে। পরবর্তীতে ডঃ হুমায়ূন আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা্য় মিথ্যেভাবে জড়িত করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে গত ০২ মার্চ ২০০৪ তারিখ পর্যন্ত রমনা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ উল্লেখিত পুলিশ সদস্যগন অমানবিক নির্যাতন করে তার বাম হাতের মধ্যাঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে তার অবস্থা খুব বেশী খারাপ হলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে, তিনি উক্ত মামলা থেকে বেখুশুর খালাশ পেলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হিউম্যান রাইটস্ (বিআইএইচআর) এর অইনগত সহযোগিতায় নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আবু আব্বাস ভুঁইয়া গত ২০০৮ সালের ০৫ মার্চ ইং তারিখে ঢাকা বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দন্ডবিধির ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৫০৭/ ৩৭৯/ ৫০০/ ১০৯/ ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত মহানগর মূখ্য হাকিম মোঃ এমরান হোসেন চৌধুরী বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করে ডিসি ডিবিকে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম চৌধুরী আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গত ১৪ জুন ২০০৮ ইং তারিখে একটি মনগড়া, ফরমায়েশি, পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী মহানগর মূখ্য হাকিমের আদালতে একটি নারাজি আবেদন দাখিল করেন। মহানগর হাকিম ফয়সাল আতিক বিন কাদের গত ২৩ জুলাই ২০০৯ তারিখে পূনরায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গত ২৬ জুলাই ২০০৯ ইং তারিখে ঘটনাটি পূনরায় তদন্তের জন্য এসএসপি, সিআইডি, ঢাকাকে আদেশ প্রদান করেন।
দীর্ঘ এক বছর তদন্ত শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এহসান উদ্দীন চৌধুরী গত ১৮ সেপ্টম্বর ২০১০ ইং তারিখে দন্ড বিধির ৩৩০/৩৩১/৩৪ ধারা্য উল্লেখিত আসামীদের অভিযুক্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনের উপর বাদী পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত অবিযোগটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিআইএইচআর এর মহাসচিব/নির্বাহী পরিচালক এড. শাহানূর ইসলাম সৈকত, বিআইএইচআর এর সহসভাপতি এড. মোহাম্মদ আলমগীর ও ঢাকা বারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এড. নজিবুল্লাহ হিরু।
Click This Link
Click This Link
Click This Link