এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে.. গানে যত নদীর কথাই থাক এটা কিন্ত রূপসী সুরমা নদী, সিলেট।
ভ্রমন পিপাসু মন অনেক দেশেই ঘুর ঘুর করে এসেছে । সেই সব দেশের কোনটির আলো ঝলমলে ঝক ঝকে তকে তকে রূপ দেখে ক্ষনিকের তরে হয়তো মুগ্ধ হয়েছি, হয়েছি বিস্মিত আপ্লুত । কিন্ত মন পড়ে থাকে এই দুঃখিনী বাংলায়,আমার সোনার বাংলার মাটিতে, বাংলার রূপে। এ কথা আমি ব্লগে আগেও লিখেছি একাধিকবার।
পিয়াইন নদীর পাশে, সিলেট
তাইতো মনের কোনে অহর্নিশি বেজে চলে জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো, এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো । আর এমন আকুল করা ডাক শুনে কেউ ফিরে না এসে পারে বলুন ? আমি বা কেমন করে না এসে পারি আমার এই প্রিয় মাতৃভুমিতে ?
অপরূপ দৃশ্য সেই পিয়াইন নদী পথে, সিলেট
পাথর বেছানো অপরূপ বিছানাকান্দি , সিলেট
কে যায়রে ভাটি গাঙ বাইয়া ... ষাটনল , চাঁদপুর
পাহাড়ের খাজে মুখ গুজে থাকা মেঘের দল যেন কান্না হয়ে নেমে আসার অপেক্ষায়। মেঘালয়ের পাহাড়, সিলেট
জলের তলায় ডুবে থাকা আর ভেসে থাকা ঘাস, সুনামগঞ্জ
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ , মাগো আমার শ্লোক বলা কাজলা দিদি কই ? লাউয়াছড়া । সিলেট।
ধুলোয় ধুসর রথ, একেবেকে গেছে পথ, বহুদুর দূর দূর যেতে হবে। চট্টগ্রাম
মাধবপুর চা বাগানের দুই নারী শ্রমিক। শ্রীমঙ্গল
চা শ্রমিক দুজন আমাকে ছবি তুলতে দেখেই বলে উঠলো "বিটিয়া ছবি তুলতে হামাক বিশ টাকা দিতে হবে"। হয়তো অনেক বঞ্চনার শিকার এরা নিজেদের প্রতারিত হতে দেখেছে জীবনভর।
শ্রীমঙ্গল চা বাগান। সিলেট।
এখানেও অনেক মেয়েরা পাতা তুলছিল , আমাকে ছবি তুলতে দেখেই ঝুপ করে বসে পরলো । হয়তো এর পেছনে রয়েছে অনেক ক্ষোভ দুঃখ ।
ইদ্রাকপুর দুর্গ দেয়াল। মুন্সীগঞ্জ
টাঙ্গুয়ার হাওড়। সুনামগঞ্জ
সর্ষে ক্ষেতের স্বর্ন প্রভায় রাঙ্গিয়ে গেল মন। সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ
তবুও যেতে হবে জল ভেঙ্গে ভেঙ্গে আরেক ডাঙ্গার আশায়। সিলেট
সবুজ শ্যমল আমার বাংলা। সিরাজগঞ্জ
খেজুর রসের হাড়ি, সুন্দর বন
মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম ,সাভা্র ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টার , ঢাকা
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে , দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে। সিলেট বিছানাকান্দির পথে
কার ছায়া পরেছে জলেরও আয়নাতে .. মাধবপুর, শ্রীমঙ্গল
লাউয়াছড়ার পথের ধারে , শ্রীমঙ্গল
সার বেঁধে ঘরে ফেরা , সিলেট।
দূর দ্বীপবাসীনি,চিনি তোমারে চিনি, দারুচিনিরও দেশে। মহেশখালী দ্বীপ
পথের পাশে ফুটে থাকা নীল অপরাজিতা , সীতাকুন্ড
বড় প্রিয় এই বন্য তেলকুঁচা লতা , পথের পাঁচালী পড়ে অপু দুর্গার মতই ভালোবেসেছি আজীবন। বরিশাল
ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরির খেলা । দিনাজপুর
কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকা প্রকৃতি , চাঁদপুর
সেন্ট মার্টিন
রূপলী নুড়ির চাদরে মোড়ানো নীল সৈকত।ছেড়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন
কক্সবাজার সৈকত
কক্সবাজার সৈকতে পড়ে থাকা ঝিনুক
কটকা সৈকত , সুন্দরবন ।
প্রভাত সুর্য কিরণে উজ্জ্বল সারি সারি কেওরার গাছ , নীচে হরিনের দল সুন্দরবন ।
গভীর মনযোগী মাছরাঙ্গা, সুন্দরবন
পথের পাশে ফুটে থাকা ঢোল কলমীও তার অসামান্য রূপের ডালি মেলে রেখেছে । টেকনাফ সৈকতে
কোন নায়েতে যাবিরে তুই কোন খানে তোর ঘর ? রাতারগুল নৌকা ঘাট সিলেট।
মেহগনি গাছের পাতার ফাকে শিকারী পাখী কাক । সুনামগঞ্জ
গাছে গাছে ঝুলে আছে সফেদা । শরনখোলা , সুন্দরবন ।
করচের ডালে বসা পাখীদের ঝাঁক, সুনামগঞ্জ
সুর্যাস্তের প্রতিফলন কক্সবাজার বেলাভুমিতে
প্রতিদিন তোমায় দেখি সুর্য রাগে , প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে, ও আমার দেশ , ও আমার বাংলাদেশ ।
সবার জন্য রইলো ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা , বিশেষ করে সামহ্যোয়ার টিমকে যারা বাংলা ভাষা আমার মা এর ভাষায় লেখা লেখালেখি করার জন্য এত সুন্দর একটি প্ল্যটফর্ম তৈরী করে দিয়েছে
সব ছবি আমার তোলা ।